Chapter-9 Geography Questions And Answers Class 7th | ক্লাস সেভেন ভূগোল নবম অধ্যায় এশিয়ার জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রশ্ন উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর || - SM Textbook

Fresh Topics

Wednesday, July 26, 2023

Chapter-9 Geography Questions And Answers Class 7th | ক্লাস সেভেন ভূগোল নবম অধ্যায় এশিয়ার জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রশ্ন উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ||

  

Chapter-9 Geography Questions And Answers Class 7th | ক্লাস সেভেন ভূগোল নবম অধ্যায় এশিয়ার জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রশ্ন উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর || 




▩  অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : -প্রতিটা প্রশ্নের মান -1 

1. এশিয়া মহাদেশের মধ্যভাগের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে তাপমাত্রা কীভাবে কমে যায়?

উঃ। উচ্চতার তারতম্যের কারণে প্রতি 1000 মিটার বা 1 কিমি উচ্চতায় গড়ে 6.4° সে. করে তাপমাত্রা কমে যায়।


2. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে কখন বৃষ্টিপাত হয় ?

উঃ। ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে পশ্চিমাবায়ুর প্রভাবে শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়।


3. কোন্ কোন্ দেশে নিরক্ষীয় জলবায়ু দেখা যায় ?

উঃ। ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশে নিরক্ষীয় জলবায়ু দেখা যায়।


4. নিরক্ষীয় জলবায়ুতে কী ধরনের উদ্ভিদ জন্মায়?

 উঃ। নিরক্ষীয় জলবায়ুতে চিরহরিৎ বা চিরসবুজ উদ্ভিদ জন্মায়।


5. তুন্দ্ৰা জলবায়ু অঞ্চলে কী কী উদ্ভিদ জন্মায়? 

উঃ। তুদ্ৰা জলবায়ু অঞ্চলে মস, লাইকেন, শৈবাল প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায়।


6. পৃথিবীর বৃহত্তম সরলবর্গীয় বৃক্ষের বনভূমি কোনটি?

উঃ। রাশিয়ার সরলবর্গীয় গাছের তৈগা বনভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম সরলবর্গীয় বনভূমি।


7. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে কী ধরনের উদ্ভিদ দেখা যায়?

উঃ। মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে চিরহরিৎ এবং পর্ণমোচী দুই ধরনের গাছই জন্মায়।


৪. সাইবেরীয় জলবায়ু কোথায় দেখা যায় ? 

উঃ। রাশিয়ার সাইবেরিয়া ও সাখালিন দ্বীপপুঞ্জে সাইবেরীয় জলবায়ু দেখা যায়।


9. উয় মরু প্রকৃতির জলবায়ু অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কেমন?

উঃ। উয় মরু অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 10-25 সেমি।


10. তুদ্ৰা জলবায়ু কোথায় দেখা যায়?

 উঃ। পৃথিবীর উত্তর সুমেরু বৃত্তে তুলা জলবায়ু দেখা যায়।


▧ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর: প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

1. এশিয়া মহাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উঃ। এশিয়া মহাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি হল – (i) এশিয়া মহাদেশের বিরাট বিস্তৃতির জন্য বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন প্রকার জলবায়ু দেখা যায়। যেমনঃ এই মহাদেশের দক্ষিণাংশের জলবায়ু উন্ন প্রকৃতির, মধ্যভাগের জলবায়ু নাতিশীতোয় প্রকৃতির এবং উত্তরাংশের জলবায়ু অতি-শীতল প্রকৃতির। (ii) এই মহাদেশের সমুদ্র থেকে দূরে অবস্থিত অঞ্চলগুলিতে শীত ও গ্রীষ্ম দুই-ই খুব প্রকট। (iii) পর্বতবেষ্টিত মালভূমি অঞ্চলের জলবায়ু অতি-শীতল প্রকৃতির। 


2. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

উঃ। নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ায় সারাবছর অধিক উন্নতা থাকে। এখানকার গড় উষ্ণতা 25° থেকে 30° সে.। প্রতিদিন বিকেলে এই জলবায়ু অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়। এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 200 থেকে 250 সেমি.। নিরক্ষীয় অঞ্চলে বেশি উন্নতা ও বেশি বৃষ্টিপাতের জন্য এখানে ঘন চিরহরিৎ বা চিরসবুজ গাছ দেখা যায়।


3. এশিয়া মহাদেশের তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?

