দশম শ্রেণীর বায়ুমণ্ডল অধ্যায় দ্বিতীয় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর class 10 2nd chapter brought question answer |2024 West Bengal board suggetion | - SM Textbook

Fresh Topics

Friday, October 6, 2023

দশম শ্রেণীর বায়ুমণ্ডল অধ্যায় দ্বিতীয় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর class 10 2nd chapter brought question answer |2024 West Bengal board suggetion |

 দশম শ্রেণীর বায়ুমণ্ডল অধ্যায় দ্বিতীয় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর class 10 2nd chapter brought question answer |2024 West Bengal board suggetion |




রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

 সমুদ্রস্রোত উৎপত্তির কারণ লেখো। 

উত্তর : সমুদ্রস্রোত সৃষ্টি, প্রবাহ ও গতিপ্রকৃতি নানা কারণে নিয়ন্ত্রিত হয়। সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির প্রধান প্রধান কারণগুলি হল- (i) পৃথিবীর আবর্তন (Earth's Rotation) : পৃথিবী তার নিজের অক্ষের ওপর পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করার ফলে যে কোরিওলিস বলের (Coriolis Force) উৎপত্তি হয়, তার প্রভাবে সমুদ্রস্রোত সোজাপথে প্রবাহিত হতে পারে না। ফেরেলের সূত্র অনুসরণ করে সমুদ্রস্রোত উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে ও দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। সাগর পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহ ভূমি পশ্চিমা বায়ু বায়ু নিরক্ষীয় প্রতিযোত দক্ষিণ নিরক্ষীয় মোড় বায়ু বায়ু বায়ু পশ্চিমা বায়ু ভূমি পশ্চিমা বায়ু পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহ পশ্চিমা বায়ু নিয়ত বায়ুপ্রবাহই হল সমুদ্রস্রোতের প্রধান কারণ 

(ii) বায়ুপ্রবাহ (Winds) : আধুনিক বৈজ্ঞানিকদের মতে, বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোতের প্রধান কারণ। নিয়ত বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্রস্রোতের গতি লক্ষ করলে দেখা যায় যে, প্রবল নিয়ত বায়ুপ্রবাহ নির্দিষ্ট পথে প্রবাহিত হওয়ার সময় সমুদ্রস্রোতকেও নিজের প্রবাহপথের দিকেটেনে নিয়ে যায়। যেমন- (ক) যেসব স্থানে আয়ন বায়ু প্রবাহিত হয় সেইসব স্থানে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে সমুদ্রস্রোত আসে। (খ) যেসব স্থানে পশ্চিমা বায়ু প্রবাহিত হয় সেইসব স্থানে পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে সমুদ্রস্রোত আসে। (গ) মেরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্রস্রোত একই দিকে প্রবাহিত হয়।

 (iii) সমুদ্রজলের উদ্বৃতা, লবণতা ও ঘনত্ব (Ocean Temper ature and Salinity) : সূর্যরশ্মি ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র সমানভাবে পড়ে না। নিরক্ষীয় অঞ্চলে লম্ব সূর্যকিরণে সমুদ্রের জল অধিক উয়ু ও কম ঘনত্বের জল প্রসারিত ও হালকা হয়ে নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে বহিঃস্রোতরূপে (Surface current) শীতল মেরু অঞ্চলের দিকে এবং মেরু অঞ্চলে তির্যক সূর্যকিরণে সমুদ্রের জল শীতল, ঘন ও ভারী হয়ে অন্তঃস্রোতরূপে (under current) নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। আবার, সমুদ্রে অধিক লবণাক্ত জলের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় তা কম লবণাক্ত জলের দিকে অন্তঃস্রোতরূপে এবং কম লবণাক্ত জল হালকা হওয়ায় বহিঃস্রোতরূপে বেশি লবণাক্ত জলের দিকে প্রবাহিত হয়।

