Geography Chapter -3 Questions And Answers Class 7th || সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় "বায়ুচাপ" প্রশ্ন উত্তর || ক্লাস 7 ভূগোল সহায়িকা || - SM Textbook

Fresh Topics

Wednesday, July 26, 2023

Geography Chapter -3 Questions And Answers Class 7th || সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় "বায়ুচাপ" প্রশ্ন উত্তর || ক্লাস 7 ভূগোল সহায়িকা ||

  Geography Chapter -3 Questions And Answers Class 7th || সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় "বায়ুচাপ" প্রশ্ন উত্তর || ক্লাস 7 ভূগোল সহায়িকা ||




1. প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে বায়ুর চাপ কত? 

উঃ। প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে বায়ুর চাপ 1 কিলোগ্রাম ।


2. প্রতি বর্গফুটে বায়ুর চাপ কত? 

উঃ। প্রতি বর্গফুটে বায়ুর চাপ প্রায় 1 টন পরিমাণ ওজনের সমান।


3. মহাকাশে বা চাঁদে কী থাকে না? 

উঃ। পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে বা চাঁদে বাতাস থাকে না।


4. সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ কত? 

উঃ। সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ 1013.25 মিলিবার।


5. বায়ুর চাপ মাপার যন্ত্রের নাম কী? 

উঃ। বায়ুর চাপ মাপার যন্ত্র হল ব্যারোমিটার। 6. চাপ বাড়লে পারদস্তম্ভের উচ্চতা কীরকম হয়? উঃ। চাপ বাড়লে পারদস্তম্ভের উচ্চতাও বাড়ে।


7. প্রতি 110 মিটার উচ্চতায় বায়ুর চাপ কেমন থাকে?

উঃ। প্রতি 110 মিটার উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে 1 সেমি পারদস্তম্ভের সমান বায়ুচাপ কমতে থাকে। 


৪. সমচাপ রেখায় বায়ুচাপের একক কী? 

উঃ। সমচাপ রেখায় বায়ুচাপকে মিলিবার (mb) এককে দেখানো হয়।


9. পৃথিবীতে স্বাভাবিক বায়ুচাপ কত দেখা যায়? 

উঃ। পৃথিবীতে স্বাভাবিক বায়ুচাপ সাধারণত 980 mb থেকে 1250 mb দেখা যায় ।


10. 1 মিলিবার কত? 

উঃ। 1 মিলিবার 0.02953 ইঞ্চি পারদস্তম্ভের চাপের সমান।


11. কোথায় জলের স্ফুটনাঙ্ক কমে যায়? 

উঃ। উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে জলের স্ফুটনাঙ্ক কমে যায় ।


12. প্রবল বেগে ছুটে আসা বাতাসকে কী কী বলা হয়ে থাকে?

উঃ। প্রবল গতিবেগসম্পন্ন বিধ্বংসী বাতাসকে সাইক্লোন, টাইফুন, টর্নেডো, হ্যারিকেন প্রভৃতি বলা হয়ে থাকে।


. বায়ুর চাপ কাকে বলে? ইহা কয়প্রকার ও কী কী ? 

উঃ। ভূপৃষ্ঠে কোনো নির্দিষ্ট পরিমিত বর্গক্ষেত্রে ওপরের বায়ুস্তরের যে চাপ বা ওজন পড়ে তাকে বায়ুমণ্ডলের চাপ বলে। বায়ুর চাপ দুই প্রকার। যথা – উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ।


2. আমরা বায়ুর এই প্রচণ্ড চাপ বুঝতে পারি না কেন?

উঃ। মাছ জলে বাস করেও যেমন জলের চাপ অনুভব করতে পারে না, তেমনি আমরা বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নীচের স্তরে থেকেও বায়ুর চাপ অনুভব করি না। কারণ আমাদের দেহের ভিতরে যে বায়ু আছে সেই বায়ুর চাপ অভ্যন্তরীণ বাইরের চাপের সমান। এই দুটি চাপ সমান। হওয়ায় আমরা বায়ুর চাপ বুঝতে পারি না।


3. উচ্চচাপ কাকে বলে ?