উঃ। এশিয়া মহাদেশের তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি হল – (i) শীতকাল সুদীর্ঘস্থায়ী ও অত্যধিক শীতল। (ii) এই অঞ্চল শীতকালে একটানা 6 মাস অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। এই সময়ে আবছা আলোর সৃষ্টি হয়। (iii) শীতকালীন উয়তা হিমাঙ্কের নীচে। থাকে এবং গ্রীষ্মকালীন উন্নতা 10° সে.-এর বেশি হয় না। (iv) শীতকালে তুষারপাত সহ প্রবল তুষারঝড়ও হয়ে থাকে।


4. এশিয়া মহাদেশের কোথায় কোথায় মৌসুমি জলবায়ু দেখা যায়? এখানকার উদ্ভিদগুলি কী কী ?

 উঃ। 10° উত্তর অক্ষরেখা থেকে 30° উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, দক্ষিণ চিন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে মৌসুমি জলবায়ু দেখা যায়। এই জলবায়ু অঞ্চলে চিরহরিৎ বা চিরসবুজ এবং পর্ণমোচী বা পাতাঝরা দুই ধরনের গাছই জন্মায়। এখানে আম, জাম, মেহগনি, বাঁশ, আবলুস, শাল, সেগুন, বট, অশ্বত্থ, শিশু প্রভৃতি গাছ দেখা যায়।


5. কোন্ কোন্ দেশে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায়? এই জলবায়ুতে কখন বৃষ্টিপাত হয় ও এখানকার উদ্ভিদগুলি কী কী ?

উঃ। ভূমধ্যসাগরের তীরে সিরিয়া, লেবানন, তুরস্ক, ইজরায়েল, জর্ডন প্রভৃতি দেশে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায়। পশ্চিমাবায়ুর প্রভাবে এখানে শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়। এই জলবায়ু অঞ্চলে জলপাই, আঙুর, লেবু প্রভৃতি প্রচুর ফলের গাছ দেখা যায়। এছাড়া কর্ক, ওক, অলিভ এবং লরেল, ল্যাভেন্ডার, রোজমেরি প্রভৃতি কয়েকটি ঝোপঝাড় জাতীয় গাছ জন্মায়।


6. কোন্ কোন্ দেশে উমরু প্রকৃতির চরমভাবাপন্ন জলবায়ু দেখা যায় এবং কেন দেখা যায়? 

উঃ। আরবের মরুভূমি, ভারত ও পাকিস্তানের থর মরুভূমি, ইরাক, ইরান, কুয়েত প্রভৃতি দেশে উন্ন মরু প্রকৃতির চরমভাবাপন্ন জলবায়ু দেখা যায়। এইসব দেশগুলির উন্নতা খুব বেশি এবং বৃষ্টিপাত খুব কম হওয়ায় এখানে উন্ন মরু প্রকৃতির চরমভাবাপন্ন জলবায়ু দেখা যায়।


7. উয় মরু অঞ্চলে কাঁটাজাতীয় গাছ জন্মায় কেন ?

উঃ। উয় মরুভূমি অঞ্চলে বাবলা, ফণীমনসা, খেজুর প্রভৃতি কাঁটাজাতীয় গাছ জন্মায়। বৃষ্টিপাত কম হবার জন্য গাছগুলির কাণ্ড ও পাতা মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে ঢাকা থাকে যাতে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় গাছের জল বেরিয়ে না যায়।


8. সাইবেরীয় জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ? 

উঃ। রাশিয়ার সাইবেরিয়া ও সাখালিন দ্বীপপুঞ্জে সাইবেরীয় জলবায়ু দেখা যায়। এখানে অতিশীতল ও দীর্ঘস্থায়ী শীতকাল দেখা যায়। বছরের সাত থেকে আট মাস বরফ পড়ে। উন্নতা থাকে হিমাঙ্কের নীচে। গ্রীষ্মকালে গড়ে ১৫° সে. উন্নতা থাকে। 


9. সাইবেরীয় জলবায়ু অঞ্চলে কী কী উদ্ভিদ দেখা যায় ?

উঃ। এই জলবায়ু অঞ্চলে অতিশীতল এবং দীর্ঘস্থায়ী শীতকাল সাইবেরীয় জলবায়ু অঞ্চলে গাছগুলি শঙ্কু আকৃতির।হয় এবং গাছের পাতাগুলি ছুঁচালো হয়, পাইন, ফার, স্থুস, লার্চ, বার্চ, সিডার, উইলো প্রভৃতি গাছ এই অঞ্চলে দেখা যায়। রাশিয়ার সরলবর্গীয় গাছের তৈগা বনভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম সরলবর্গীয় বৃক্ষের বনভূমি।


10. চিনদেশীয় জলবায়ু কাকে বলে? এখানকার উদ্ভিদগুলি কী কী ?