(iv) বরফের গলন (Melting of Ice ) : দুই মেরুসংলগ্ন সমুদ্রজলে বিপুল পরিমাণে বরফ গলে মেশে। ফলে সমুদ্রে মিষ্টি জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ও লবণতা হ্রাস পায়। ফলে জল সমুদ্রস্রোত রূপে নিম্নঅক্ষাংশে বয়ে যায়। 

(v) উপকূলের আকৃতি (Shape of Coast line ) : সমুদ্রস্রোতের প্রবাহপথে মহাদেশীয় উপকূল ভাগ বা দ্বীপসমূহের অবস্থানের ফলে সমুদ্রস্রোতের দিক পরিবর্তিত হয়। যেমন— দক্ষিণে নিরক্ষীয় স্রোত ব্রাজিলিয়ান উপকূলে বাধা পেয়ে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়।

 (vi) ঋতুভেम (Seasonal Variations) : ঋতুভেদে মহাসমুদ্রের জলে উয়তা ও লবণতার তারতম্য ঘটে বলে সমুদ্রস্রোতের পরিবর্তন ঘটে। শীত ও গ্রীষ্মে সম্পূর্ণ আলাদা দিক থেকে প্রবাহিত মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারত মহাসাগরে স্রোতের দিক পরিবর্তন ঘটে।

 প্রশ্ন। ২ । উদাহরণসহ সমুদ্রস্রোতের প্রভাব ব্যাখ্যা করো। [মা.প. [১৭]

 উত্তর : পৃথিবীব্যাপী সমুদ্রস্রোতের প্রভাব : সমুদ্রস্রোত জলবায়ু, মাছ আহরণ, জাহাজ চলাচল প্রভৃতির ওপর প্রভাব ফেলে।

 ১. জলবায়ুর ওপর প্রভাব : 

(i) উদ্বৃতায় প্রভাব : শীতল অঞ্চলের ওপর দিয়ে উষু স্রোত বয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে উদ্ভূতা বাড়ে। উত্তর আটলান্টিক ড্রিফটের কারণেই উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের উয়তা শীতকালে বেশ বেশি হয় বলেই নরওয়ের হ্যামারফেস্ট বন্দর দিয়ে সারাবছর জাহাজ চলাচল করে। অপরদিকে উয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেলে উষ্ণতা কমে। বেঙ্গুয়েলা স্রোতের প্রভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া উপকূলের উয়তা সারাবছর কম।

 (i) বৃষ্টিপাত, তৃষারপাত উঘ্ন স্রোতের উপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ু বেশি জলীয় বাষ্প গ্রহণ করে বলে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে। উত্তর আটলান্টিক ড্রিফট-এর প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে এই কারণে বেশি বৃষ্টি হয়। শীতল স্রোত প্রবাহিত অঞ্চলে উদ্ধৃতা অনেকটা কমে গেলে তুষারপাত হয়। ল্যাব্রাডর স্রোতের প্রভাবে নিউফাউন্ডল্যান্ড অঞ্চলে তুষারপাত ঘটে। অনেকক্ষেত্রে শীতল ষ্টি স্রোত প্রবাহিত অঞ্চলে বৃষ্টি কম হয়। 

(ii) মরুভূমি সৃষ্টি : ক্রান্তীয় মণ্ডলে উপকূলের পাশ দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেলে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় থাকে না। * দীর্ঘকাল ধরে বৃষ্টি না-হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট অঞ্চল মরুভূমিতে হর পরিণত হয়। সাহারার পশ্চিমপ্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত শীতল ক্যানারি স্রোত মরুভূমি সৃষ্টিতে সাহায্য করেছে। ত এর ন মি 

(iv) কুয়াশা, ঝড় ঝঞ্ঝা : যেখানে উয় ও শীতল স্রোত মিলিত হয় সেখানে বৈপরীত্য উয়তার প্রভাবে পরিচলনজনিত কুয়াশা, ঝড়, ঝঞ্ঝার উৎপত্তি ঘটে। নিউফাউন্ডল্যান্ড অঞ্চলে শীতল ল্যাব্রাডর ও উয় উপসাগরীয় স্রোতের মিলনে প্রায়শই ঘন কুয়াশা ও ঝড়ের সৃষ্টি হয়। 

