ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী || দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন` | HS Class 12||
- উচ্ছবেৱ উপােস শুরু কবে থেকে?
Answer : যবে থেকে পােকায় ধান নষ্ট করে, সেই থেকে উচ্ছবের আধপেটা, সিকিপেটা উপােস শুরু।
- বাসিনী ভাতেৱ ভাৱী ডেকচিটা ধৱতে বলায় উচ্ছব কী বলে ও কী ভাবে?
Answer : উচ্ছব বলে, এই যে ধরি এবং উচ্ছবের মাথায় তখন বুদ্ধি স্থির, সে জানে, সে কী করবে।
- বাসিনী থমকে দাঁড়ায় কেন?
Answer : ভাত খেতে নিষেধ করায় উচ্ছবের চোখ বাদার কামটের মতাে হিংস্র, দাঁতগুলির মধ্যে কামটের হিংস্র ভঙ্গি, তা দেখে বাসিনী থমকে দাঁড়ায়।
- উচ্ছবের আসল বাদাটাৱ খোঁজ করা হয় না কেন?
Answer : উচ্ছব বড়ােবাড়ির লােকের হাতে ধরা পড়ে এবং তাকে মারতে মারতে থানায় দেওয়া হয়, সেজন্য আসল বাদার খোঁজ তার নেওয়া হয় না।
- পাঠ্যাংশে বর্ণিত ‘ভাত’ গল্পে ‘বাদা’ বলতে কীরূপ অঞ্চলকে বােঝায়?
Answer : পাঠ্যাংশে বর্ণিত ভাত’ গল্পে ‘বাদা’ বলতে মূলত কৃষিজ অঞ্চলকে বােঝায়।
- উচ্ছবেৱ কুঁড়েঘরখানা কী করে ভেঙে যায়?
Answer : মাতলার উপচে আসা দুরন্ত জলের টানে উচ্ছবের কুঁড়েঘরখানা ভেঙে যায়।
- তাস পিটানাে ছেলেগুলি অস্বস্তিতে পড়ে।’-কেন ছেলেগুলি অস্বস্তিত পড়েছিল?
Answer : ঝড়ে-জলে উচ্ছবের সর্বনাশ হয়েছে, তার মানুষও ভেসে গেছে, সেজন্য সে কাঁদছে। কান্নার এই কারণ শুনে তাস পিটানাে ছেলেগুলি অস্বস্তিতে পড়ে।
- এসব কথা শুনে উচ্ছব বুকে বল পায়।”—কোন্ কথা শুনে ‘উচ্ছব’ বুকে বল পায়?
Answer : মেজোবউ জানতে চায় বাসিনী খাবার ঘর মুছেছে কিনা, কারণ মাছের সব রান্না শেষ হয়েছে, ঘরে তুলতে হবে। শুনে উচ্ছব বুকে বল পায়।
- ওই পাঁচ ভাগে ভাত হয়?—পাঁচ ভাগের নাম কী?
Answer : পাঁচভাগে ভাতের নাম-ঝিঙেশাল, রামশাল, কনকপানি, পদ্মজালি ও মােটা সাপ্টা।
- ঝিঙেশাল চাল এবং মশাল চাল কী কী দিয়ে খায়?
Answer : ঝিঙেশাল চালের ভাত নিরামিষ ডাল তরকারির সঙ্গে এবং রামশাল চালের ভাত মাছের সঙ্গে খায়।
- তান্ত্রিকের হোম-যজ্ঞ প্রস্তুতির বর্ণনা দাও।
Answer : পাঁচ প্রকার গাছের কাঠ— প্রতিটা আধমণ করে। কালো বিড়ালের লোম, শ্মশান। থেকে বালি, বেশ্যার ঘর থেকে আনতে হবে হাত-আর্শি।
- “চোখ ঠিকরে আসে তার কী দেখে, কার চোখ ঠিকরে আসে?
Answer : পাঁচ রকমের চাল দেখে উচ্ছবের চোখ ঠিকরে আসে।
- “লোকটার চাহনি বড়ো বাড়ির বড়ো বউয়ের প্রথম থেকেই ভাল লাগেনি”– ভালো না লাগার কারণ কী ?
Answer : লোকটার চাহনি খুব উগ্র ছিল বলে বড়ো বাড়ির বড়ো বউয়ের ভালো লাগেনি।
- “তোমার শ্বশুরই মরতে বসেছে বাছা” কথাটি যিনি যাকে বলেছেন উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক কী?
Answer : কথাটি যিনি যাকে বলেছেন উভয়ের মধ্যে পিসিশাশুড়ির ও ভাইপো-বৌ সম্পর্ক।
- “শ্বশরের ঘরে নার্স” নার্স কাকে বলে ?
Answer : বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোগীর সেবিকাকে নার্স বলে।
- “বাদায় থাকে অথচ ভাতের আহিংকে এতখানি”– আহিংকে’ শব্দের অর্থ কী ?
Answer : এখানে আহিংকে’ শব্দের অর্থ হলো ‘আকাঙ্ক্ষা।
- উচ্ছবকে জেলখানায় কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল?
Answer : উচ্ছব ভাত খাওয়ার জন্যে বড়ো বাড়ির ভাতসুদ্ধ পিতলের ডেকচি নিয়ে স্টেশনে চলে গিয়েছিল। তাতে লোকেরা উচ্ছবকে চুরির অপবাদ দিয়ে জেলে নিয়ে গিয়েছিল।
- “তাস পিটানো ছেলেগুলি অস্বস্তিতে পড়ে।” কেন ছেলেগুলি অস্বস্তিতে পড়েছিল ?
Answer : ঝড়ে-জলে উচ্ছবের সর্বনাশ হয়েছে, তার মানুষও ভেসে গেছে, সেজন্য সে কাঁদছে। কান্নার এই কারণ শুনে তাস পিটানো ছেলেগুলি অস্বস্তিতে পড়ে।
- “তোমরা রা কাড়না ক্যান”– কে, কাদের উদ্দেশে এই কথা বলেছিল ?
Answer : আলোচ্য কথাটি উচ্ছব তার স্ত্রী-সন্তানদের উদ্দেশে বলেছিল।
- “গরিবের গতর এরা শস্তা দেখে”- কে, কাকে, কাদের প্রসঙ্গে এই কথা বলেছিল?
Answer : মহাশ্বেতা দেবীর ভাত’ গল্পের বাসিনী উচ্ছবকে বড়ো বাড়ির মানুষজনদের সম্বন্ধে এই কথা বলেছিল।
- “তার জন্য দই পেতে ইসবগুল দিয়ে শরবত করে দিতে হত”- কার জন্যে, কে শরবত করে দিতেন?
Answer : ‘ভাত’ গল্পে বড়ো বাড়ির বড়ো বউ শ্বশুরমশাইয়ের জন্য শরবত করে দিতেন।
- ভাত খাবে কাজ কৱবে’-এ কথা কে বললে?
Answer : ভাত খাবে কাজ করবে’ এ কথা বললে বামুনঠাকুর।
- কাৱ নিয়মে এ সংসাৱে সবকিছুই চলে?
Answer : বড়াে পিসির নিয়মে এ সংসারে সবকিছুই চলে।
- বড়াে পিসির বিয়ে নিয়ে কাৱা কী বলে?
Answer : বড় পিসির বিয়ে নিয়ে বড়ােবাড়ির লােকেরা বলে, তাঁর বিয়ে হয়েছে ঠাকুরের সঙ্গে।
- আজকাল বড়াে পিসির কথায় যেন কী থাকে?
Answer : আজকাল বড়াে পিসির কথায় কেমন যেন একটা ঠেস থাকে।
- মেজোবউ উনান পাড়ে বসেছে কেন?
Answer : শাশুড়ির মাছ খাওয়া বুঝি ঘুচে যাচ্ছে, তাই মাছভাত বেঁধেবেড়ে তাকে খাওয়ানাে তার কাজ।
- ছেলেদেৱ কেন চাকরি করা হয়ে ওঠেনি?
Answer : ছেলেদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি, কারণ তারা ঘুম থেকে ওঠে বেলা এগারােটায়।
- শ্বশুৱ বড়াে বউয়ের কাছে কীসেৱ মতাে?
Answer : শশুর বড়াে বউয়ের কাছে ঠাকুরদেবতার মতাে।
- যজ্ঞি-হােমের জন্য কী কী কাঠ কত পরিমাণ করে?