উঃ। চিনের উত্তরাংশ ও মধ্যভাগ এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের কিছু অংশে যে বিশেষ ধরনের জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ দেখা যায় তাকে চিনদেশীয় জলবায়ু বলে। এই জলবায়ু অঞ্চলে সেগুন, ফার, বিচ, পাম, লরেল প্রভৃতি পর্ণমোচী এবং মেহগনি, চেস্টনাট, ওক প্রভৃতি চিরহরিৎ গাছ দেখা যায়।


▧ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর :  প্রতিটা প্রশ্নের মান -5/8

1. এশিয়া মহাদেশের জলবায়ুর বৈচিত্র্যের প্রধান কারণগুলি কী কী?

 উঃ। এশিয়া মহাদেশ সম্পূর্ণ উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত এবং এর উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তার এত বেশি যে পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের জলবায়ু এই মহাদেশে দেখা যায়। এশিয়া মহাদেশের জলবায়ুর বৈচিত্র্যের প্রধান কারণগুলি হল : 

(i) অক্ষাংশ ঃ এশিয়া মহাদেশটি 10°দঃ – 82° উঃ অক্ষরেখার মধ্যে অবস্থিত হওয়ায়। অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকায় সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের প্রভেদ ঘটে। এই মহাদেশের দক্ষিণ অংশে সূর্যরশ্মির পতনকোণ সারাবছর বেশি থাকে বলে জলবায়ু উয়ভাবাপন্ন প্রকৃতির। অন্যদিকে উত্তরাংশে সূর্যরশ্মির পতনকোণ সারাবছর কম থাকার জন্য জলবায়ু শীতল প্রকৃতির।

(ii) উচ্চতার তারতম্য : এশিয়ার মধ্যভাগের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে এবং অন্যান্য উঁচু স্থানগুলিতে উচ্চতার জন্য উয়তা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম থাকে। প্রতি 1000 মিটার বা 1 কিলোমিটার উচ্চতায় 6.4° সে. করে তাপমাত্রা কমে যায়। শীতকালে উঁচু স্থানগুলিতে তুষারপাতও হয়।

(iii) সমুদ্র থেকে দূরত্ব ঃ এই মহাদেশের এক-তৃতীয়াংশ সমুদ্র থেকে প্রায় 1000 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কোনো কোনো স্থান আবার সমুদ্র থেকে প্রায় 2500 কিমি অভ্যন্তরে অবস্থিত। সমুদ্র থেকে বহুদূরবর্তী স্থানগুলিতে গ্রীষ্মকালীন উয়তা অনেক বেশি এবং শীতকালীন উয়তা অনেক কম থাকে, অর্থাৎ জলবায়ু চরমভাবাপন্ন। 

(iv) পর্বতশ্রেণির অবস্থান : এশিয়ার মধ্যভাগের পর্বতশ্রেণিগুলি জলবায়ুকে প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত করে। এই পর্বতশ্রেণিগুলি উত্তরদিক থেকে আসা শীতল বায়ুপ্রবাহকে দক্ষিণে আসতে বাধা দেয়। আবার দক্ষিণদিক থেকে আসা আর্দ্র ও উয়বায়ু জলবায়ু এই পর্বতশ্রেণিগুলিতে বাধা পেয়ে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত ঘটায়। 


v) সমুদ্রস্রোত : এই মহাদেশের উত্তর-পূর্বদিকের উয়তা উয় কুরোশিয়ো বা জাপান স্রোতের প্রভাবে শীতকালে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। তা ছাড়া উয় জাপান বা শীতল বেরিং স্রোতের মিলনের ফলে পূর্ব উপকূলে ঘন কুয়াশা দেখা যায়।

(vi) বায়ুপ্রবাহ ঃ এশিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশের উপর দিয়ে গ্রীষ্মকালে আর্দ্র মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের কারণে বছরের মোট বৃষ্টিপাতের তিন-চতুর্থাংশ হয়ে থাকে, আবার শীতল ভূমধ্যসাগর থেকে আসা নাতিশীতোয় ঘূর্ণবাতের জন্য এই মহাদেশের পশ্চিমদিকে শীতকালেও সামান্য বৃষ্টিপাত হয় ও ঠান্ডা পড়ে।


2. এশিয়ার জলবায়ু কীভাবে স্বাভাবিক উদ্ভিদকে প্রভাবিত করে?