২. জলবায়ুর পরিবর্তনে প্রভাব : জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্রস্রোতের প্রভাব স্পষ্ট বোঝা যায় প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো ও লা নিনা আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে। এল নিনো বছরে পেরু, প। ইকুয়েডর উপকূলে উত্তরদিক থেকে গরম জলের স্রোত (লা নিনা স্রোত) এসে ঢোকে। ফলে পেরু, ইকুয়েডরে প্রবল বৃষ্টি, পশ্চিমে অস্ট্রেলিয়ায় অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। লা নিনা বছরে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবল =র বৃষ্টিতে বন্যা এবং পেরু, ইকুয়েডরে অনাবৃষ্টিতে খরা দেখা দেয়। শ প্রশান্ত মহাসাগরে গড়ে ২-৭ বছর অন্তর জলবায়ুর এই পরিবর্তনে জ সমুদ্রস্রোত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। 

৩. মগ্নচড়ার সৃষ্টি ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব : যেখানে উঘ্ন ও া শীতল সমুদ্রস্রোত মেশে সেখানে শীতল স্রোতে বয়ে আসা হিমশৈল গলে যায়। হিমশৈলের সঙ্গে থাকা পদার্থ (বালি, = পলি) ক্রমাগত অধঃক্ষিপ্ত হয়ে অগভীর অঞ্চল তৈরি করে। এটি 1 হল মগ্নচড়া বা ব্যাংক। গ্র্যান্ড ব্যাংক, ডগার্স ব্যাংক, রকফল - ব্যাংক হল পৃথিবী বিখ্যাত মগ্নচড়া। মগ্নচড়ার বাণিজ্যিক া গুরুত্ব : মগ্নচড়াগুলি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাণিজ্যিক মংসা = আহরণ অঞ্চল।

প্রশ্ন ৪ মানুষের অর্থনৈতিক পরিবেশের ওপর সমুদ্রস্রোতের প্রভাব বা গুরুত্ব আলোচনা করো। 

উত্তর : মানুষের অর্থনৈতিক পরিবেশের ওপর সমুদ্রস্রোতের প্রভাব হল- (i) মগ্নচড়ার সৃষ্টি ও মৎস্য আহরণ : বিভিন্ন মহাসাগরের শীতল স্রোতের সঙ্গে বড়ো বড়ো হিমশৈল ভেসে আসে। উয় জি স্রোতের সংস্পর্শে আসায় হিমশৈলগুলি গলতে শুরু করে, ফলে মৎস হিমশৈলের সাথে বয়ে আনা নুড়ি, পাথর, কাঁকর, বালি ইত্যাদি পদার্থ থিতিয়ে পড়ে সমুদ্রের অগভীর মহিসোপান অঞ্চলে জমা হয়ে মগ্নচড়ার সৃষ্টি করে। যেমন—গ্র্যান্ড ব্যাংক, ডগার্স ব্যাংক ইত্যাদি।

মগ্নচড়াগুলিতে প্ল্যাংকটন নামে একপ্রকার আণুবীক্ষণিক জীব জন্মায় যা মাছের প্রধান খাদ্য। মগ্নচড়াগুলিতে অনুকূল তাপমাত্রা এবং খাদ্যের অফুরন্ত জোগান থাকায় মৎস্য আহরণের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

 (ii) জাহাজ চলাচল ও বরফমুক্ত বন্দর : উয় স্রোতের প্রভাবে উচ্চ অক্ষাংশের সমুদ্র শীতকালেও বরফমুক্ত থাকে। উয় উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে উত্তর সাগর ও সংলগ্ন হ্যামারফেস্ট বন্দর বরফমুক্ত থাকে বলে জাহাজ চলাচলের সুবিধা হয়। 

(iii) হিমশৈলের সমস্যা : শীতল সমুদ্রস্রোতে ভেসে আসা হিমশৈল জাহাজ চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ১. জোয়ারভাটা (Tides) কাকে বলে ? *

* উত্তর : পৃথিবীর ওপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অন্তর সমুদ্রজলের ছন্দময় উত্থান হল জোয়ার ও পতন হল কাটা। 

প্রশ্ন ২ ভরা কোটাল (Spring Tide) বলতে কী বোঝ? 

