দূর্যোগ ও বিপর্যয় নবম শ্রেণীর ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায়| class 9 geography question answer 6th chapter|
- একটি মনুষ্যসৃষ্ট চরম বিপর্যয়ের উদাহরণ – A. ভূমিকম্প B. অগ্ন্যুৎপাত C. পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ D. খরা
Ans. C
- বিপর্যয় লঘুকরণ দিবস হিসেবে পালন করা হয়— A. 10 অক্টোবর B. 10 নভেম্বর C. 5 সেপ্টেম্বর D. 5 জানুয়ারি
Ans. A
- ভূমিকম্পের দেশ বলা হয়— A. জাপানকে B. ইরাককে C. মায়ানমারকে D. ভারতকে
Ans. A
- সমুদ্র উপকূলে যে বিপর্যয় দেখা যায় তা হল— A. খরা B. দাবানল C. ধস D. সুনামি
Ans. D
- ধস কোথায় বেশি লক্ষণীয়— A. পার্বত্য অঞ্চলে B. মরুভূমি অঞ্চলে C. অরণ্য অঞ্চলে D. সমভূমি অঞ্চলে
Ans. A
- ভূমিধসের জন্য দায়ী নয় – A. বৃক্ষচ্ছেদন B. বহুমুখী নদী পরিকল্পনা C. নগরায়ণ D. সুনামি
Ans. D
- একটি জলবায়ুগত দুর্যোগের উদাহরণ হল— A. অগ্ন্যুৎপাত B. বন্যা C. দাবানল D. সুনামি
Ans. B
- একটি আধাপ্রাকৃতিক দুর্যোগ হল— A. অগ্ন্যুৎপাত B. সুনামি C. তুষারঝড় D. ধস
Ans. D
- একটি আধাপ্রাকৃতিক দুর্যোগ হল— A. অগ্ন্যুৎপাত B. সুনামি C. তুষারঝড় D. ধস
Ans. D
- তুষারঝড় বেশি দেখা যায়— A. নিরক্ষীয় অঞ্চলে B. মরু অঞ্চলে C. মধ্যঅক্ষাংশীয় অঞ্চলে D. মেরু অঞ্চলে
Ans. D
- ধস কোথায় বেশি লক্ষণীয়— A. পার্বত্য অঞ্চলে B. মরুভূমি অঞ্চলে C. অরণ্য অঞ্চলে D. সমভূমি অঞ্চলে
Ans. A
- চিন, জাপান প্রভৃতি দেশে ঘূর্ণিঝড় যে নামে পরিচিত A. তাইফু B. টাইফুন C. হ্যারিকেন D. উহলি-উইলি
Ans. B
- ভূমিকম্পের দেশ বলা হয়— A. জাপানকে B. ইরাককে C. মায়ানমারকে D. ভারতকে
Ans. A
- ভূমিধসের জন্য দায়ী নয় – A. বৃক্ষচ্ছেদন B. বহুমুখী নদী পরিকল্পনা C. নগরায়ণ D. সুনামি
Ans. D
- অগ্ন্যুৎপাতের সৃষ্টি হয়— A. বনভূমি হ্রাসের ফলে B. অনিয়ন্ত্রিত বসতি নির্মাণের ফলে C. ভূগর্ভে চাপ ও তাপের পরিবর্তনের ফলে D. রাস্তাঘাট নির্মাণের ফলে
Ans. C
- একটি মনুষ্যসৃষ্ট দুযোর্গ হল— A. খরা B. ভূমিকম্প C. অগ্ন্যুৎপাত D. দাঙ্গা
Ans. D
- ভারতে ‘কেন্দ্রীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ’ গঠন করা হয়েছে— A. 1953 সালে B. 1954 সালে C. 1955 সালে D. 1960 সালে
Ans. B
- বন্যা নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলির মধ্যে অন্যতম হল— A. শুষ্ক কৃষির প্রবর্তন করা B. গভীর কূপ খনন করা C. জলসংরক্ষণ প্রকল্প চালু করা D. পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ করা
Ans. C
- একটি আধাপ্রাকৃতিক দুর্যোগ হল— A. অগ্ন্যুৎপাত B. সুনামি C. তুষারঝড় D. ধস
Ans. D
- হিমানী সম্প্রপাত ঘটে – A. পার্বত্য অঞ্চলে B. মরুভূমি অঞ্চলে C. মালভূমি অঞ্চলে D. সমুদ্র উপকূলে