Answer : যজ্ঞি-হােমের জন্য বেল, ক্যাওড়া, অশ্বত্থ, বট, তেঁতুল গাছের কাঠ আধমন করে।
- তান্ত্রিক বাড়ির বুড়াে কর্তাৱ প্রাণটুকু কীভাবে ধরে রাখবেন?
Answer : তান্ত্রিক হােম করে বাড়ির বুড়াে কর্তার প্রাণটুকু ওই হাত-আরশিতে ধরে রাখবেন।
- বাড়ির ছেলেবাবুদেৱ কার জন্যে কী চালের ভাত রান্না হয়?
Answer : বাড়িতে ভাত রান্না হয় বড়ােবাবুর জন্য কনকপানি চাল, মেজো ও ছােটোবাবুর জন্য পদ্মজালি চাল।
- উৎসব লােকটি কী নামে পরিচিত?
Answer : উৎসব লােকটি উচ্ছব নাইয়া নামে পরিচিত।
- ঝড়-জলে মাতলাৱ গর্ভে যা গেছে তার খোঁজে উচ্ছব পাগল থাকায় তাৱ কী খাওয়া হয়নি?
Answer : তার খাওয়া হয়নি ত্রাণের বিলি করা রান্না খিচুড়ি।
- অ উচ্ছব, মনিবের ধান যায় তাে তুই কাদিস কেন?—তাৱ জবাবে উচ্ছব কী বলে?
Answer : জবাবে উচ্ছব বলে যে, লক্ষ্মী আসতে না আসতে ভাসান যাচ্ছে, সে এতটুকু কাঁদবে না !
- যে বাদায় উচ্ছবের বাস, সেখানে কী মেলে?
Answer : যে বাদায় উচ্ছবের বাস সেখানে মেলে শুধু গুগলি, গেঁড়ি, কচুশাক আর সুসনি শাক।
- “ তাস পিটানাে ছেলেগুলি অস্বস্তিতে পড়ে । ” কেন ছেলেগুলি অস্বস্তিতে পড়েছিল ?
Answer : ঝড়ে – জলে উচ্ছবের সর্বনাশ হয়েছে , তার মানুষও ভেসে গেছে , সেজন্য সে কাঁদছে । কান্নার এই কারণ শুনে তাস পিটানাে ছেলেগুলি অস্বস্তিতে পড়ে ।
- “ শ্বশুরের ঘরে নার্স ” – নার্স কাকে বলে ?
Answer : বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রােগীর সেবিকাকে নার্স বলে ।
- ” গরিবের গতর এরা শস্তা দেখে ” – কে , কাকে , কাদের প্রসঙ্গে এই কথা বলেছিল ?
Answer : মহাশ্বেতা দেবীর ‘ ভাত ’ গল্পের বাসিনী উচ্ছবকে বড়াে বাড়ির মানুষজনদের সম্বন্ধে এই কথা বলেছিল ।
- “ তার জন্য দই পেতে ইসবগুল দিয়ে শরবত করে দিতে হত ” —কার জন্যে , কে শরবত করে দিতেন ?
Answer : ‘ ভাত ’ গল্পে বড়াে বাড়ির বড়াে বউ শ্বশুরমশাইয়ের জন্য শরবত করে দিতেন ।
- “ বাদায় থাকে অথচ ভাতের আহিংকে এতখানি ” – আহিংকে ’ শব্দের অর্থ কী ?
Answer : এখানে ‘ আহিংকে ’ শব্দের অর্থ হলাে ‘ আকাঙ্ক্ষা ।
- উচ্ছবকে জেলখানায় কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ?
Answer : উচ্ছব ভাত খাওয়ার জন্যে বড়াে বাড়ির ভাতসুদ্ধ পিতলের ডেকচি নিয়ে স্টেশনে চলে গিয়েছিল । তাতে লােকেরা উচ্ছবকে চুরির অপবাদ দিয়ে জেলে নিয়ে গিয়েছিল ।
- ” লােকটার চাহনি বড়াে বাড়ির বড়াে বউয়ের প্রথম থেকেই ভাল লাগেনি ” ভালাে না লাগার কারণ কী ?
Answer : লােকটার চাহনি খুব উগ্র ছিল বলে বড় বাড়ির বড় বউয়ের ভালাে লাগেনি ।
- “ তােমার শ্বশুরই মরতে বসেছে বাছা ” কথাটি যিনি যাকে বলেছেন উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক কী ?
Answer : কথাটি যিনি যাকে বলেছেন উভয়ের মধ্যে পিসিশাশুড়ির ও ভাইপাে – বৌ সম্পর্ক ।
- “ তােমরা রা কাড়না ক্যান ” – কে , কাদের উদ্দেশে এই কথা বলেছিল ?
Answer : আলােচ্য কথাটি উচ্ছব তার স্ত্রী – সন্তানদের উদ্দেশে বলেছিল ।
- তান্ত্রিকের হােম – যজ্ঞ প্রস্তুতির বর্ণনা দাও ।
Answer : পাঁচ প্রকার গাছের কাঠ— প্রতিটা আধমণ করে । কালাে বিড়ালের লােম , শ্মশান থেকে বলি, বেশ্যার ঘর থেকে আনতে হবে হাত-আর্শী।
- “ চোখ ঠিকরে আসে তার ” —কী দেখে , কার চোখ ঠিকরে আসে ?
Answer : পাঁচ রকমের চাল দেখে উচ্ছবের চোখ ঠিকরে আসে ।
MCQ প্রশ্নোত্তর [মান ১] উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন || ভাত (গল্প) প্রশ্ন উত্তর || HS Bengali Suggestion||
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
- বড়াে পিসিমা কী শেষ খোচা মারেন ?
(ক) তােমার মরতে-বসা শ্বশুরের জন্যই তাে লােকের ব্যবস্থা।
(খ) তােমার মরতে-বসা শশুরের দেখভালের জন্যই তাে লােক আনা।
(গ) তােমার মরতে-বসা শ্বশুরের হােম-যজ্ঞির জন্যে একটা লােক খাবে।
(ঘ) তােমার মরতে-বসা শ্বশুরের পরকালের পুণ্যির জন্যে লােক খাওয়ানাে।
Answer : গ) তােমার মরতে-বসা শ্বশুরের হােম-যজ্ঞির জন্যে একটা লােক খাবে।
- বড়াে বউ কোনাে কথা বলে না, কারণ—
(ক) বড়াে পিসিমার সব কথাই সত্যি।
(খ) বড়াে পিসিমার সব কথাই বানানাে।
(গ) বড় পিসিমার সব কথাই মিথ্যে।
(ঘ) বড়ো পিসিমার সব কথাই হুল-ফোটানােনা।
Answer : (ক) বড়াে পিসিমার সব কথাই সত্যি।
- ‘বড়াে বউ প্রায় দৌড়ে চলে যায়, কারণ—
(ক) আজ হােম-যজ্ঞির বাড়িতে কত আয়ােজন করতে হবে।
(খ) আজ হােম-যজ্ঞির বাড়িতে কত কাজ।
(গ) আজ হােম-যজ্ঞির বাড়িতে বসবার ফুরসত কী আছে ?