উত্তর :আবর্তনকালে পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে। এই সময় সূর্য ও চন্দ্রের মিলিত মহাকর্ষ শক্তিতে আকর্ষণ বল বেশ তীব্র হয়। এরই প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে যে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয়, তাকে বলে ভরা কোটাল।

প্রশ্ন ৩. মরা কোটাল (Neap Tide) বলতে কী বোঝ? 

উত্তর : কৃষ্ণ ও শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পৃথিবী অবস্থান করে চাঁদ ও সূর্যের সাথে সমকোণে (৯০°)। এই অবস্থায় পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের সামনে আসে সেখানে হয় মুখ্য জোয়ার কিন্তু সূর্যের আকর্ষণ বল ৯০° কোণে কাজ করে বলে চাঁদের আকর্ষণে মুখ্য জোয়ার অতটা তেজি হয় না। একেই মরা কোটাল বা মরা জোয়ার বলে।

৪ প্রশ্ন : পূর্ণিমার ভরা কোটাল কী? 

উত্তর : পূর্ণিমা তিথিতে সিজিগি অবস্থানে পৃথিবী থাকে চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে (প্রতিযোগ)। এই অবস্থায় চাঁদের আকর্ষণে জোয়ার প্রবল আকার নেয় এবং বিপরীত অংশে কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাব ও সূর্যের আকর্ষণেও জোয়ার প্রবল হয়। একেই পূর্ণিমার ভরা কোটাল বা তেজ কোটাল বলে।  

প্রশ্ন ৫ অমাবস্যার ভরা কোটাল কী?

 উত্তর : অমাবস্যা তিথিতে সিজিগি অবস্থানে চাঁদ থাকে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে (সংযোগ)। এই অবস্থায় পৃথিবীর যে অংশে চাঁদের কর্ষণ বল কাজ করে সেখানেই সূর্যের আকর্ষণ বলও কাজ করে। ফলে জল প্রবলভাবে ফুলে ওঠে এবং জোয়ার অতি প্রবল আকার নেয়। একে অমাবস্যার ভরা কোটাল বা তেজ কোটাল বলে। 

প্রশ্ন ৬ ভরা কোটালকে সর্বোচ্চ জোয়ার বলা হয় কেন ? * 

উত্তর : ভরা কোটালে (অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে) সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। ফলে সূর্য ও চন্দ্রের অধিক আকর্ষণবলের প্রভাবে উভয় দিনে (অমাবস্যা ও পূর্ণিমা) জোয়ারের মাত্রা অন্য যে-কোনো দিনের তুলনায় অধিক হয়। তাই ভরা কোটালকে সর্বোচ্চ জোয়ার বলে। 

প্রশ্ন ৭ সিজিগির ক-টি অবস্থা ও কী কী? 

উত্তর : সিজিগির ২টি অবস্থা রয়েছে। যেমন—(i) সংযোগ অবস্থা এবং (ii) প্রতিযোগ অবস্থা।

প্রশ্ন ৮ সিজিগি (Syzygy) কাকে বলে ?

* (মা.প. 201 উত্তর 10 নিজেদের সূর্য কক্ষপথে পরিক্রমণ করতে করতে যখন চাঁদের কেন্দ্র, পৃথিবীর কেন্দ্র এবং সূর্যের কেন্দ্র একই সরলরেখায় অবস্থান করে, তখন তাকে পৃথিবী সিজিগি বলে। 

প্রশ্ন ৯ সংযোগ ও প্রতিযোগ কী? 

