দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ দ্বিতীয় পাঠ| সংক্ষিপ্ত ও ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্ন উত্তর| class 10 geography 1st chapter questions answers set-2 |WB board|
দু-এক কথায় উত্তর দাও
১. নিত্যবহ নদী কাকে বলে?
উত্তর:- যে-নদীতে সারাবছর জল প্রবাহিত হয়।
২. ভারতের একটি নিত্যবহ নদীর উদাহরণ দাও।
উত্তর:- গঙ্গানদী।
৩. নদী কী কী প্রক্রিয়ায় ক্ষয়সাধন করে?
উত্তর:- অবঘর্ষ, ঘর্ষণ, জলপ্রবাহ ক্ষয়, বুদবুদ ক্ষয়, দ্রবণ প্রক্রিয়ায়
৪. নদী কী কী প্রক্রিয়ায় বহনকার্য করে।
উত্তর:- লক্ষ্মদান, ভাসমান, দ্রবণ ও আকর্ষণ প্রক্রিয়ায়।
৫. নদী দ্বারা প্রবাহিত পদার্থকে কী বলে?
উত্তর:- নদীর ভার বা বোঝা।
৬. চওড়া নদীর মোহানা কী নামে পরিচিত?
উত্তর:- খাঁড়ি
৭. পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলের নদীগুলিতে জলের প্রধান উৎস কোনটি ?
উত্তর:- বৃষ্টির জল।
৮. ভূপৃষ্ঠে প্রবহমান জলরাশির পরিমাণ কত শতাংশ?
উত্তর:- পৃথিবীতে পৃষ্ঠজলের শতকরা পরিমাণ মিষ্টি জলের
১.৩%।
৯. নদীতে জলের বহমানতা বজায় থাকে কীভাবে?
উত্তর:- জলচক্রের মাধ্যমে।
১০. নদীর কোন্ গতিতে জলপ্রপাত দেখা যায় ?
উত্তর:- উচ্চগতিতে।
১১. জলপ্রপাতের তলদেশে সৃষ্ট গর্তকে কী বলে?
উত্তর:- পাপুল বা প্রপাতকূপ।
১২ নদীবাহিত প্রস্তরখণ্ড নদীতে আঘাত করে যে ক্ষয় করে সেই ক্ষয়পদ্ধতির নাম কী?
উত্তর:- অবঘর্ষ ক্ষয়।
১৩. নদীর জলের প্রবাহ পরিমাপের একককে কী বলে?
উত্তরা:- কিউসেক ও কিউমেক
১৪ .ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত একটি নিমজ্জমান দ্বীপের নাম করো।
উত্তর:- নিউমুর বা দক্ষিণ তালপট্টি।
১৫. নদীর মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রবাহিত ঘনফুট জলকে কী বলে?
উত্তর:- কিউসেক।
১৬. পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যের নাম কী?
উত্তর:- সুন্দরবন।
১৭. গঙ্গা কেন আদর্শ নদী?
উত্তর:- গঙ্গানদীতে উচ্চ বা পার্বত্য, মধ্য বা সমভূমি, নিম্ন বা যদ্বীপ প্রবাহ সুস্পষ্ট, তাই একে আদর্শ নদী বলে।
১৮. সুন্দরবন এলাকার কয়েকটি দ্বীপের নাম লেখো যেগুলি ক্রমশ নিমজ্জিত হচ্ছে।
উত্তর:- ঘোড়ামারা, লোহাচড়া ও নিউমুর।
১৯. নিউমুর বাংলাদেশে কী নামে পরিচিত।
উত্তর:- দক্ষিণ তালপট্টি।
২০. নদীর ক্ষয়সীমা ধারণার প্রবর্তক কে?
উত্তর:- J w powel
২১. নদীর নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘন আয়তন জল প্রবাহিত হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর:- নদীর জলক্ষরন।
২২. নদীর 'ষষ্ঠঘাত সূত্র”-এর প্রবর্তক কে?
উত্তর:- W. Hopkins.
২৩. শুষ্ক অঞ্চলে গঠিত গিরিখাতকে কী বলা হয়?
উত্তর:- ক্যানিয়ন
২৪. অসংখ্য পটহোল একসঙ্গে গড়ে উঠলে তাকে কী বলে?
উত্তর:- পটহোল কলোনি।
২৫. ভারতের কোন্ ভূপ্রাকৃতিক আশের নদীগুলিতে গিরিখাত দেখা যায় ?
উত্তর:- হিমালয়।
২৬. কোন্ গতিতে নদী তার সৃষ্ট পদার্থের সবটাই বহন করে?