উঃ। কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুর চাপ তার পার্শ্ববর্তী বায়ুর চাপের অপেক্ষা বেশি হলে তখন বায়ুর উচ্চচাপ বলা হয়। বায়ুচাপের মাত্রা 1013 মিলিবার বা তার বেশি হলে, সেই অবস্থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলা হয়ে থাকে।


4. নিম্নচাপ কাকে বলে ?

উঃ। কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুর চাপ পার্শ্ববর্তী বায়ুর চাপের অপেক্ষা কম হলে সেই অবস্থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলা হয়। বায়ুচাপের মাত্রা 986 মিলিবার বা তার কম হলে, সেই অবস্থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলা হয়ে থাকে।


5. উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ অঞ্চল কাকে বলে ?

উঃ। যেসব স্থানে বায়ুর চাপ আশপাশের বায়ুর চাপ থেকে বেশি, তাকে উচ্চচাপ অঞ্চল (High Pressure Area) হাই প্রেসার এরিয়া বা সংক্ষেপে (H) বলে। আবার যেখানকার বায়ুর চাপ আশপাশের বায়ুর চাপ থেকে কম তাকে নিম্নচাপ অঞ্চল (Low Pressure Area লো প্রেসার এরিয়া বা সংক্ষেপে L) বলে।


7. সমুদ্র সমতলে বায়ুর চাপ বেশি হবার কারণ কী ?

উঃ। সমুদ্র সমতলে বায়ুর চাপ বেশি হয় কারণ এখানে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বেশি ও উপরের স্তরে প্রবল বায়ুর চাপে বায়ুর অণুগুলো পরস্পরের কাছে এসে বায়ুর ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়, ফলে বায়ুর চাপও অনেক বেশি হয়। 


৪. বায়ুমণ্ডলের স্বাভাবিক চাপ কাকে বলে ?

উঃ। বায়ু কোনো বস্তুর ওপর সবদিক থেকে চাপ দেয়। সমুদ্র সমতলে বায়ুর চাপ 76 সেমি পারদস্তম্ভের চাপের সমান। অর্থাৎ 0° উয়তায় 45° অক্ষাংশে সমুদ্রপৃষ্ঠে 76 সেমি পারদস্তম্ভ যে চাপ দেয় তাকেই বায়ুমণ্ডলের স্বাভাবিক চাপ বলা হয়। এর মান হল প্রতি বর্গ সেমিতে ৷ কিগ্রা বায়ুর ওজন বা 1013.25 মিলিবার।


9. মহাকাশচারীদের বিশেষ ধরনের পোশাক পরতে হয় কেন?

উঃ। পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে বা চাঁদে কোনো বাতাস নেই। তাই মহাকাশচারীদের এক বিশেষ ধরনের বাতাস ভরা পোশাক পরতে হয়। এই পোশাক না থাকলে বাতাসের চাপে তাদের শরীরের ভিতরের শিরা ও ধমনি ফেটে যেতে পারে।


10. 'বায়ুর চাপ আছে'—একটি পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণ করো।

উঃ। একটি কাচের গ্লাসে জল ভর্তি করে একটা পোস্টকার্ড দিয়ে গ্লাসের মুখটা ঢেকে দিতে হবে। তারপর কার্ডটা চেপে ধরে গ্লাসটাকে উপুড় করে দিয়ে কার্ডটা ছেড়ে দিলে দেখা যাবে গ্লাসের জল মাটিতে পড়ছে না। এর কারণ হিসাবে বলা যায় বায়ুর ঊর্ধ্বমুখী চাপ। বায়ুর ঊর্ধ্বমুখী চাপের জন্যই পোস্টকার্ডটি মাটিতে পড়ছে না।


1. বায়ুচাপ কি সর্বত্র সমান ? – আলোচনা করো।

উঃ। না, বায়ুর চাপ সর্বত্র সমান নয়। পৃথিবীপৃষ্ঠে বা সমুদ্র সমতলে বায়ুচাপ সবথেকে বেশি হয়। কারণ সমুদ্র সমতলে পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের প্রভাবে এবং উপরের স্তরের বায়ুর প্রবল চাপে বায়ুতে উপস্থিত বিভিন্ন গ্যাসের অণুগুলো পরস্পরের কাছে চলে এসে বায়ুর ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। ফলে বায়ুর চাপও বেশি হয়। আবার উপরের স্তরের বায়ুর উপর কম চাপ থাকায় বাতাসের অণুগুলো ছড়িয়ে পড়ে। বায়ুর ঘনত্বও কম হয়। অর্থাৎ উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর চাপও কমতে থাকে। ফলে প্রতি 110 মিটার উচ্চতায় বায়ুর চাপ 1 সেমি হারে কমে যায়।


2. বায়ুপ্রবাহের কারণ কী? এর ফলে কী কী হয় ?