Ans. A
- ভূমিকম্পের দেশ বলা হয়— A. জাপানকে B. ইরাককে C. মায়ানমারকে D. ভারতকে
Ans. A
- একটি মনুষ্যসৃষ্ট দুযোর্গ হল— A. খরা B. ভূমিকম্প C. অগ্ন্যুৎপাত D. দাঙ্গা
Ans. D
- একটি মনুষ্যসৃষ্ট চরম বিপর্যয়ের উদাহরণ – A. ভূমিকম্প B. অগ্ন্যুৎপাত C. পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ D. খরা
Ans. C
- মেগাসুনামিতে সমুদ্রের ঢেউ-এর উচ্চতা হয়— A. 30 মিটার B. 80 মিটার C. 50 মিটার D. 50 মিটারের বেশি
Ans. D
- ভারতের মোট জমির মধ্যে বন্যাপ্রবণ জমির পরিমাণ – A. 10% B. 11% C. 12% D. 13%
Ans. B
- আমেরিকা ও কানাডার পূর্বাংশে ব্লিজার্ড ঘটেছিল— A. 1777 সালে B. 1888 সালে C. 1920 সালে D. 1992 সালে
Ans. B
- ভূমিধসের জন্য দায়ী নয় – A. বৃক্ষচ্ছেদন B. বহুমুখী নদী পরিকল্পনা C. নগরায়ণ D. সুনামি
Ans. D
- ভারতে ‘কেন্দ্রীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ’ গঠন করা হয়েছে— A. 1953 সালে B. 1954 সালে C. 1955 সালে D. 1960 সালে
Ans. B
- বিপর্যয় লঘুকরণ দিবস হিসেবে পালন করা হয়— A. 10 অক্টোবর;B. 10 নভেম্বর;C. 5 সেপ্টেম্বর D. 5 জানুয়ারি
Ans. A
- ‘Tsunami’ একটি – A. আরবি শব্দ B. জাপানি শব্দ C. ফরাসি শব্দ D. রাশিয়ান শব্দ
Ans. B
- একটি মনুষ্যসৃষ্ট দুযোর্গ হল— A. খরা B. ভূমিকম্প C. অগ্ন্যুৎপাত;D. দাঙ্গা
Ans. D
- 3 একটি বায়ুমণ্ডলীয় বিপর্যয়ের উদাহরণ— A. খরা B. সুনামি C. ভূমিক্ষয় D. মরুকরণ
Ans. A
- একটি মনুষ্যসৃষ্ট চরম বিপর্যয়ের উদাহরণ – A. ভূমিকম্প B. অগ্ন্যুৎপাত C. পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ D. খরা
Ans. C
- আমেরিকা ও কানাডার পূর্বাংশে ব্লিজার্ড ঘটেছিল— A. 1777 সালে;B. 1888 সালে/C. 1920 সালে D. 1992 সালে
Ans. B
- 3 একটি বায়ুমণ্ডলীয় বিপর্যয়ের উদাহরণ— A. খরা B. সুনামি C. ভূমিক্ষয় D. মরুকরণ
Ans. A
- বন্যা নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলির মধ্যে অন্যতম হল— A. শুষ্ক কৃষির প্রবর্তন করা B. গভীর কূপ খনন করা C. জলসংরক্ষণ প্রকল্প চালু করা D. পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ করা
Ans. C
- ‘Tsunami’ একটি – A. আরবি শব্দ B. জাপানি শব্দ C. ফরাসি শব্দ D. রাশিয়ান শব্দ
Ans. B
- মেগাসুনামিতে সমুদ্রের ঢেউ-এর উচ্চতা হয়— A. 30 মিটার B. 80 মিটার C. 50 মিটার D. 50 মিটারের বেশি
Ans. D
- ভূমিধসের জন্য দায়ী নয় A. বৃক্ষচ্ছেদন B. বহুমুখী নদী পরিকল্পনা C. নগরায়ণ D. সুনামি
Ans. D
- অগ্ন্যুৎপাতের সৃষ্টি হয়—A. বনভূমি হ্রাসের ফলে B. অনিয়ন্ত্রিত বসতি নির্মাণের ফলে C. ভূগর্ভে চাপ ও তাপের পরিবর্তনের ফলে D. রাস্তাঘাট নির্মাণের ফলে
Ans. C
1. দুর্যোগ কাকে বলে?