(ঘ) আজ হােম-যজ্ঞির বাড়িতে গপ্পো করার সময় নেই।
Answer : (খ) আজ হােম-যজ্ঞির বাড়িতে কত কাজ।
- এ বাড়ির ছেলেদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি, কারণ—
(ক) তারা বাড়ির কাজে খুবই ব্যস্ত।
(খ) তারা ঘুম থেকে এগারােটার আগে ওঠে না।
(গ) তারা বড্ড বেশি অলস।
(ঘ) তাদের কোনাে কাজে মন ও একাগ্রতা নেই।
Answer : (খ) তারা ঘুম থেকে এগারােটার আগে ওঠে না।
- আজ এই হােম-যজ্ঞি হচ্ছে, কারণ—
(ক) ডাক্তাররা বলে দিয়েছে।
(খ) গণৎকার হাত দেখে বলেছে।
(গ) তান্ত্রিক সাধু রােগনিরাময়ের জন্য উদ্যোগী হয়েছে।
(ঘ) বাড়ির লােক শেষ চেষ্টা হিসেবে হােম-যজ্ঞি করতে চেয়েছে।
Answer : (ক) ডাক্তাররা বলে দিয়েছে।
- আজ খাওয়াদাওয়া ঝপ করে সারতে হবে, কারণ-
(ক) সবাই তান্ত্রিকের হােম-যজ্ঞি দেখবে।
(খ) সকলে হােম-যজ্ঞিতে অংশ নেবে।
(গ) সকলে হােম-যজ্ঞির সময় বাড়ির বাইরে থাকবে।
(ঘ) হােম-যক্তির আগে সবাইকে খেয়ে নিতে হবে।
Answer : (ঘ) হােম-যক্তির আগে সবাইকে খেয়ে নিতে হবে।
- চাল এনে পাহাড় করেছে, কারণ-
(ক) এরা খুব বড়ােলােক।
(খ) এরা চাল জমিয়ে কালােবাজারি করতে চায়।
(গ) বাদায় এদের অনেক জমি, তাই।
(ঘ) এদের আড়তদারি ব্যাবসা আছে।
Answer : (গ) বাদায় এদের অনেক জমি, তাই।
- কপালটা মন্দ উচ্ছবের ; কারণ-
(ক) রানা খিচুড়ি দেওয়া দিনগুলিতে সে অসুস্থ ছিল।
(খ) রান্না খিচুড়ি যতদিন দেওয়া হচ্ছিল সে ততদিন খেতে পারেনি।
(গ) রান্না খিচুড়ি দেওয়া দিনগুলিতে তার খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল।
(ঘ) রান্না খিচুড়ি দেওয়া দিনগুলিতে তাকে খেতে দেওয়া হয়নি।
Answer : (খ) রান্না খিচুড়ি যতদিন দেওয়া হচ্ছিল সে ততদিন খেতে পারেনি।
- মুখবন্ধ টিনের কৌটোর মধ্যে উচ্ছবের কী ছিল ?
(ক) নিভুই উচ্ছব নাইয়ার জমি চেয়ে দরখাস্তের নকল।
(খ) উচ্ছব নাইয়ার শ্রমের সঞ্চিত টাকা।
(গ) উচ্ছবের প্রতিদিন খাওয়ার ওষুধপাতি।
(ঘ) উচ্ছবের ছােটো খােকার ফুড।
Answer : (ক) নিভুই উচ্ছব নাইয়ার জমি চেয়ে দরখাস্তের নকল।
- বাসিনীর বােন আর ভাজ কলকাতা যাচ্ছিল, কারণ—
(ক) ওরা কলকাতায় বাস করবে।
(খ) ওরা কলকাতায় লেখাপড়া করবে।
(গ) ওরা কলকাতায় হাতের কাজ শিখবে।
(ঘ) ওরা কলকাতায় কিছুকাল ঠিকে কাজ করবে।
Answer : (ঘ) ওরা কলকাতায় কিছুকাল ঠিকে কাজ করবে।
- গ্রামের সবাই বাসিনীর মনিব বাড়ির কী গল্প শুনেছে ?
(ক) বাড়িতে হেলাফেলা ভাত।
(খ) বাড়িতে চাকর-চাকরানির মেলা।
(গ) বাড়িতে অঢেল টাকাপয়সা।
(ঘ) বাড়িতে আসা-যাওয়ার ব্যাপারে খুব কড়াকড়ি।
Answer : (ক) বাড়িতে হেলাফেলা ভাত।
- কী দেখে উচ্ছব মাথায় হাত দিয়েছিল ?
(ক) মাঠে পাকা ধান নষ্ট হতে দেখে।
(খ) মাঠে ফসল হল না দেখে।
(গ) কার্তিক মাসেই ধান খড় হয়ে গেছে দেখে।
(ঘ) মাঠের ধানে শিষ হয় না দেখে।
Answer : (গ) কার্তিক মাসেই ধান খড় হয়ে গেছে দেখে।
- “অঃ উচ্ছব, মনিবের ধান যায় তাে তুই কাদিস কেন ?
(ক) মনিবের ধান না হলে আমাদের পেট চলবে কী করে সেজন্য।
(খ) মনিবের আয় না থাকলে আমাদের কাজ-কাম থাকবে কেন, সেজন্য।
(গ) মনিবের ঘরে ফসল না উঠলে আমরা ভিখিরি হব সেজন্য।
(ঘ) লক্ষ্মী না আসতে সেধেভাসান যাচ্ছে কাঁদব না এতটুকু।
Answer : (ঘ) লক্ষ্মী না আসতে সেধেভাসান যাচ্ছে কাঁদব না এতটুকু।
- ক্ষুধার্ত উচ্ছব তাড়াতাড়ি হাত চালায়, কারণ—
(ক) হােমের কাঠ তাড়াতাড়ি দরকার।
(খ) কাঠ না হলে হােম-যজ্ঞি শুরুই হবে না।
গ) কাঠ কাটলে হােম হবে, হােম হলে তবে ভাত।
(ঘ) হােমের কাঠ জোগান দিতে না পারলে ভাত পাবে না।
Answer : (খ) কাঠ না হলে হােম-যজ্ঞি শুরুই হবে না।
- উচ্ছৰ চান করবে না, কারণ—
(ক) তার বেশ বেলা করে চান করা অভ্যেস।
(খ) মাথায় জল দিলে পেট মানতে চায় না মােটে।
(গ) যে-কোনাে জায়গার জল তার সহ্য হয় না।
(ঘ) চান করলে শরীরটা কেবল খাই খাই করে।
Answer : (খ) মাথায় জল দিলে পেট মানতে চায় না মােটে।
- বাসিনী থমকে দাঁড়ায়, কারণ-
(ক) উচ্ছবকে ভাতের ডেকচি নিয়ে ছুটে পালাতে দেখে।
(খ) উচ্ছৰকে ভাত গােগ্রাসে গিলতে দেখে।
(গ) উচ্ছবকে দাঁত বের করে কামটের মতাে হিংস্র ভঙ্গি করতে দেখে।
(ঘ) উচ্ছবকে ডেকচিটি গায়েব করার মতলব আঁটতে দেখে।
Answer : (গ) উচ্ছবকে দাঁত বের করে কামটের মতাে হিংস্র ভঙ্গি করতে দেখে।
- মারতে মারতে উচ্ছবকে ওরা থানায় নিয়ে যায়, কারণ—
(ক) পিতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে।
(খ) বাবুর বাড়ি চুরি করার মতলব আঁটার অপরাধে।
(গ) ভাতের জন্য খুনখারাবির অপরাধে।
(ঘ) বউ-ছেলেমেয়েকে খেতে না দেওয়ার অপরাধে।
Answer : (ক) পিতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে।
- আসল বাদাটার খোঁজ করা হয় না আর উচ্ছবের, কারণ—
(ক) তার গাড়িভাড়ার পয়সা নেই।
(খ) মেহনত করার মতাে তার শরীরে আর বল নেই।
(গ) খুঁজতে যাওয়ার মতাে সাহসী সঙ্গী নেই।
(ঘ) সে থানায় কয়েদ হওয়ার জন্য বেরােতে পারছে না।
Answer : (ঘ) সে থানায় কয়েদ হওয়ার জন্য বেরােতে পারছে না।
- লােকটার চাহনি প্রথম থেকেই বড়ােবাড়ির কার ভালাে লাগছিল না ?
(ক) বড় বউয়ের। (গ) বড়াে পিসির।
(খ) মেজো বউয়ের। (ঘ) ছােটো বউয়ের।
Answer : (ক) বড় বউয়ের।
- লােকটার চাহনি কেমন ছিল?
(ক) নরম। (গ) উগ্র।
(খ) নম্র। (ঘ) প্রখর।
Answer : (গ) উগ্র।
- বড়ােবাড়ির সংসারে সবকিছু চলে কার নিয়মে ?
(ক) বড়াে বউয়ের। (গ) বড়াে কর্তার।
(খ) বড়ো পিসির। (ঘ) বড়াে ছেলের।
Answer : (খ) বড়ো পিসির।
- বাসিনী বড়ােবাড়ির কে ?
(ক) বউ। (গ) গিন্নি।
(খ) মেয়ে। (ঘ) চাকরানি।
Answer : (ঘ) চাকরানি।
- বড়ােবাড়ির বুড়াে কর্তার বয়স কত?
(ক) একাশি। (গ) তিরাশি।
(খ) বিরাশি। (ঘ) চুরাশি।
Answer : (খ) বিরাশি।
- রেঁধে-বেড়ে শাশুড়িকে খাওয়ানাে কার কাজ ?