উঃ। বায়ু উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে বয়ে যায়। অর্থাৎ বায়ুর চাপের পার্থক্যই বায়ুপ্রবাহের প্রধান কারণ। এই বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমেই পৃথিবীতে উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ অঞ্চলের মধ্যে বায়ুচাপের সমতা বা ভারসাম্য বজায় থাকে। অর্থাৎ দেখা যায় নিম্নচাপ অঞ্চলে বায়ুচাপ যত বেশি কমে যায়, বায়ুচাপ সমান করার জন্য আশপাশের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে বায়ু তত বেশি দ্রুতবেগে ওই অঞ্চলের দিকে ছুটে আসে। প্রবলবেগে ছুটে আসা ওই বাতাস বিধ্বংসী রূপ নিলে তাকে সাইক্লোন, টাইফুন, হ্যারিকেন, টর্নেডো প্রভৃতি বলা হয়।


3. বায়ুর উচ্চচাপের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?

উঃ বায়ুর উচ্চচাপের বৈশিষ্ট্য গুলি হল,

 (i) বায়ুর উয়তা কম হলে বায়ুতে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। সেইজন্যই উঁচু পাহাড়ি অঞ্চলে ও শীতল নাতিশীতোয়ও মেরু অঞ্চলে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। 

(ii) উচ্চচাপের বায়ু শীতল হওয়ায় বায়ু সংকুচিত হয়। 

(iii) বায়ুর নিমজ্জন-এর কারণেও বায়ুর উচ্চচাপ সৃষ্টি হয় অর্থাৎ শীতল অঞ্চলে বাতাস ঠান্ডা ও ভারী হয়ে ভূপৃষ্ঠের দিকে নেমে আসে। ফলে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বায়ু বেশি ঘন হয় ও চাপ বৃদ্ধি পায়।

 (iv) শীতল ও ভারী বাতাসে জলীয় বাষ্প খুবই কম থাকে। তাই উচ্চচাপ যুক্ত অঞ্চলে মেঘ, বৃষ্টি কিছুই হয় না। আবহাওয়া পরিষ্কার ও শান্ত থাকে।


4. বায়ুর নিম্নচাপের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

উঃ বায়ুর নিম্নচাপের বৈশিষ্ট্যগুলি হল,

(i) বায়ুর উন্নতা বেশি হলে বায়ুতে নিম্নচাপ দেখা যায়। নিরক্ষীয় অঞ্চল ও ক্রান্তীয় অঞ্চলে এজন্যই নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। 

(ii) নিম্নচাপের বায়ু উয়হওয়ার তা প্রসারিত ও হালকা হয়। 

(iii) উয় অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বায়ু উত্তপ্ত ও হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে যায়। এভাবে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বায়ুর ঘনত্ব কমে যায়। তাই বায়ুর চাপও কমে। 

(iv) উয় বায়ু উপরের স্তরে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এলে, বায়ুর মধ্যে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে জল বা বরফকণায় পরিণত হয়। তাই নিম্নচাপ অঞ্চলে মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় ও অশান্ত আবহাওয়া দেখা যায়।


5. ব্যারোমিটার সম্বন্ধে যা জানো লেখো।

উঃ। বায়ুর চাপ মাপার যন্ত্র হল ব্যারোমিটার। 1643 সালে বিজ্ঞানী টরিসেলির আবিষ্কৃত সূত্র অনুসারে পারদ ব্যারোমিটার তৈরি হয়। এর দ্বারা বায়ুচাপের তারতম্য পরিমাপ করা যায়। একটি পারদভর্তি পাত্রে একটি একমুখ পারদভরা কাচের নল উপুড় করে বসানো থাকে। বায়ুর স্বাভাবিক চাপে কাচনলের মধ্যে প্রায় 76 সেমি পারদ থাকে। বায়ুচাপ কমলে পারদ নামে আর চাপ বাড়লে পারদের উচ্চতা বাড়ে।