উঃ দুর্যোগ হল এমন এক প্রাকৃতিক বা মনুষ্য সৃষ্ট ঘটনা যা পরিবেশের ভারসাম্য অবস্থার বিচ্যুতি ঘটিয়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে সাময়িকভাবে ব্যাহত করে।
2. বিপর্যয় কাকে বলে?
উঃ দুর্যোগ যখন প্রাকৃতিক বা সাংস্কৃতিক কারণে প্রচুর পরিমাণে সম্পদহানি ও বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবনহানি ঘটায়, যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সাময়িকভাবে অথবা দীর্ঘকাল ধরে স্তব্ধ করে দেয় তখন তাকে বিপর্যয় বলে।
3. দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্যগুলি উল্লেখ করো।
উঃ দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল-
- দুর্যোগ হল এমন এক প্রাকৃতিক বা মনুষ্য সৃষ্ট ঘটনা যা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে সাময়িকভাবে ব্যাহত করে।
- বিপর্যয় হল এমন এক আকস্মিক ঘটনা যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সাময়িকভাবে বা দীর্ঘকাল ধরে স্তব্ধ করে দেয়।
- প্রকৃতি হল দুর্যোগ সৃষ্টির প্রধান কারণ। তবে মানুষ নিজের অবিবেচনাপ্রসূত কাজের জন্য দুর্যোগ ডেকে আনে। যেমন- খরা, বন্যা প্রভৃতি।
- মানুষের কৃতকর্মের জন্য প্রাকৃতিক রোষে বিপর্যয় ঘটলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজন্য মানুষই দায়ী। যেমন- ভূপাল গ্যাস বিপর্যয়।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশাল এলাকা জুড়ে ঘটে। কিন্তু মানুষের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ কম পরিসরে ঘটে থাকে।
- তীব্রতা ও বিস্তৃতির মাপকাঠিতে বিপর্যয়ের মাত্রা ব্যাপক।
- দুর্যোগের ফলে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ হয় না।
- ১০ জনের লোক মারা গেলে ও ১০০ বা তার বেশি মানুষ আহত হলে এবং ১০০ মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হলে তাকে বিপর্যয় বলে গণ্য করা হয়।
- ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় দেশীয় অর্থনীতির ওপর বিশেষ চাপ পড়ে না।
- ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি মাত্রায় হওয়ায় দেশীয় অর্থনীতির ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে।
4. Disaster শব্দটি কোথা থেকে এসেছে? এর অর্থ কী? নেমে আসে।
উঃ ‘Disaster’ শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ ‘Desastre’ থেকে। যেখানে ‘Des’-এর অর্থ হল ‘Bad’ or ‘Evil’ (মন্দ) এবং ‘astre’ শব্দের অর্থ হল ‘star’ (তারা), অর্থাৎ ‘Bad or Evil Star’ বা ‘শয়তান তারা’। অতীতে মানুষ মনে করত শয়তান তারার প্রভাবেই প্রকৃতিতে বিপর্যয় নেমে আসে।
5. বিপন্নতা কাকে বলে?
উঃ কখনও কখনও এমন কিছু ঘটনাবলি বা পরিস্থিতি উপস্থিত হয় যা কোনো জনগোষ্ঠীকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে অসহায় করে তোলে, তাকে বিপন্নতা বা vulnerability বলে।
6. পরিবেশিক চাপ কাকে বলে?
উঃ দুর্যোগ ও বিপর্যয় বৃদ্ধি পেয়ে যদি প্রাকৃতিক পরিবেশের সহ্যের সীমা ও সমতা নষ্ট করে, সেই পরিস্থিতিকে পারিবেশিক চাপ বা Environmental Stress বলে।
7. ২০০১ সালে World Disater Report অনুযায়ী দুর্ঘটনাকে কখন বিপর্যয় বলা হবে?
উঃ ২০০১ সালে World Disater Report-এ বলা হয়েছে – কোনো দুর্ঘটনাকে তখনই বিপর্যয় বলে গণ্য করা হয়, যখন –
- দশ বা তার বেশি মানুষের মৃত্যু হয়,
- একশো বা তার বেশি মানুষ আহত হয়,
- পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে সাহায্যের প্রয়োজন হয়,
- সরকারীভাবে আপতকালীন পরিস্থিতি ঘোষিত হয়।
8. হড়পা বান কী?