(ক) মেজো বউয়ের। (গ) ছােটো বউয়ের।
(খ) বড় বউয়ের। (ঘ) সেজো বউয়ের।
Answer : (ক) মেজো বউয়ের।
- নিভুই উচ্ছবের জমি চেয়ে দরখাস্তের নকল ছিল কীসে?
(ক) কৌটোয়। (গ) সিন্দুকে।
(খ) বাক্সে। (ঘ) আলমারিতে।
Answer : (ক) কৌটোয়।
- কে হঠাৎ খুব বুদ্ধিমান সাজতে চায় ও বলে, সে এটা কতা বটে ?
(ক) সতীশবাবু। (গ) চনুনীর মা।
(খ) উচ্ছব। (ঘ) বড়াে পিসি।
Answer : (খ) উচ্ছব।
- বড় খিদে নেগেচে মা গাে!-মা কে?
(ক) বাড়ির গিন্নি। (গ) বড়াে পিসি
(খ) বাড়ির বড়াে বউ। (ঘ) বুড়াে কর্তার খাস ঝি।
Answer : (গ) বড়াে পিসি
- গরিবের গতর এরা শস্তা দেকে’—কে বলেছে ?
(ক) রাঁধুনি ঠাকুর। (গ) বুড়াে কর্তার খাস ঝি।
(খ) বাসিনী। (ঘ) বাড়ির দরােয়ান।
Answer : (খ) বাসিনী।
- লােকটার চাহনি বড়াে বাড়ির বউয়ের প্রথম থেকেই ভালাে লাগেনি’, কারণ—
(ক) চাহনি কীরকম যেন হিংস্র।
(খ) চাহনি ক্রোধে ক্ষোভে কেমন যেন রক্তাভ।
(গ) চাহনি কীরকম যেন উগ্র।
(ঘ) চাহনি কীরকম যেন প্রতিহিংসাপরায়ণ।
Answer : (গ) চাহনি কীরকম যেন উগ্র।
- লােকটা সম্পর্কে বামুন ঠাকুর কী বলল ?
(ক) ভাত খাবে কাজ করবে।
(খ) দিনমজুরি হিসেবে কাজ করবে।
(গ) মাসকাবারি মজুরির ভিত্তিতে কাজ করবে।
(ঘ) সময়-অবসরে এসে কাজ করবে।
Answer : (ক) ভাত খাবে কাজ করবে।
- বড়াে পিসির বিয়ের ব্যাপারে খুবই অদ্ভুত কথা, কারণ—
(ক) তার নাকি কয়েক বার বিয়ে হয়েছে।
(খ) তাঁর বিয়ে হয়নি।
(গ) তিনি বিধবা হয়ে বাপের সংসার সামলেছেন।
(ঘ) তিনি বর ছেড়ে এসে বাপের ঘরে থেকেছেন।
Answer : (খ) তাঁর বিয়ে হয়নি।
- অমন বড়ােলােক হয়েও বড়াে পিসির বিয়ে দেয়নি তাঁর বাপ, কারণ—
(ক) বড়াে পিসি ছােটো থেকে বড্ড রুষ্ণ ছিল বলে।
(খ) বড়াে পিসি বিয়ে করতে রাজি হয়নি বলে।
(গ) বড় পিসির পছন্দ মতন বর জোটেনি বলে।
(ঘ) বিপত্নীক বুড়াে বাপের সংসার ঠেলবার জন্যে।
Answer : (ঘ) বিপত্নীক বুড়াে বাপের সংসার ঠেলবার জন্যে।
- বড়ো পিসির বিয়ের ব্যাপারে বাড়ির লােকেরা কী বলে?
(ক) বিয়ের ব্যাপারে বড়াে পিসির ছিল অসম্মতি।
(খ) বিয়ের ব্যাপারে বড়াে পিসি বর পছন্দ করে উঠতেই পারেনি।
গ) বড় পিসির বিয়ে হয়েছিল ঠাকুরের সঙ্গে।
(ঘ) বড়াে পিসি বিয়ের ছাদনাতলা থেকে সেই যে পালিয়ে এসেছিল আর ওমুখাে হয়নি।
Answer : গ) বড় পিসির বিয়ে হয়েছিল ঠাকুরের সঙ্গে।
- বড়াে বউ চুপ করে যায়’, কারণ-
(ক) বড়াে পিসির কথায় কেমন যেন রাগরাগ ভাব।
(খ) বড়াে পিসির কথায় আজকাল কেমন যেন একটা ঠস থাকে।
(গ) বড়াে পিসির কথায় কেমন যেন একটা ঈর্ষার ভুল থাকে।
(ঘ) বড়াে পিসির কথায় কেমন যেন প্রতিহিংসার খোচা থাকে।
Answer : (খ) বড়াে পিসির কথায় আজকাল কেমন যেন একটা ঠস থাকে।
- কার মৃতিচ্ছনের কথা বলেছিলেন সতীশবাবু ?
(ক) উচ্ছবের। (গ) চনুনীর মায়ের।
(খ) সাধনবাবুর। (ঘ) বাসিনীর।
Answer : (ক) উচ্ছবের।
- পেটে ভাত নেই বলে উচ্ছবও কী হয়ে আছে ?
(ক) পাগল। গ) প্রেত।
(খ) ক্ষুব্ধ (ঘ) আধমরা।
Answer : গ) প্রেত।
- উচ্চব ক-ভাগে কাঠ রেখে আসে দালানে ?
(ক) দুই। (গ) চার।
(খ) তিন। (ঘ) পাঁচ।
Answer : (ঘ) পাঁচ
- ডাক্তারকে কল দিন’—এ কথা কে বলল ?
(ক) বড় বউ। (গ) বড়াে পিসি।
(খ) নার্স। (ঘ) বুড়াে কর্তার খাস ঝি।
Answer : (খ) নার্স।
- চাতালে শুয়ে-থাকা উচ্ছবের ঘুম ভাঙে কখন ?
(ক) সকালে। (গ) সাঁঝবেলায়।
(খ) দুপুরে। (ঘ) রাত্রিতে।
Answer : (গ) সাঁঝবেলায়।
- উচ্ছব বাড়িতে ঢুকে বড়াে পিসির কী শােনে ?
(ক) খেদ। (গ) কান্না।
(খ) আক্ষেপ। (ঘ) বিলাপ।
Answer : (ঘ) বিলাপ।
- বড়ো পিসি কাকে জিজ্ঞেস করে কেত্তন বলা হয়েছে কি না ?
(ক) বড়াে খোকা। (গ) ছােটো খােকা।
(খ) মেজো খােকা। (ঘ) বাড়ির ম্যানেজার।
Answer : (ক) বড়াে খোকা।
- উচ্ছবের মাথা থেকে কী সরে যায় ?
(ক) ভাবনা। (গ) মেঘ।
(খ) বদচিন্তা। (ঘ) দুর্ভাবনা।
Answer : (গ) মেঘ।
- কনকপানি’ চালের ভাত খান-
(ক) বড়ােবাবু। (গ) ছােটোবাবু।
(খ) মেজোবাবু। (ঘ) পিসিমা।
Answer : (ক) বড়ােবাবু।
- বড়াে বাড়িতে মেজো আর ছােটো ছেলের জন্য বারােমাস কোন্ চাল রান্না হয় ?
(ক) ঝিঙেশাল। (গ) পদ্মজালি।
(খ) রামশাল। (ঘ) কনকপানি।
Answer : (গ) পদ্মজালি।
- এ বাড়ির ছেলেদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি’, কারণ—
(ক) তারা ঘরজামাই থাকে।
(খ) তারা এগারােটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না।
(গ) তারা অসুস্থ।
(ঘ) তারা বাড়ির কাজে ব্যস্ত।
Answer : (খ) তারা এগারােটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না।
- বড়াে বাড়িতে কনকপানি চালের ভাত রান্না হয়—
(ক) বামুন চাকর ঝি-দের জন্য।
(খ) মেজো আর ছােটোর জন্য।
(গ) বড়ােবাবুর জন্য।
(ঘ) নিরামিষ ডাল তরকারির সঙ্গে খাবার জন্য।
Answer : (গ) বড়ােবাবুর জন্য।
- “কালাে বিড়ালের ললাম আনতে গেছে”
(ক) ভজন চাকর (গ) উচ্ছব
(খ) বড়ােপিসিমা (ঘ) বড়াে বউ।
Answer : (ক) ভজন চাকর।
- উচ্ছব বাসিনীর গাঁ সম্পর্কে কে হয় ?