উত্তর : পূর্ণিমার দিন পৃথিবী যখন সূর্য ও চন্দ্রের মাঝখানে একই সরলরেখায় অবস্থান করে, তখন তাকে প্রতিযোগ অবস্থান বলে। অমাবস্যার দিন যখন সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর একই দিকে এবং একই সরলরেখায় অবস্থান করে, তখন তাকে সংযোগ অবস্থান বলে।

প্রশ্ন ১০ বানডাকা (Tidal bore) কাকে বলে ? ★★ [মা.প. '১৭] 

উত্তর : ভরা কোটালের সময় সমুদ্রের জল নদীর মোহানা দিয়ে প্রবল বেগে উলটো খাতে প্রবেশ করে, প্রবল জলোচ্ছ্বাস ঘটায়। একে বানডাকা বলে।

 প্রশ্ন ১১ ষাঁড়াষাঁড়ি বান কাকে বলে? 

: উত্তর:বর্ষাঋতুতে নদীতে জলের প্রবাহ বেশি থাকে। বর্ষাঋতুরভরা কোটালের সময় জলস্ফীতির মাত্রা এত অধিক হয় যে ওই অবস্থাকে দুটি ষাঁড়ের যুদ্ধকালীন অবস্থার সাথে তুলনা করা হয়। একেই ষাঁড়াষাঁড়ি বান বলে। বানডাকা 

প্রশ্ন | ১২| পশ্চিমবঙ্গের দুটি নদীর নাম লেখো, যেখানে বানডাকা দেখা যায়। উত্তর : পশ্চিমবঙ্গের হুগলি ও মাতলা নদীতে বানডাকা দেখা যায়।

(প্রশ্ন) ১৩ জোয়ারভাটা নদীর নাব্যতাকে কীভাবে প্রভাবিত করে ?* 

উত্তর : প্রতিদিন দিনে দুবার করে জোয়ারভাটা হওয়ার ফলে জল একবার নদীর মোহানা দিয়ে প্রবেশ করে এবং আবার বেরিয়ে যায়। ফলে নদীগর্ভে সঞ্চিত পলি ভাটার টানে সাগরে পড়ে এবং নদীগর্ভ পলিমুক্ত হয়। এইভাবেই নদীর নাব্যতা বজায় থাকে। 

প্রশ্ন ১৪ | প্রত্যেক দিন জোয়ারভাটা সমান প্রবল হয় না কেন? 

উত্তর : প্রত্যেক দিন জোয়ারভাটা সমান প্রবল না হওয়ার প্রধান কারণ হল চাঁদ ও সূর্যের পারস্পরিক অবস্থানগত পার্থক্য। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তি ও কেন্দ্রাতিগ বলের তারতম্যে জোয়ারভাটার পরিমাণেরও তারতম্য ঘটে।

A. সংক্ষেপে উত্তর দাও 

প্রশ্ন ১ জোয়ারভাটার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?

 উত্তর : জোয়ারভাটার বৈশিষ্ট্যগুলি হল – (i) নির্দিষ্ট সময় অন্তর ছন্দ মেনে জোয়ারভাটা হয়। (ii) পৃথিবীর ওপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ জোয়ারভাটার মূল কারণ। (iii) সমুদ্রের সব অংশেই জোয়ারভাটার প্রভাব পড়ে। (iv) উপকূল ও নদীর মোহানায় জোয়ারভাটা সবচেয়ে ভালো বোঝা যায়।

 প্রশ্ন ২ চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণে কীভাবে জোয়ারভাটা ঘটে ? 