উঃ উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে অতধিক বৃষ্টি বা হিমবাহ সৃষ্ট হ্রদের জলে আচমকা বাঁধ ফেটে বন্যার সৃষ্টি হলে, তাকে হড়পা বান (Flash Flood) বলে।
10. কী কী কারণে বন্যা হয়?
উঃ বন্যা প্রাকৃতিক এবং অপ্রাকৃতিক উভয় কারণেই ঘটে। বন্যা সৃষ্টির প্রাকৃতিক কারণগুলি হল-
- দীর্ঘস্থায়ী ভারী বর্ষণ,
- গ্রীষ্মে নদীতে তুষার গলা জলের আগমন,
- পলি সঞ্চয়ে নদীখাত মজে যাওয়া বা গভীরতা কমে যাওয়া,
- উপকূল অঞ্চলে আবহাওয়া বিশৃঙ্খল হলে জোয়ার ও ঢেউয়ের কারণে,
- ধসের কারণে নদীখাত বন্ধ বা গভীরতা কমলে বন্যা সৃষ্টি হয়।
> বন্যা সৃষ্টির অপ্রাকৃতিক কারণগুলি হল-
- জলাধারের জল ছাড়া,
- গাছ কাটার কারণে মাটির ক্ষয় বেড়ে গিয়ে নদীখাত মজে যাওয়া বা গভীরতা হ্রাস পাওয়া,
- নদী থেকে কাটা খালগুলির সংস্কার না করা,
- মিউনিসিপ্যালিটিগুলিতে অপরিকল্পিতভাবে জলাধার ভরাট করা এবং নিকাশি সংস্কার না করার কারণে বন্যা হয়।
11. বন্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
উঃ বন্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলি নেওয়া যেতে পারে-
- বিভিন্ন গণমাধ্যম যথা- রেডিও, টিভি প্রভৃতির মাধ্যমে বন্যার পূর্বেই বারবার জনগণকে সতর্ক করা প্রয়োজন।
- বন্যাপ্রবণ অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করে ঐ অঞ্চলে নিরাপদ দূরত্বে বন্যার হাত থেকে বাঁচার উপযুক্ত বৃহৎ গৃহ নির্মাণ করা প্রয়োজন।
- বন্যা প্রবণ অঞ্চলের নদীগুলির নাব্যতা বজায় রাখা প্রয়োজন।
- বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে প্রয়োজনে বিজ্ঞান সম্মতভাবে নদীতে বাঁধ দেওয়া অবং সঠিক সময়ে মেরামত করা প্রয়োজন।
- বন্যা কবলিত মানুষের জন্য পানীয় জল এবং ঔষধের ও খাদ্যের যোগান রাখা প্রয়োজন।
12. খরা কাকে বলে?
উঃ কোনো অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি না হলে বা বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে জলের অভাবে যে অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে খরা বলা হয়।
13. কী কী কারণে খরা হয়?
উঃ খরার জন্য প্রাকৃতিক এবং অপ্রাকৃতিক উভয় কারণই দায়ী। প্রাকৃতিক কারণগুলি হল-
- স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টিপাত কম হওয়া।
- মৌসুমি বায়ুর দেরিতে আগমন এবং তাড়াতাড়ি প্রত্যাবর্তন, মৌসুমি বায়ু প্রবাহের সময় বৃষ্টিপাত কম হওয়া।
- ভৌম জলস্তর নেমে যাওয়া ও বাষ্পীভবনের জন্য মাটির অনেক গভীর পর্যন্ত আর্দ্রতা কমে যাওয়া।
- উপক্রান্তীয় পশ্চিমী জেটের পশ্চাৎপসরণে দেরি হলে মৌসুমি বায়ু আগমনে দেরি হয়, ফলে বৃষ্টির অভাবে খরা দেখা যায়।
- এল নিনোর বছরগুলিতে কম বৃষ্টিপাতের কারণে খরা হয়।
> অপ্রাকৃতিক কারণগুলি হল-
- গাছকাটার দরুণ বাষ্পীয় প্রস্বেদন দ্বারা বাতাসে জলীয় বাষ্প কমে যাওয়ায় বৃষ্টিপাত কমে গিয়ে খরা হয়।
- দূষণের কারণে কঠিন বস্তুকণা মিশলে বাতাসে আর্দ্রতা হ্রাস পায় এবং খরা সৃষ্টি করে।
14. খরার হাত থেকে মুক্তি পেতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
উঃ খরার হাত থেকে বাঁচতে নিম্নলিখিত ব্যাবস্থাগুলি নেওয়া যেতে পারে। যেমন-
- বর্ষার জল ধরে রাখার জন্য জলাধার নির্মাণ করা প্রয়োজন।
- প্রচুর সংখ্যক গাছ লাগানো প্রয়োজন।
- খরা সহ্যকারী ফসলের চাষ করা উচিৎ।
- হাঁস, মুরগি, ছাগল, ভেড়া, গোরু, মোষ প্রভৃতি পালনের উপর জোর দেওয়া উচিৎ।
- মাটির নীচ দিয়ে পাকা জল নির্গমন প্রণালী ও জলসেচ পদ্ধতি গড়ে তোলা উচিৎ।
- নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করে জল ধরে রাখা প্রয়োজন।
15. ঘূর্ণিঝড় কাকে বলে?