(ক) দাদা (খ) কাকা (গ) বানাই (ঘ) বেহাই
Answer : (ক) দাদা
- গ্রামের প্রাম্পের জন্যে কাকে ডাকা হতো?
(ক) উচ্ছবকে (খ) অগ্রদানীকে (গ) পণ্ডিতকে (ঘ) মহানাম শতপথিকে
Answer : (ঘ) মহানাম শতপথিকে
- “এ পিচাশের বাড়ি কেমন তা ঝাননি দাদা”– এখানে ‘দাদা কে?
(ক) ডাক্তার (খ) ভজন (গ) তান্ত্রিক (ঘ) উচ্ছব
Answer : (ঘ) উচ্ছব
- উচ্ছব কী পরেছিল?
(ক) প্যান্ট (খ) লুঙ্গি (গ) ছেঁড়া কানি (ঘ) কাপড়
Answer : (খ) লুঙ্গি
- কার চাহনি বড়ো বউয়ের ভালো লাগেনি ?
(ক) উচ্ছবের (খ) নার্সের (গ) তান্ত্রিকের (ঘ) শ্বশুরের
Answer : (ক) উচ্ছবের
- ‘ভাত’ গল্পে কার বিয়ে হয়নি ?
(ক) উচ্ছবের (খ) উচ্ছবের (গ) ছোটো ছেলের (ঘ) পিসিমার
Answer : (ঘ) পিসিমার
- “ডাক্তার বলে দিয়েছে বলেই যজ্ঞি-হোম হচ্ছে” ডাক্তার কী বলেছিলেন?
(ক) যজ্ঞ করতে (খ) চন্দ্রায়ণ করতে (গ) তান্ত্রিক ডাকতে (ঘ) মৃত্যু আসন্ন
Answer : (ঘ) মৃত্যু আসন্ন
- ‘কনকপানি’ চালের ভাত খান
(ক) বড়োবাবু (খ) মেজোবাবু (গ) ছোটোবাবু (ঘ) পিসিমা
Answer : (ক) বড়োবাবু
- ট্রেন ধরে উচ্ছব প্রথমে কোথায় যাবে ভেবেছিল ?
(ক) দেশে (খ) কালীঘাটে (গ) গাঁয়ে (ঘ) ক্যানিং-এ
Answer : (ঘ) ক্যানিং-এ
- “এ বাড়ির ছেলেদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি।” কারণ—
(ক) তারা ঘরজামাই থাকে (খ) তারা এগারোটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না (গ) তারা অসুস্থ (ঘ) তারা বাড়ির কাজে ব্যস্ত
Answer : (খ) তারা এগারোটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না
- কর্তার মৃত্যু হলে পিসিমা তান্ত্রিককে কী অপবাদ দিয়েছিলেন ?
(ক) পিশাচ (খ) ভণ্ড সন্ন্যাসী (গ) ডাকাতের সন্ন্যাসী (ঘ) যজ্ঞের
Answer : (গ) ডাকাতের সন্ন্যাসী
- “উনি আমার পতি দেবতা”– উনিটা কে ?
(ক) বাবু (খ) শিবঠাকুর (গ) বামুন (ঘ) উচ্ছব
Answer : (খ) শিবঠাকুর
- শ্বশুর খেতে আসার কতক্ষণ আগে বড়ো বউকে রুটি-লুচি করতে হতো?
(ক) পাঁচ মিনিট (খ) দশ মিনিট (গ) দুমিনিট (ঘ) এক ঘন্টা
Answer : (ক) পাঁচ মিনিট
- ছোটোবাবু কোন চালের ভাত খান?
(ক) কনকপানি (খ) ঝিডেশাল (গ) রামশাল (ঘ) পদ্মাজালি
Answer : (ঘ) পদ্মাজালি
- বড়ােবাড়ির দেবত্র বাড়ি ক-খানা ?
(ক) যােলাে। (গ) আঠারাে।
(খ) সতেরাে। (ঘ) উনিশ।
Answer : (গ) আঠারাে।
- কার কাছে শ্বশুর আর ঠাকুরদেবতা সমান ?
(ক) ছােটো বউয়ের। (গ) সেজো বউয়ের।
(খ) মেজো বউয়ের। (ঘ) বড়াে বউয়ের।
Answer : (ঘ) বড়াে বউয়ের।
- বড়ােবাড়ির হােম-যজ্ঞি করতে কে এসেছে?
(ক) ব্রাত্মণ পুরােহিত। (গ) তান্ত্রিক।
(খ) বেদজ্ঞ পণ্ডিত। (ঘ) শাস্ত্রজ্ঞ শিরােমণি।
Answer : (গ) তান্ত্রিক।
- হােম করে তান্ত্রিক শ্বশুরের প্রাণটিকে কীসে ধরে রাখবে ?
(ক) হাত-আরশিতে। (গ) বেশ্যাঘরের মাটিতে।
(খ) বিড়ালের লােমে। (ঘ) মন্ত্রের নাগপাশে।
Answer : (ক) হাত-আরশিতে।
- কী চালের ভাত নিরামিষ ডাল-তরকারির সঙ্গে ?
(ক) পদ্মজালি। (গ) কনকপানি।
(খ) মােটা সাপটা। (ঘ) ঝিঙেশাল।
Answer : (ঘ) ঝিঙেশাল।
- বড়ােবাড়িতে ভাত হয় মােট ক-ভাগে ?
(ক) চার। (গ) ছয়।
(খ) পাঁচ। (ঘ) সাত।
Answer : (খ) পাঁচ।
- ঝড়বৃষ্টির বাতাসের চাবুকে কার জল ছটফটিয়ে উঠেছিল ?
(ক) বিদ্যাধরীর। (গ) মাতলার।
(খ) ইছামতীর। (ঘ) রায়মঙ্গলের।
Answer : (গ) মাতলার।
- “ উনি আমার পতি দেবতা ” – উনিটা কে ? ( ক ) বাবু ( খ ) শিবঠাকুর ( গ ) বামুন ( ঘ ) উচ্ছব । .
Answer : ( খ ) শিবঠাকুর ।
- শ্বশুর খেতে আসার কতক্ষণ আগে বড়াে বউকে রুটি – লুচি করতে হতাে ? ( ক ) পাঁচ মিনিট ( খ ) দশ মিনিট ( গ ) দু’মিনিট ( ঘ ) এক ঘণ্টা ।
Answer : ( ক ) পাঁচ মিনিট ।
- ছােটোবাবু কোন চালের ভাত খান ? ( ক ) কনকপানি ( খ ) ঝিঙেশাল । ( গ ) রামশাল ( ঘ ) পদ্মজালি ।
Answer : ( ঘ ) পদ্মজালি ।
- উচ্ছব বাসিনীর গাঁ সম্পর্কে কে হয় ? ( ক ) দাদা । ( খ ) কাকা ( গ ) বােনাই ( ঘ ) বেহাই ।
Answer : ( ক ) দাদা ।
- কনকপানি ’ চালের ভাত খান— ( ক ) বড়ােবাবু ( খ ) মেজোবাবু ( গ ) ছােটোবাবু । ( ঘ ) পিসিমা ।
Answer : ( ক ) বড়ােবাবু ।
- ট্রেন ধরে উচ্ছব প্রথমে কোথায় যাবে ভেবেছিল ? ( ক ) দেশে ( খ ) কালীঘাটে ( গ ) গাঁয়ে ( ঘ ) ক্যানিং – এ ।
Answer : ( ঘ ) ক্যানিং – এ ।
- কার চাহনি বড়াে বউয়ের ভালাে লাগেনি ? ( ক ) উচ্ছবের ( খ ) নার্সের ( গ ) তান্ত্রিকের ( ঘ ) শ্বশুরের ।
Answer : ( ক ) উচ্ছবের ।
- ভাত ’ গল্পে কার বিয়ে হয়নি ? ( ক ) উন্ধবের ( গ ) ছােটো ছেলের ( ঘ ) পিসিমার ।
Answer : ( ঘ ) পিসিমার ।
- ডাক্তার বলে দিয়েছে বলেই যজ্ঞি – হােম হচ্ছে— ডাক্তার কী বলেছিলেন ? ( ক ) যজ্ঞ করতে ( খ ) চন্দ্রায়ণ করতে ( গ ) তান্ত্রিক ডাকতে ( ঘ ) মৃত্যু আসন্ন ।
Answer : ( ঘ ) মৃত্যু আসন্ন ।
- “ এ বাড়ির ছেলেদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি । ” কারণ— ( ক ) তারা ঘরজামাই থাকে ( খ ) তারা এগারােটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না ( গ ) তারা অসুস্থ । ( ঘ ) তারা বাড়ির কাজে ব্যস্ত ।
Answer : ( খ ) তারা এগারােটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না ।
- কর্তার মৃত্যু হলে পিসিমা তান্ত্রিককে কী অপবাদ দিয়েছিলেন ? ( ক ) পিশাচ ( খ ) ভণ্ড সন্ন্যাসী ( গ ) ডাকাতের সন্ন্যাসী ( ঘ ) যজ্ঞের ।
Answer : ( গ ) ডাকাতের সন্ন্যাসী ।
- গ্রামের শ্রাদ্ধের জন্যে কাকে ডাকা হতাে ? ( ক ) উচ্ছবকে ( খ ) অগ্রদানীকে ( গ ) পণ্ডিতকে ( ঘ ) মহানাম শতপথিকে ।
Answer : ( ঘ ) মহানাম শতপথিকে ।
- “ এ পিচাশের বাড়ি কেমন তা ঝাননি দাদা ” – এখানে ‘ দাদা ’ কে ? ( ক ) ডাক্তার ( খ ) ভজন ( গ ) তান্ত্রিক ( ঘ ) উচ্ছব ।
Answer : ( ঘ ) উচ্ছব ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর [ মান ৫ ] উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন – ভাত (গল্প) প্রশ্ন উত্তর | HS Bengali Suggestion
- “ এমন কত যে ফরমাশ । ” — ফরমাশগুলি কী ? কীসের জন্য এইসব কিছুর আয়ােজন ? এর দ্বারা সমাজের কোন দিকটি উন্মােচিত হয় ?