উত্তর:- উচ্চগতিতে।
২৭. অসংখ্য ছোটো ছোটো র্যাপিডস পাশাপাশি অবস্থান করলে তা কী নামে পরিচিত ?
উত্তর :- ক্যাসকেড।
২৮. পর্বতের পাদদেশে নদীসওয়কার্যে সৃষ্ট হাতপাখার মতো ভূমিপটির নাম কী?
উত্তর :- পলল ব্যজনী বা পলল পাখা।
২১ পশ্চিমবঙ্গের কোন অঞ্চলের নদীতে খাঁড়ি দেখা যায়?
উত্তর:- সুন্দরবন বা সক্রিয় বদ্বীপ।
৩০. পৃথিবীর বৃহত্তম কোন্ নদীটির মোহানায় বদ্বীপ গড়ে
উত্তর:- আমাজন।
৩১. নদী ক্ষয়কার্যের কোন প্রক্রিয়ায় মন্ধকুপ গড়ে ওঠে?উত্তরা:- অবঘর্ষ।
৩২. নদী অববাহিকার পার্বত্য অংশ কী নামে পরিচিত?
উত্তর:- ধারণ অববাহিকা।
৩৩. কোন্ গতিতে নদী সর্বাধিক সঞ্জয় করে?
উত্তর:- নিম্নগতিতে।
৩৪. ভারতে প্রবাহিত দুটি পূর্ববর্তী নদীর উদাহরণ দাও।
উত্তর:- গঙ্গা ও সিন্ধু।
৩৫. বৃহদায়তন র্যাপিডসকে কী বলা হয়?
উত্তর:- জলপ্রপাত।
৩৬. ক্যাটারাক্ট কী?
উত্তর:- জলপ্রপাতে প্রবল জলরাশি প্রবাহিত হলে তা ক্যাটারাক্ট।
৩৭. বিন্দুবার কী?
উত্তর:- নদীবাঁকের মৃদুঢ়ালু উত্তল অংশের সময়কে বিন্দুবার বলে।
১. নদী (River) কাকে বলে?
উত্তর : নদী হল এক স্বাভাবিক জলধারা যা উচ্চভূমি থেকে তুষার জল বা বৃষ্টির জলে পুষ্ট হয়ে বা প্রবণ থেকে উৎপা হয়ে ভূমির ঢাল অনুসারে ভূপৃষ্ঠের নির্দিষ্ট খাত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগর, হ্রদ বা অন্য কোনো জলধারায় এসে মিলিত হয়। যেমন-গলা, সিন্দু, ব্রহ্মপুত্র ইত্যাদি।
২. জলচক্র(Hydrological cycle) কাকে বলে।
উত্তর : বাষ্পীভবন, ঘনীভবন, অধঃক্ষেপণ, পৃষ্ঠপ্রবাহ প্রভৃতি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বারিমণ্ডল, বায়ুমণ্ডল ও স্থলভাগের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে জলের বিরামহীন চক্রাকার পরিবর্তন হল জলচক।
৩. জলচক্রের প্রধান প্রক্রিয়াগুলি কী কী?
উত্তর : জলচক্রের প্রধান প্রক্রিয়াগুলি হল- বাষ্পীভবন (Evaporation). ঘনীভবন (Condensation), অধ্যক্ষেপণ
(Precipitation), পৃষ্ঠপ্রবাহ ( Surface runoff), অনু ( Infiltration) ইত্যাদি।
৪. নদীর জলের উৎসগুলি কী কী? বা,কোথা থেকে আসে?
উত্তর:- বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির জল, তুষার, বরফ ও হিমবাহ গলা ভাল, প্রবণ দিয়ে বেরিয়ে আসা ভৌমজল ইত্যাদি হল নদীর জলের উৎস।
৫. উপনদী ও শাখানদী কাকে বলে?
উত্তর : উপনদী (Tributaries) প্রধান নদীর গতিপথের অনেক স্থানে ছোটো নদী এসে মূলনদীতে মিলিত হয়, এইসব ছোটো ছোটো নদীকে প্রধান নদীর উপনদী বলা হয়। যেমন- যমুনা হল গঙ্গার উপনদী।
শাখানদী (Distributeries) :- কোনো বড়ো নদী থেকে অন্য কোনো নদী বেরিয়ে এসে সাগরে বা অন্য কোনো নদীতে বা সেই নদীতেই এসে পড়লে তাকে শাখানদী বলে। যেমন- গঙ্গার প্রধান শাখানদী হল ভাগীরথী-হুগলি।
৬:- নদী অববাহিকা (River Basin) কাকে বলে?