উঃ দীর্ঘকালীন উত্তাপের কারণে সৃষ্ট নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে প্রবল বেগে ধেয়ে আসা বায়ুকেই ঘূর্ণিঝড় বলে।
16. ভারত কবে কেন জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করেছিল?
উঃ ১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসে ওড়িশায় মহা ঘূর্ণিঝড় বা সুপার সাইক্লোন হয়, যার গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২৬০ কিলোমিটারেরও বেশি। এতে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়। এই বিপর্যয়কে ভারতে জাতীয় বিপর্যয় বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
17. হুদহুদ কী?
উঃ হুদহুদ একটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়, যা ২০১৪ সালের ১৮ই অক্টোবর ভারতের পূর্ব উপকূলীয় অংশে আছড়ে পড়ে। এর দ্বারা বিশাখাপত্তনম শহরটি বিশেষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
18. ফাইলিন কী?
উঃ ফাইলিন একটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়, এটি ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রায় ২২০ কিলোমিটার বেগে ভারতের ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে। এর দ্বারা ওড়িশার ৮০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়।
19. আয়লা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছিল ভারতবর্ষের কোন রাজ্যে?
উঃ পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা।
20. ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে মুক্তি পেতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
উঃ ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলি নেওয়া যেতে পারে। যেমন-
- ঘূর্ণিঝড়ের সঠিক পূর্বাভাস গণমাধ্যমের দ্বারা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন।
- উপকূল থেকে নিরাপদ দূরত্বে জনগণোকে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
- উপকূলের নিকটে গৃহ নির্মাণের ছাড়পত্র না দেওয়া।
- উপকূল সংলগ্ন অংশের গৃহগুলির ঝড় সহ্যক্ষমতা বেশি থাকা প্রয়োজন।
- পূর্বাভাস পাওয়ামাত্র ঝড়ে আক্রান্ত মানুষদের জন্য খাদ্য, পানীয় জল ও ঔষধের বন্দোবস্ত করা উচিৎ।
- ঝড়ের সময় সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারে মৎসজীবিদের সতর্ক করা উচিৎ।
21. ভূমিকম্প কাকে বলে?
উঃ প্রাকৃতিক বা অপ্রাকৃতিক কারণে পৃথিবীর অভ্যন্তরে হঠাৎ কোনো কম্পন সৃষ্টি হলে, তা যখন ভূত্বকের কিছু অংশকে ক্ষণিকের জন্য আন্দোলিত করে তখন তাকে ভূমিকম্প বলে।
22. কী কী কারণে ভূমিকম্প হয়?
উঃ ভূমিকম্প সৃষ্টিতে প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক উভয় কারণ দায়ী। প্রাকৃতিক কারণগুলি হল-
- দুটি ভূত্বকীয় পাতের সংঘর্ষ বা পাশ কাটিয়ে যাওয়া,
- অগ্ন্যুৎপাতের কারণে,
- ভূমিধ্বস বা হিমানী সম্প্রপাতের কারণে,
- চ্যুতির কারণে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।
> অপ্রাকৃতিক কারণগুলি হল–
- নদীতে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ,
- পর্বতগাত্রে বৃক্ষছেদন এবং রাস্তা ও গৃহনির্মাণ দ্বারা ভূমিধ্বসকে ত্বরাণ্বিত করা,
- পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ডিনামাইটের সাহায্যে পাহাড় ফাটানোর কারণে স্থানীয়ভাবে ভূমিকম্প হয়।
No comments:
Post a Comment