Answer : গ্রাম্য জীবনের স্বার্থক কথাকার মহাশ্বেতা দেবী রচিত” ভাত” গল্প থেকে আলোচ্য উক্তিটি নেওয়া হয়েছে । উক্তিটিতে যজ্ঞের জন্য যেসব ফরমাশের কথা বলা হয়েছে তা হল- বেল , ক্যাওড়া , অশ্বথ , বট ও তেঁতুলের আধমণ করে কাঠ প্রয়ােজন এবং তার প্রত্যেকটির মাপ আবার একইরকম হওয়া চাই । সেইসঙ্গে জরুরি কালাে বিড়ালের লােম , যা দিয়ে তান্ত্রিক বুড়োকর্তার দেহের রােগ বেঁধে বের করে আনবেন । একইসঙ্গে শ্মশান থেকে বালি আনার ফরমাশও রয়েছে ।
ফরমাস গুলি আয়োজনের কারণ :
বাড়ির বুড়াে কর্তার লিভার ক্যানসার । শাস্ত্রীয় আচারে হােম – যজ্ঞ করে তান্ত্রিক দেহ থেকে রােগ বের করে তাকে সুস্থ করবেন । তাই তান্ত্রিকের তন্ত্রক্রিয়ার জন্য কিছু জিনিসপত্র প্রয়ােজন । সেইসব জোগাড়ের জন্য এত কিছুর আয়ােজন ।
সমাজের উন্মোচিত দিক :
এই আয়ােজনের মধ্য দিয়ে আমাদের সমাজে ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস ও অলৌকিকতার প্রতি আস্থা প্রকাশিত হয়েছে । মানুষের জীবনের একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে । বুড়াে কর্তার বয়স বিরাশি বছর । তিনি লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত । ডাক্তাররা জবাব দিয়ে দিয়েছেন । তাঁর নিশ্চিত মৃত্যুকে মেনে নেওয়াই যুক্তি – বুদ্ধিসম্মত কাজ ।
কিন্তু আমাদের সমাজে মানুষের ধর্মবিশ্বাসের দুর্বলতাকে হাতিয়ার করে একদল ধর্ম ব্যবসায়ী তান্ত্রিক – পুরােহিতের দল রােগ । রোগ নিরাময়ের মিথ্যা আশ্বাস আর অর্থহীন আচার – পদ্ধতির মধ্য দিয়ে মানুষকে ঠকায় এবং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে । এর মধ্য দিয়ে সমাজে অন্ধবিশ্বাসের যে কতখানি প্রভাব রয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ।
- ফুটন্ত ভাতের গন্ধ তাকে বড়াে উতলা করে —এখানে কার কথা বলা হয়েছে ? ফুটন্ত ভাতের গন্ধ কেন তাকে উতলা করে ?
Answer : বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ‘ ভাত ’ গল্প থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিতে গল্পের প্রধান চরিত্র উচ্ছব তথা উৎসব নাইয়ার কথা বলা হয়েছে ।
মাতলা নদীর বন্যায় এক রাতের মধ্যে ঘর – বাড়ি , স্ত্রী – ছেলে – মেয়ে হারিয়ে উচ্ছব পাগল হয়ে যায় । পাগল উচ্ছব কারও কথা শােনে না । ঝড় – জলের দাপটে মাতলার গর্ভে চলে যাওয়া সব কিছু খুঁজে খুঁজে হয়রান উচ্ছব রান্না করা খিচুড়ি পর্যন্ত খায়নি ।
তারপর যখন তার হুঁশ হল ততদিন খিচুড়ি বন্ধ ড্রাইডাল ছাড়া কিছুই তার জোটেনি । চালগুলি চিবিয়ে জল খেয়ে কোনােমতে বেঁচে থাকা উচ্ছব মৃত আপনজনদের জন্য কাঁদে না , হঠাৎ ভাত খাওয়ার আশায় বাসিনীর সঙ্গে ।
সে কলকাতায় বড়াে বাড়িতে কাজ নেয় । তীব্র ক্ষুধা নিয়ে যজ্ঞের জন্য আবশ্যক আড়াই মণ কাঠ সে ভাত খাওয়ার আশায় কেটে ফেলে । তান্ত্রিকের নির্দেশমতাে যজ্ঞশেষের আগে সমস্ত রান্না করতে হবে , কিন্তু ভাত খাওয়া যাবে যজ্ঞ শেষ হলে ।
যজ্ঞ – হােম চলাকালীন সময়ে উচ্ছব বাড়ির লােকজনের কথাবার্তায় রান্না শেষ হওয়ার ইঙ্গিত পায় আর মনে মনে ভাত খাওয়ার আশাকে তীব্রতর করতে থাকে ।
কবে সে পেটপুরে ভাত খেয়েছে তার মনে নেই । এমনকি যেদিন উচ্ছব সব হারায় । সেদিনও সে হিঞে আর গুগলিসেদ্ধ নুন আর লঙ্কাপােড়া দিয়ে খেয়েছিল ।
তারপর থেকে ভাতের গন্ধ পাওয়ার জন্যে সে গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছে । আজ সেই ভাত পাওয়ার তার সামনে এসেছে । সেই উত্তেজনায় ফুটন্ত ভাতের গন্ধে উচ্ছব উতলা হয়ে ওঠে ।
- “তার চোখ এখন বাদার কামটের মতো হিংস্র ” — কে কার প্রতি এরূপ আচরণ করেছিল ? এরূপ আচরণের কারণ বিশ্লেষণ করো ।
- “কিন্তু সাগরে শিশির পড়ে । ” – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করাে
Answer : মানবদরদী ও গ্রাম্য জীবনের স্বার্থক কথাকার মহাশ্বেতা দেবী ‘ভাত’ গল্পে অভাগা দরিদ্র পীড়িত উচ্ছব তার পরিবার হারিয়ে শুধু মাত্র ভাতের আশায় কলকাতায় আসে । দীর্ঘ দিন উপোসি উচ্ছব কলকাতার বড়ো বাড়িতে কাঠ কাটার কাজে লাগে ।
বড়ো বাড়িতে যজ্ঞের অনুষ্ঠান তাই সেদিন রান্না হচ্ছিল । রান্না হওয়া ভাতের গন্ধে তার উতলা হয়ে উঠে । উঠোনে শাক ধুতে আসা বাসিনীর কাছে সে কিছু চাল চায় কিন্তু বাসিনী তাকে তা দেয়নি । পরে সে একটি ঠোঙাতে কিছু ছাতু এনে দেয়।
ছাতুর ঠোঙা নিয়ে উচ্ছব বেরিয়ে যায় । তারপর ছাতুটুকু খেয়ে মিষ্টির দোকান থেকে ভাঁড় চেয়ে নিয়ে জল খায় । ছাতু খেলে পেট ফুলে ওঠে তাতে জলের টান থাকে বেশি, পেটের গহ্বর ভরে । কিন্তু উছব যে – ধরনের চেহারার পরিশ্রমী মানুষ , তাতে এই সামান্য হাতু খেয়ে তার পেট ভরার কথা নয় ।
তা ছাড়া খিদে পেটে যখন আঁচড় কাটে , তখন তীব্র খিদের রেশ কমাতে এই সামান্য হাতু সত্যিই অপর্যাপ্ত । সুবিশাল সমুদ্রে বিন্দু পরিমাণ শিশিরফোঁটা ফেললেও তার কোনাে পরিবর্তন হয় না । তেমনি সেই উচ্ছবের সর্বগ্রাসী ক্ষুধার কাছে ওইটুকু ছাতু সমুদ্রে এক বিন্দু শিশির পড়ার মতো । তাই পেটে খাদ্য পড়ল ঠিকই , কিন্তু ক্ষুধার তীব্রতা কমল না ।
- “তখনই উচ্ছব প্রেত হয়ে গেছে”–
কীভাবে উচ্ছব প্রেত হয়ে গিয়েছিল ? কীভাবে সে আবার মানুষ হয়ে উঠল ?