6. একটি পানীয় জলের প্লাস্টিকের বোতলে অর্ধেক গরম জল ভরে আটকে এক ঘণ্টা রাখা হলে কী দেখা যাবে? কারণটি বুঝিয়ে লেখো। 

উঃ। এক ঘণ্টা পর দেখা যাবে গরম জল ভরা বোতলটি একটু তুবড়ে গেছে। এর কারণ হল বোতলে গরম জল ভরার সঙ্গে সঙ্গে ভিতরের বাতাস গরম হয়ে কিছুটা বেরিয়ে গেছে। বাকি বাতাস ঠান্ডা হয়ে সংকুচিত হওয়ার ফলে ভিতরের বায়ুচাপও কমে গেছে। তখন বাইরের বায়ুর চাপ বেশি হওয়ার জন্য বাইরের বাতাসের চাপে বোতলটা তুবড়ে গেছে।


7. নিরক্ষীয় অঞ্চলে নিম্নচাপ ও ক্রান্তীয় অঞ্চলে উচ্চচাপ তৈরি হয় কেন ?

উঃ। পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাতাস বাইরের দিকে ছিটকে যায়। নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে আবর্তন বেগ সবথেকে বেশি হয় বলে এই অঞ্চলের বাতাস দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলের দিকে ছিটকে যায়। ফলে নিরক্ষীয় অঞ্চলে নিম্নচাপ ও দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলে উচ্চচাপ তৈরি হয় ৷


8. বায়ু চাপ দেয় কেন ?

উঃ। কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় সব পদার্থই অসংখ্য অণু দিয়ে তৈরি। গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলি দ্রুত দৌড়াতে থাকে। কোনো বস্তুর সঙ্গে বাতাসে উপস্থিত এই অণুগুলির যখন ধাক্কা লাগে, তখন তারা সেই তলে একটা বল প্রয়োগ করে। একক ক্ষেত্রফলে প্রযুক্ত এই বলের গড় মানকেই বায়ুর চাপ বলা হয়। গ্যাসের আয়তন যত কমে অণুগুলোর মাঝের দূরত্ব ততই কমে। ফলে ঘনত্ব বাড়ে, প্রতি সেকেন্ডে অণুগুলোর ধাক্কার সংখ্যাও বাড়ে। যার ফলে চাপও বাড়ে।

9. সমচাপ রেখা কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

উঃ। নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবীর সে সমস্ত স্থানে একই রকম বায়ু চাপ যুক্ত অঞ্চল রয়েছে সেই সব স্থানগুলিকে মানচিত্রে যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত করা হয়, তাকে সমচাপ রেখা বলে।

বৈশিষ্ট্য : (i) সমচাপ রেখায় বায়ুচাপগুলিকে মিলিবার এককে দেখানো হয়। পৃথিবীতে বায়ুচাপ সাধারণত 980 mb থেকে 1050 mb দেখা গেছে।

(ii) সমচাপ রেখায় সাধারণ বায়ুচাপের পরিমাণগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুচাপের হিসেবে দেখানো হয়। 

(iii) সমচাপ রেখাগুলি স্থলভাগের ওপর দিয়ে আঁকাবাঁকা ভাবে এবং জলভাগের ওপর দিয়ে প্রায় সমান্তরালে বিস্তৃত হওয়ায় রেখাগুলি পরস্পরকে স্পর্শ বা অতিক্রম করতে পারে না। 

(iv) সমচাপ রেখাগুলো যেখানে পরস্পরের খুব কাছাকাছি চলে আসে, সেই অঞ্চলে বায়ুর চাপের পার্থক্য বেশি হয়। 


10. কোনো অঞ্চলে বায়ুর উচ্চচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে তার চারপাশের পরিবেশে কী কী পরিবর্তন দেখা যায় ? 