উত্তর : মহাবিশ্বে সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী সবাই সবাইকে আকর্ষণ করে চলেছে। চাঁদ অপেক্ষা সূর্য ২৭.৭ কোটি গুণ বড়ো এবং ভর ২৫৫ লক্ষ গুণ বেশি। পৃথিবীর ১৪ ১৪ ওপর চাঁদ অপেক্ষা সূর্যের আকর্ষণ বল বেশি (১৭৭ গুণ)। কিন্তু সূর্য অপেক্ষা চাঁদ রয়েছে পৃথিবীর অনেক কাছে। তাই পৃথিবীর ওপর চাঁদের আকর্ষণ বল সূর্য অপেক্ষা ২.২ গুণ বেশি হওয়ার কারণেই মূলত চাঁদের আকর্ষণে সমুদ্রের জল ফুলে উঠে জোয়ার সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর গড় ব্যাস প্রায় ১২,৭৪০ কিমি এবং ব্যাসার্ধ ৬৩৭০ কিমি। পৃথিবীর কেন্দ্র এবং চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব ৩,৮৪,৮০০ কিমি। অতএব পৃথিবীর যে পৃষ্ঠ চাঁদের সামনে থাকে সেই পৃষ্ঠের সঙ্গে চাঁদের পৃষ্ঠের দূরত্ব ৩,৭৮,৪০০ কিমি এবং যে পৃষ্ঠ চাঁদের বিপরীতে থাকে তার সঙ্গে চাঁদের পৃষ্ঠের দূরত্ব ৩,৯১,২০০ কিমি (পার্থক্য ১২,৮০০ কিমি প্রায়)। সুতরাং পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের সামনে থাকে বিপরীত অংশ অপেক্ষা দূরত্ব কম বলে সেখানেই পৃথিবীর কক্ষপথ চাঁদের কক্ষপথ চাঁদ সূর্য পৃথিবী চাঁদ ও সূর্যের অবস্থান চাঁদের আকর্ষণ বল সবথেকে বেশি এবং সেখানে জল ফুলে উঠে জোয়ার সৃষ্টি হয়। এটি হল মুখ্য জোয়ার বা চান্দ্র জোয়ার। এই জোয়ারে জল বেশি ফুলে ওঠে।

 প্রশ্ন ৩ | পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাবে জোয়ার হয় কীভাবে?

 উত্তর : পৃথিবীর আবর্তনের প্রভাবে যে কেন্দ্রবিমুখ বল তৈরি হয় তা হল কেন্দ্রাতিগ বল। এই বলের প্রভাবে সমুদ্রের জল বাইরের দিকে নিক্ষিপ্ত হওয়ার প্রবণতা লাভ করে এবং এটি মহাকর্ষ বলের বিপরীতে কাজ করে। অতএব চাঁদের আকর্ষণে পৃথিবীর যে অংশে জোয়ার হয় ঠিক তার প্রতিপাদ অংশে চাঁদের মহাকর্ষশক্তি অপেক্ষা কেন্দ্রাতিগ বল অধিক হওয়ায় সেখানেও সমুদ্রের জ ফুলে ওঠে। এটি হল গৌণ বা পরোক্ষ জোয়ার। এই জোয়ারে কম ফুলে ওঠে। A কম কিছু কেন্দ্রাতিগ বাসের 

প্রশ্ন। ৪ | ভাটার কারণ কী? 

উত্তর : একই সময় পৃথিবীর দুটি স্থানে জোয়ার হয়য়। একদিকে মূর্খা ও অন্যদিকে গৌণ জোয়ার। উভয় জোয়ারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জল আসে ঠিক তার পাশের সমুদ্র অংশ থেকে। ফলে সেখানে জলা কমে যায়। জোয়ারের দুটি সমকোণ স্থান, যেখান থেকে জল সরে যায়, সেই স্থানে হয় ভাটা।

 প্রশ্ন। ৫ | মুখ্য ও গৌণ জোয়ার কী ? *

 উত্তর : মূখ্য জোয়ার (Primary Tide) : আবর্তনের ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠের যে স্থান ঠিক চন্দ্রের সম্মুখে উপস্থিত হয়, সেই স্থানে চন্দ্রের আকর্ষণের ফলে চন্দ্রের সম্মুখে অবস্থিত ভূপৃষ্ঠের জল সবচেয়ে বেশি ফুলে ওঠে ও জোয়ার সৃষ্টি হয়। এইভাবে পৃথিবীর যে স্থানে চন্দ্রের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি হয়, সেখানে তখন মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার সৃষ্টি হয়। চন্দ্রের ক B₁ চন্দ্রের আকর্ষণ A আবর্তন B₂ জোয়ারভাটা সৃষ্টি যৌগ জোয়ার (Secondary Tide) মুখ্য জোয়ারের বিপরীত দিকে বা প্রতিপাদ স্থানে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব কম বলে এই বিপরীত দিকে অবস্থিত জলরাশি প্রধানত প্রবল বিকর্ষণ শক্তির প্রভাবে স্ফীত হয়ে গৌণ বা পরোক্ষ জোয়ার সৃষ্টি করে। এইভাবে পৃথিবীর কোনো একটি স্থানে মুখ্য জোয়ার ও তার বিপরীত স্থানে গৌণ জোয়ার হয়।