অথবা , পেটে ভাত নেই বলে উচ্ছব প্রেত হয়ে আছে ” — কীভাবে উচ্ছব প্রেত হয়ে গিয়েছিল ? কীভাবে সে আবার মানুষ হয়ে উঠল ?
অথবা , “সেই আশাতেই প্রেত উচ্ছব মানুষ হয়ে গেল ” — কীভাবে উচ্ছব প্রেত হয়ে গিয়েছিল ? কীভাবে সে আবার মানুষ হয়ে উঠল ?
- “আসল বাদাটার খোঁজ করা হয় না আর উচ্ছবের।” ‘আসল বাদা’ কোনটা? উচ্ছব আর আসল বাদাটার খোঁজ করতে পারল না কেন?
অথবা, “সে বাদাটা বড়ো বাড়িতে থেকে যায় অচল হয়ে। কোন বাদাট, কেন বড়ড়া বাড়িতে অচল হয়ে থেকে যায় ? অথবা, “বাদার ভাত খেলে তবে তো সে আসল বাদাটার খোঁজ পেয়ে যাবে একদিন।” ‘আসল বাদা’ কোনটা? সে কি শেষ পর্যন্ত আসল বাদাটার খোঁজ পেয়েছিল?
অথবা, “সে বাদাটার খোঁজ নির্ঘাত পাবে উছব।” কোন বাদার কথা বলা হয়েছে? সে কি এই বাদাটার খোঁজ পেয়েছিল?
- “তুমি কি বুঝবে সতীশবাবু!” সতীশবাবু কী বুঝবে না? কেন বুঝবে না? সতীশবাবু উচ্ছবের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছিল?
- “মারতে মারতে উচ্ছবকে ওরা থানায় নিয়ে যায়।” কারা, কেন উচ্ছবকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায়?
- মহাশ্বেতা দেবীৱ লেখা ‘ভাত’ গল্পের কাহিনি সংক্ষেপে লেখাে। ওই প্রসঙ্গে গল্পের নামকরণ কতখানি সার্থক আলােচনা করাে।
Answer : ভাত খাবে কাজ করবে: নাম তার উৎসব। অবশ্য সে উচ্ছব নাইয়া নামে পরিচিত। মাতলা নদীর তীরে বাদা অঞ্চলের মানুষ সে। তার বাদায় ধান তেমন ফলে না। সেখানে মেলে গুগলি-গেঁড়ি-কচুশাক-সুসনি শাক। ভাতের খিদে তাই মেটে না। তা যেন আগুন হয়ে জ্বলতে থাকে। তার ওপর উচ্ছব লােকটা তুমুল ঝড়জলে ও মাতলার জলােচ্ছ্বাসে চিরকালের মতাে হারিয়েছে বউ- ছেলেমেয়ে। ওই নিরন্ন ক্ষুধার্ত হতভাগ্য মানুষটাকে কলকাতার বড়ােবাড়ির চাকরানি বাসিনী নিয়ে আসে হােম-যজ্ঞির কাঠকুটো কাটার কাজে। ভাত খাবে, তার বিনিময়ে কাজ করবে। বাসিনীর দয়ার কারণ হল উচ্ছব তার গা-সম্পর্কের দাদা।
ভাতের আশায় দুর্বল শৱীৱও শক্তিমান: বাসিনীর মুখে উচ্ছব কেন, গায়ের সবাই শুনেছে বাসিনীর মুনিবের বাড়িতে ভাতের হেলাফেলা। ভাঁড়ারে ঢােল ঢােল ভরতি চালের পাহাড়ের প্রমাণ পাওয়ার পর কথাটা উচ্ছবের মিছে মনে হয় না। চালের নামও অনেক। ভাতই রান্না হয় পাঁচ রকম চালের। হােম-যজ্ঞি উপলক্ষ্যে রান্নারও খুব ঘটা। শােকে-দুঃখে আর উপপাসে দিন কাটাতে কাটাতে উচ্ছব দুর্বল। তবু ভাত খাবে, এই আশায় যেন বলবান হয়ে হােম-যজ্ঞির পাঁচ রকমের আড়াই মন কাঠ কেটে ফেলে। পরিশ্রমের ফলে খিদে প্রচণ্ড রকম চাগিয়ে উঠলেও ভাত জোটে না। তান্ত্রিকের বিধান হল হােম-যজ্ঞ যতক্ষণ চলবে, ততক্ষণ বাড়িতে খাওয়া চলবে না।
অশুচি ভাত ভক্ষণ: বাড়িতে হােম-যজ্ঞির কারণ হল বাড়ির বুড়াে কর্তা লিভার ক্যানসারে মুমূর্ষ। ডাক্তারদের কথামতাে হােম-যজ্ঞির আয়ােজন। এতে নাকি রােগের নিরাময় হবে। কিন্তু যজ্ঞ হল আর বুড়ােও মরল। যজ্ঞ শেষে ভাত মিলবে আশায় ঘুম থেকে উঠে উচ্ছব শােনে মৃতের বাড়ির রান্না অশুচি। খাওয়া চলবে না। বড়াে পিসিমার হুকুম, সর্ব রান্না রাস্তায় ঢেলে দিয়ে আসতে হবে। উচ্ছব এই সুযােগে ভাতভরতি একখানা বড়াে ডেকচি নিয়ে ছুটে স্টেশনে পালিয়ে গিয়ে প্রাণভরে ভাত খায়। কিন্তু যে বাদার চালে ওই অঢেল ভাত, সে-বাদা আর তার খোঁজা হয় না।
নামকরণ সার্থক: গল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ভাত। ভাতকে বিষয় করে মহাশ্বেতা দেবী এই গল্প ছাড়াও আরও কয়েকটি গল্প লিখেছেন। ভাতের অভাব গরিব সংসারের সবচয়ে বড় সমস্যা। খিদে মেটানাের এই বস্তুটি গরিবের কাছে সহজলভ্য নয় বলেই, ভাতের আকাঙ্ক্ষা তাদের পিঠে চাবুক হাঁকড়িয়ে যেন পাগল করে তােলে। গল্পের শুরুতেই বলা হয়েছে যে, নিরন্ন উপােসি লােকটা কাজ করতে এসেছে ভাতের বিনিময়ে। তার পারিশ্রমিক মজুরি নয়, টাকাকড়ি নয়। শুধু ভুখা পেটে দু-মুঠো ভাত। যজ্ঞি বাড়ির গরম ভাতের গন্ধে তার ক্ষুধা উতলা হয়ে ওঠে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ভাত অধরা থেকে যায় তান্ত্রিকের বিধানে। যজ্ঞ শেষ না হলে খাওয়া হবে না। এরপর আরও বিপত্তি ঘটে। অসুস্থ বুড়াে কর্তা মরে গিয়ে নাকি বাড়ির সব রান্না অশুচি করে দিয়েছে। অশুচি ভাত খাওয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু খিদে আর ভাতের তীব্র আকাঙ্ক্ষা কোনাে বিধিনিষেধই মানে না। উচ্ছব ওই অশুচি ভাত খেয়ে স্বর্গসুখ অনুভব করে। তার মৃত স্ত্রী-কন্যা-পুত্রের বুভুক্ষু আত্মাও যেন তার আহারের মধ্য দিয়ে অতৃপ্ত ক্ষুধা পরিতৃপ্ত করে। গল্পে ভাত এইভাবে অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কাজেই ভাত হল কাহিনির কেন্দ্রীয় ভাবনা ও গল্পের চালিকাশক্তি। কাজেই গল্পের ‘ভাত’ নামকরণ সার্থক।
- “ দাঁতগুলাে বের করে সে কামটের মতােই হিংস্র ভঙ্গি করে কে , কার প্রতি এরূপ আচরণ করেছিল ? তার এরূপ আচরণের কারণ বিশ্লেষণ করাে ।
Answer : প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর ‘ ভাত ‘ ছােটগল্পের মুখ্য চরিত্র উচ্ছব নাইয়া তার গ্রাম্য সম্পর্কিত বােন বাসিনীর প্রতি এমন আচরণ করেছিল ।