উত্তর : যে-সুনির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্য দিয়ে মূলনদী, তার শাখানদী
উপনদী-সহ প্রবাহিত হয়, তাকে বলা হয় নদী অববাহিকা।
৭. নদীর ধারণ অববাহিকা (Catchment Basin) বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- নদী অববাহিকার মধ্যে পার্বত্য বা উচ্চভূমি আশে নদী তরভিত্তিক প্রশ্নো যতটুকু অল অধিকার করে আছে, তাকে বলা হয় নদীর ধারণ অববাহিকা।
৮. ধারণ অববাহিকা নদীর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর : নদীর গতিবেগ ও চাল, নদীতে উপস্থিত পলির পরিমাণ ও তার গুণাগুণ, জলের পরিমাণ ইত্যাদি অনেকটাই নদীর ধারণ অববাহিকার চরিত্রের ওপর নির্ভরশীল। তাই ধারণ অববাহিকা নদীর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
৯. নদী উপত্যকা (River Valley) কাকে বলে?
উত্তর : উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত নদীর উভয় পাশের উচ্চভূমির মধ্যে সংকীর্ণ ও দীর্ঘ ভূমি হল নদী উপত্যকা।
১০. নদীখাত কী?
উত্তর : নদী উপত্যকার নির্দিষ্ট যে-অংশ দিয়ে জল বাহিত হয়, তা হল নদীখাত।
১১. নদীখাত ও নদী উপত্যকার মধ্যে তফাত কী?
উত্তর : নদীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদীর উভয় পাশের উচ্চভূমির মধ্যে সংকীর্ণ ও দীর্ঘ ভূমি হল নদী উপত্যকা। অপরদিকে নদী উপত্যকার যে-নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে জল প্রবাহিত হয়, তা হল নদীখাত। অতএব নদী উপত্যকার মধ্যেই নদীখাত অবস্থান করে।
১২ নদীবর্তন (River Regime) কী?
উত্তর : নদীর জলের পরিমাণ সারাবছর সমান থাকে না। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কখনও কম বা কখনও বেশি হয়। নদীর জলধারার এই পর্যায়ক্রমিক ও ঋতুভিত্তিক পরিবর্তনকেই নদীবর্তন বলে।
১৩. জলবিভাজিকা (Watershed) বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যে-উচ্চভূমি দুই বা ততোধিক নদীগোষ্ঠী বা নদী অববাহিকাকে পৃথক করে, তাকে জলবিভাজিকা বলে। পর্বত, পাহাড়, উচ্চ মালভূমি ইত্যাদি ভূমিরূপ জলবিভাজিকা হিসেবে অবস্থান করে।
১৪. ভারতের বিখ্যাত দুটি জলবিভাজিকার নাম লেখো।
উত্তর:- ভারতের বিখ্যাত দুটি জলবিভাজিকা হল – হিমালয়
পার্বত্যভূমি এবং পশ্চিমঘাট পর্বত।
১৫. নদী কী কী কারণে নিত্যবহ হয়?
উত্তর : নদী অববাহিকায় সারাবছর বৃষ্টি হলে কিংবা নদী বৃষ্টি ও বরফগলা জলে পুষ্ট হলে নিত্যবহ বা চিরপ্রবাহী হয়।
১৬. দোয়াব (Doab) কাকে বলে?
উত্তর : দুটি নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলকে দোয়াব বলা হয়।
১৭. নদীসংগম বলতে কী বোঝ?
উত্তর : দুটি নদী যেখানে মিলিত হয়, সেই স্থানকে বলা হয়
নদীসংগম। যেমন— গঙ্গা ও যমুনার সংগমস্থল হল এলাহাবাদ।
১৮. বিনুনি নদী কাকে বলে?
উত্তর : নদীখাতে অসংখ্য চড়ার সৃষ্টি হলে নদী অসংখ্য খাতে ভাগ হয়ে এঁকেবেঁকে বিনুনির ন্যায় প্রবাহিত হয়। একেই বিনুনি নদী বলে। পর্বতের পাদদেশে, মোহানায় বদ্বীপ থাকলে বিনুনি নদী দেখা যায়।
১৯. নদীর কাজ কী কী?
উত্তর : উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত নদীর কাজ হল ক্ষয়, বহন ও সদয়। এই তিনটি প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপের পরিবর্তন হয়।
২০. নদী কোন্ কোন্ পদ্ধতিতে ক্ষয়কাজ করে?