উঃ। কোনো দেশ বা মহাদেশের জলবায়ুর সঙ্গে স্বাভাবিক উদ্ভিদের একটি নিবিড় সম্পর্ক থাকে। জলবায়ুর ওপর নির্ভর করে স্বাভাবিক উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য। এশিয়া মহাদেশের নানা ধরনের জলবায়ু এই মহাদেশের স্বাভাবিক উদ্ভিদকে প্রভাবিত করেছে। সেগুলি হল—

(i) এশিয়ার নিরক্ষীয় অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ : সারাবছরের অত্যধিক উত্তাপ ও প্রচুর বৃষ্টিপাতের জন্য মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরে গভীর চিরহরিৎ নিরক্ষীয় অরণ্যের সৃষ্টি হয়। যথা—মেহগনি, এবনি, রোজউড, পাম ইত্যাদি।

(ii) এশিয়ার মৌসুমি অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ : মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে মায়ানমার, কাম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম প্রভৃতি স্থানে বৃষ্টিপাতের তারতম্য অনুসারে স্বাভাবিক উদ্ভিদের তারতম্য দেখা যায়। যেমন—বেশি বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানে রোজউড, মেহগনি, দেওদার, বাঁশ প্রভৃতি চিরহরিৎ গাছের ঘন অরণ্য দেখা যায়। কম বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে সেগুন, শাল, শিমুল, জারুল, পলাশ, আম, জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি গাছ জন্মায়।

(iii) এশিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের উদ্ভিদ : তুরস্ক, সিরিয়া, লেবানন প্রভৃতি স্থানে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে জলপাই, ইউক্যালিপ্টাস, লেবু, কর্ক, ওক, অলিভ প্রভৃতি গাছ এবং লরেল, ল্যাভেন্ডার, রোজমেরি প্রভৃতি ঝোপঝাড় জাতীয় গাছ জন্মায়।

(iv) নাতিশীতোয় তৃণভূমি বা স্টেপস্ অঞ্চলের উদ্ভিদ : কম বৃষ্টিপাতের জন্য দক্ষিণ-পশ্চিম সাইবেরিয়া ও পূর্ব মঙ্গোলিয়ার স্টেপস অঞ্চলে কাঁটাযুক্ত ঝোপঝাড় জন্মায় ও বেঁটে ঘাস জন্মায়।

(v) নাতিশীতোয় মরুভূমি অঞ্চলের উদ্ভিদ ঃ মঙ্গোলিয়া মালভূমি ও গোবি মরুভূমি অঞ্চলের উদ্ভিদহীন স্থানে ঘাস ও ঝোপঝাড় হয়।

(vi) মাঞ্চুরিয়া অঞ্চলের উদ্ভিদ : মাঞ্চুরিয়া ও উত্তর জাপানে পাইন, ফার, স্পুস ইত্যাদি সরলবর্গীয় গাছ জন্মায়। 

(vii) তৈগা বা সাইবেরিয়া জলবায়ু অঞ্চলের উদ্ভিদ ঃ উত্তর রাশিয়া ও উত্তর সাইবেরিয়া তৈগা অঞ্চলে তুষারপাত হয় এবং ভূমি বরফে ঢাকা থাকে। এই পরিবেশে পাইন, ফার, স্থূস ও সিডার ইত্যাদি গাছ জন্মায় ।

(viii) চিনদেশীয় জলবায়ু অঞ্চলের উদ্ভিদ : চিনের উত্তরাংশ ও মধ্যভাগ, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে চিনদেশীয় জলবায়ু অঞ্চলে উয় ও বেশি বৃষ্টিপাতযুক্ত আর্দ্র জলবায়ু চিরসবুজ উদ্ভিদ জন্মানোর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ওক, কর্পূর, ক্যামেলিয়া, ম্যাগনেলিয়া, বাঁশ হল এখানকার মূল্যবান গাছ।

(ix) ক্রান্তীয় মরুভূমি অঞ্চলের উদ্ভিদ : আরব মরুভূমি ও ভারত-পাকিস্তানের থর মরুভূমিতে জলের অভাবে বড়ো বড়ো গাছপালা বিশেষ থাকে না। ফণীমনসা, ক্যাকটাস, অ্যাকেসিয়া, বাবলা প্রভৃতি গাছ দেখা যায় ।

(x) তুন্দ্রা অঞ্চলের উদ্ভিদ ঃ সুমেরু বৃত্তের একেবারে বাইরে অবস্থিত উত্তর রাশিয়ার উত্তরে তুন্দ্রা অঞ্চলে বছরের বেশির ভাগ সময় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে থাকে তাই এখানে মস ও লাইকেন জাতীয় শৈবাল ও গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায়।











No comments:

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();