গল্পে বুড়াে কর্তার মৃত্যুর পরে তার মৃতদেহ শ্মশানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পরে বড় পিসিমার কথায় বাড়ির সব রান্না ফেলে আসতে বলেন । আর ঠিক সেই মূহুর্তেই উচ্ছব স্থির করে নেয় যে সে কী করবে । সুদূর সুন্দরবন থেকে শুধুমাত্র খাবারের সন্ধানে সে এসেছিল শহরের বড়াে বাড়িতে কাজ করতে । কিন্তু বুড়াে কর্তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য হােম – যজ্ঞ শেষ না হলে খাওয়া হবে না – এই যুক্তিতে সে তার চরম আকাঙ্খিত খাবার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল । এর মধ্যে সে নানা রকম চালের এবং খাবারের গল্প শুনেছে ও দেখেছে । আর তাই তাে- ফুটন্ত ভাতের গন্ধ তাকে বড়াে । উতলা করে ।
কিন্তু ভাত জোটেনি উচ্ছবের । কিন্তু আজ যখন বাসিনী ভাত ফেলতে গেল তখন উচ্ছব ভাতের ডেকচি নিয়ে সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে সে কী করবে ? ডেকচি নিয়ে প্রথমে হনহনিয়ে হাঁটা তারপর দৌড়ানাে শুরু করে । যে ভাতের জন্য তার দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা , সেই ভাত এখন তার হাতের মুঠোয় । এই সময়েই যখন বাসিনী তাকে ‘ অশুচ বাড়ির ভাত খেতে নিষেধ করে তা সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে উচ্ছবের পক্ষে । সে ফিরে দাঁড়ায় এবং কামটের মতাে হিংস্র চোখে বাসিনীর দিকে তাকায় । তার দাঁত বের করা মুখ ভঙ্গি কামটের মতাে হিংস্র লাগে বাসিনীর ।
- “ ফুটন্ত ভাতের গন্ধ তাকে বড়া উতলা করে । ” – তাকে বলতে এখানে কাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে ? এই গন্ধ তাকে কেন উতলা করে ?
Answer : এখানে তাকে ’ বলতে মহাশ্বেতা দেবীর ‘ ভাত ‘ গল্পের মুখ্য চরিত্র বাদা অঞ্চলের বাসিন্দা অন্নহীন উচ্ছব নাইয়ার কথা বলা হয়েছে ।
সুন্দরবনের নিম্ন জলাভূমি অঞ্চল অর্থাৎ বাদা অঞ্চলেই হলাে প্রায় সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের অন্নের মূল উৎস স্থান । অথচ সেখাকার বাসিন্দা উৎসব দিনের পর দিন না খেয়ে থাকে । জমিহীন উৎসব সতীশবাবুর জমিতে কাজ করত । কিন্তু মড়ক লেগে উচ্ছব বলতে থাকে- “ লক্ষ্মী না আসতে সেধে ভাসান যাচ্ছে তা কাঁদব না এতটুকু ? আমরা খাব কী ” । শুধু অনাহারই নয় , সর্বঘাতী বন্যায় উৎসব তার বউ ছেলে মেয়েকে হারিয়ে ফেলেন । একদিকে শােক আর অন্যদিকে ক্ষুধার তীব্র জ্বালায় সে প্রেতে পরিণত হয় ।
ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য উৎসব বাসিনীর সাহায্যে বড়াে বাড়িতে এলে ভাতের বিনিময়ে কাঠ কাটার কাজে নিয়ােজিত হয় । বড়াে বাড়িতে অপরিসীম ভাতের গল্প তাকে পাগল করে তােলে এবং সে জানতে পারে এ সব ভাত আসে বাদা অঞ্চল থেকে । কিন্তু উৎসবের বাদায় ভাত নয় শুধু- ‘ গুগলি – গোঁড়ি – কচুশাক , সুশনাে শাক পাওয়া যায় । আর সেই জন্য উৎসব ভাতের হুতাশে আড়াই মন কাঠ কেটেছিল । বড়াে বাড়ি থেকে ভেসে আসা ফুটন্ত ভাতের গন্ধে তার বহুকালের খিদে বেড়ে যায় , উৎসব তাই ভাতের হুতাশে উতলা হয়ে উঠে ।
- “ আসল বাদাটার খোঁজ করা হয় না আর উচ্ছবের । ” ‘ আসল বাদা ’ কোনটা ? উচ্ছব আর আসল বাদাটার খোঁজ করতে পারল না কেন ? অথবা , “ সে বাদাটা বড়াে বাড়িতে থেকে যায় অচল হয়ে । ” কোন বাদাটা , কেন বড়াে বাড়িতে অচল হয়ে থেকে যায় ?
Answer : মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ’ গল্প থেকে সংগৃহীত উক্তিটিতে আসল বাদা ’ বলতে বােঝানাে হয়েছে উচ্ছবের গ্রামতুতাে বােন বাসিনীর মনিবের যে বাদা অঞলে ঝিঙেশাল , রামশাল , কনকপানি , পদ্মজালি , মােটা সাপটা ইত্যাদি ধান উৎপাদিত হতাে সেই অঞ্চলকে ।
গল্পে দেখা যায় , বাসিনী উচ্ছবকে বড়াে বাড়িতে নিয়ে এসেছে হােমযজ্ঞের কাঠ কাটার জন্য । উচ্ছব ভাত খেতে পাবে এই আশায় আড়াই মণ কাঠ কেটে ফেলে । সে অনেক দিন ধরে ভাত খেতে পায়নি , তাই সে ভাতের জন্য উতলা হয়ে ওঠে । কিন্তু তান্ত্রিকের বিধানে তার কাঙ্ক্ষিত ভাত খাওয়া অধরা থেকে যায় । কেননা অসুস্থ বুড়ােকর্তা মরে গিয়ে নাকি বাড়ির রান্না করা ভাত অশুচি করে দিয়েছে । তাই এই ভাত আর খাওয়া চলবে না । সংস্কার মতাে এই অশুচি ভাত ফেলে দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছে উচ্ছবের ওপর । কিন্তু ভাতের ডেকচি হাতের নাগালে পেতেই উচ্ছব অশুচি ভাত খাওয়ার ব্যাপারে কোনােরূপ বাধানিষেধ মানতে রাজি নয় । মনের আনন্দে ভাত খেয়ে ভুখা পেটের খিদে মিটাবে এই আশায় সে ভাতের ডেকচি নিয়ে হনহন করে হাঁটতে শুরু করে । সে খুব দ্রুত স্টেশনে উপস্থিত হয় , এবং প্রাণভরে ভাত খেয়ে স্বর্গসুখ অনুভব করে । সব ভাত খেয়ে উচ্ছব ডেকচির কানা মাথা স্পর্শ করে ঘুমিয়ে পড়ে । আর এখানেই উচ্ছবের স্বর্গসুখের স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায় । সকাল না হতেই পেতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে লােকজন উচ্ছবকে ধরে ফেলে এবং মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায় । উচ্ছব একদিন যে আসল বাদাটার খোঁজ করার স্বপ্ন দেখেছিল , সেই বাদাটার খোঁজ করা তার আর সম্ভব হলাে না । এইভাবেই শেষ পর্যন্ত সেই আসল বাদাটা বড়াে বাড়িতে অচল হয়ে থেকে যায় ।
No comments:
Post a Comment