উঃ। উচ্চচাপযুক্ত অঞ্চলে পরিবর্তন :

 (i) উচ্চচাপ যুক্ত অঞ্চলে বায়ু শীতল হয়ে তা সংকুচিত হয়। 

(ii) পৃথিবীর শীতল অঞ্চলগুলোর যেমন শীতল নাতিশীতোয় অঞ্চলে, মেরু অঞ্চলে সারাবছরই উচ্চচাপ দেখা যায়। 

(iii) বায়ুর নিমজ্জন-এর কারণে বাতাস ঠান্ডা ও ভারী হয়ে নীচে নেমে আসে ফলে ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন অঞ্চলে বায়ুর ঘনত্ব বাড়ে ও চাপ বাড়ে 

(iv) শীতল ও ভারী বাতাসে জলীয় বাষ্প খুবই কম থাকে ফলে উচ্চচাপযুক্ত স্থানে সাধারণত মেঘ বৃষ্টি কিছুই হয় না। শান্ত আবহাওয়া বিরাজ করে।

➤➣নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিবর্তন ;

(i) নিম্নচাপযুক্ত অঞ্চলে বায়ু প্রসারিত ও হালকা এবং কম ঘনত্বযুক্ত হয়। 

(ii) পৃথিবীর উয় অঞ্চলে বায়ুর ঊর্ধ্বগমনের কারণে বাতাস হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে যায় ফলে ভূপৃষ্ঠের সংলগ্ন অঞ্চলে বায়ুর ঘনত্ব কমে যায় এবং চাপও কমে। 

(iii) পৃথিবীর উয় অঞ্চলগুলোতে যেমন নিরক্ষীয় অঞ্চল, মরু অঞ্চল, ক্রান্তীয় অঞ্চলগুলোতে সারাবছর নিম্নচাপ দেখা যায়। 

(iv) বায়ুতে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকায় তা উপরের স্তরে শীতল বায়ুর স্পর্শে এসে ঘনীভূত হয়ে তাই নিম্নচাপযুক্ত অঞ্চলে মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় সৃষ্টি হয়ে, অশান্ত আবহাওয়া বিরাজ করে।

11. বায়ুচাপের পার্থক্যের কারণগুলি আলোচনা করো। 

উঃ। বায়ুচাপের পার্থক্যের কারণগুলি হল :

(i) বায়ুর উয়তা : সকল পদার্থের মতো বায়ুও উত্তপ্ত হলে আয়তনে বৃদ্ধি পায় এবং তার ঘনত্ব কমে যায়। এতে বায়ু হালকা হয়। হালকা বায়ুর চাপ কম হয় এবং উয় বায়ুতে জলীয় বাষ্প ধারণের ক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে কাছে জলভাগ থাকলে বায়ু আর্দ্র হয় এবং কম চাপ দেয়। অপরপক্ষে বায়ু শীতল হলে সংকুচিত হয় এবং তার ঘনত্ব বেড়ে যায়। তাই বায়ুর চাপ বেড়ে যায়। এই কারণে শীতল মেরু অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেশি এবং উয় নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হয়।

(ii) বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ : শুষ্ক বায়ু অপেক্ষা জলীয় বাষ্প হালকা। তাই বায়ুতে জলীয় বাষ্প থাকলে তা হালকা হয় এবং তা শুষ্ক বায়ুর চেয়ে কম চাপ দেয়। এজন্য জলীয় বাষ্প বায়ুতে মিশলে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়। তার ফলেই ঝড়, বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়।

(iii) ভূমির উচ্চতা : পৃথিবীর অভিকর্ষ এবং উপরের বায়ুস্তরের প্রবল চাপে বায়ুর অণুগুলি ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বেশি। পরিমাণে থাকে আর যত উপরের দিকে যাওয়া যায় তত পরস্পর থেকে দূরে ছড়িয়ে পড়ে। সুতরাং ভূমির উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর ঘনত্ব কমে এবং বায়ুর চাপও কমে। প্রতি 110 মিটার উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে 1 সে পারদস্তম্ভের সমান বায়ুচাপ কমতে থাকে। এ কারণেই উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে জলের স্ফুটনাঙ্ক কমে যায় এবং 1000 সে. এর কম উয়তাতেই জল ফুটতে শুরু করে। তাই কোনো কিছু সিদ্ধ হতে অসুবিধা হয়।

















No comments:

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();