উত্তর : নদী প্রধানত চারভাবে ক্ষয়কাজ করে। যেমন- (i) জলপ্রবাহ ক্ষয়, (ii) অবঘর্ষ, (iii) ঘর্ষণ ক্ষয় এবং (iv) প্রবণ ক্ষয়।
২১. নদী কোন্ কোন্ প্রক্রিয়ায় বহন করে?
উত্তর : নদী প্রধানত চাররকম প্রক্রিয়ায় বহন করে। যেমন— (i) দ্রবণ প্রক্রিয়া, (ii) ভাসমান প্রক্রিয়া, (iii) লক্ষ্মদান প্রক্রিয়া
(iv) আকর্ষণ প্রক্রিয়া।
২২. ষষ্ঠ ঘাত'-এর সূত্র (Sixth Power Law) কী ?
উত্তর : নদীর গতিবেগের সঙ্গে বহন ক্ষমতার সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক আছে। দেখা গেছে নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ হলে তার বহন ক্ষমতা বাড়ে ৬৪ গুণ বা ২ হারে। এটি হল ষষ্ঠ ঘাতের সূত্র, যার ব্যাখ্যা দেন ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে W Hopkins
২৩. কিউসেক ও কিউমেক কী?
উত্তর:- কিউসেক (Cuseo) কোনো নদীতে একটি নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনফুট (Cubic feet per second) জল প্রবাহিত হয়, তা হল কিউসেক।
কিউমেক (Cumes) : নদীর একটি নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনমিটার (Cubic meter per second) জল প্রবাহিত হয়, তাকে বলে কিউমেক।
২৪. নদীর গতি ক-টি ও কী কী?
উত্তর : নদীর তিনটি গতি; যথা— উচ্চগতি, মধ্যগতি ও নিম্নগতি।
২৫. আদর্শ নদী (Ideal river) বলতে কী বোঝ এ উদাহরণ দাও।
উত্তর : উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত অংশে যে-নদীর তিনটি গতি-প্রবাহই (উচ্চগতি, মধ্যগতি, নিম্নগতি) সুস্পষ্ট থাকে, তাকে বলে আদর্শ নদী। যেমন- গঙ্গা হল একটি আদর্শ নদী।
২৬ . নদীর উচ্চগতি, মধ্যগতি ও নিম্নগতির সীমানানির্ধারণ করো।
উত্তর : গঙ্গার উচ্চগতি হল গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত ২৩০ কিমি, মধ্যগতি হল হরিণার থেকে ধূলিয়ান পর্যন্ত এবং ধূলিয়ান থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহানা পর্যন্ত হল গ্যার বদ্বীপ প্রবাহ।
২৭. উচ্চগতিতে পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় অধিক কেন?
উত্তর: উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর ঢাল অনেক বেশি থাকে। ফলে নদী প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। এই অংশে অবস্থিত ছোটো-বড়ো প্রস্তরখণ্ড নদীর সঙ্গে বাহিত হওয়ার সময় অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় নীচের দিকে ক্ষণ করে, ফলে উচ্চগতিতে নদীর পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় অনেক বেশি হয়।
২৮. গিরিখাত (Gorge) কাকে বলে?
উত্তর : বৃষ্টিবহুল অতি উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে নদীর নিম্নক্ষয়ের মাত্রা অত্যন্ত বেশি হওয়ায় নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও অতি গভীর হয়। এই ধরনের অতি গভীর ও সংকীর্ণ নদী উপত্যকাকেই গিরিখাত বলে।
২৯. গিরিখাত অত্যন্ত সুগভীর হয় কেন?
উত্তর : উচ্চপর্বতের খাড়া ঢাল বেয়ে নদী যখন তীব্র গতিতে নীচে নেমে আসে তখন তার গতিবেগ অনেক বেশি থাকে। নদীর তীব্র জলস্রোত ও জলস্রোতের মতো বাহিত প্রস্তরখণ্ডের আমাতে নদীর নিম্নক্ষয় বেশি হয়। এই কারণে গিরিখাত অত্যন্ত সুগভীর হয়। নবীন ভঙ্গিল পর্বত উচ্চ বলেই এখানে গিরিখাত সৃষ্টি হয়।
৩০. ক্যানিয়ন (Canyon) কাকে বলে?
উত্তর : শুষ্ক অঞ্চলে নদী উচ্চগতিতে শুধুমাত্র নিম্নক্ষয়ের মাধ্যমে" আকৃতির গিরিখাত সৃষ্টি করলে, তাকে ক্যানিয়ন বলে।
No comments:
Post a Comment