প্রশ্ন ৬. তেজ কোটালের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

 উত্তর : তেজ কোটালের বৈশিষ্ট্যগুলি হল- (১) অমাবস তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চ করে। (২) পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চন্দ্রের মাঝে একা সরলরেখায় পৃথিবী অবস্থান করে। (৩) অমাবস্যা ও পূর্ণিমা হিজ কোটালের সময় জোয়ারের স্থানে অত্যধিক জল ঘটে। (৪) ভাটার স্থানে জলস্তর খুব বেশিমাত্রায় নেমে যায়


৫) ভূপৃষ্ঠের জলভাগের একই স্থানে প্রতি মাসে দু-বার করে তেজ কোটাল হয়। (৬) ভরা কোটালে জলস্ফীতি সর্বাধিক হয়, বলে একে সর্বোচ্চ জোয়ার বলা হয়।

প্রশ্ন ৭. মুখ্য জোয়ার অমাবস্যার ভরা কোটাল পূর্ণিমা পূর্ণিমার ভরা কোটাল E মুখ্য জোয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?

 উত্তর : মুখ্য জোয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি হল – (১) চন্দ্রের আকর্ষণে এই জোয়ার হয় বলে একে চান্দ্র জোয়ারও বলে। (২) আবর্তনের ফলে ভূপৃষ্ঠের জলভাগের যে স্থান চন্দ্রের ঠিক সামনে আসে, চন্দ্রের আকর্ষণের ফলে সেখানে প্রবল টান সৃষ্টি হয় ও জলস্ফীতি ঘটে। (৩) পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের জলভাগ থেকেও কিছু জল এই স্থানে চলে আসে, ফলে ভূপৃষ্ঠের এই অংশে মুখ্য জোয়ার সৃষ্টি হয়। (৪) অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে মুখ্য জোয়ার সৃষ্টি হয়। (৫) জোয়ার ও ভাটার মধ্যে জলতলের পার্থক্য খুব বেশি। মাত্রায় হয়। 

প্রশ্ন ৮| পূর্ণিমা অপেক্ষা অমাবস্যার ভরা কোটাল তেজি হয় কেন? ★★ 

উত্তর : পূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে একই সরলরেখায় অবস্থান ( প্রতিযোগ) করে। এই অবস্থায় পৃথিবীর যে অংশ ঠিক চাদের সামনে আসে সেখানে হয় মুখ্য চালু জোয়ার এবং প্রতিপাদ অংশে কেন্দ্রাতিগ বল ও সূর্যের প্রভাবে জোয়ার ঘটে। অমাবস্যা তিথিতে চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর একই দিকে এবং একই সরলরেখায় অবস্থান (সংযোগ) করে বলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষনে পৃথিবীপৃষ্ঠের জল অতি প্রবল মাত্রায় ফুলে ওঠে। তাই পূর্ণিমা অপেক্ষা অমাবস্যার জোয়ার অতি প্রবল হয়। 

প্রশ্ন ৯। কোনো কোনো স্থানে জোয়ারভাটার সময়ের ব্যবধানে ৬ ঘণ্টার বেশি কেন?** 

 উত্তর : সাধারণভাবে পৃথিবীর একপাক ঘুরতে সময় লাগে ২৪ ঘণ্টা এবং চাঁদের আকর্ষণে ও কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাবে যেহেতু কোনো স্থানে দু-বার জোয়ার ও দুবার ভাটা হয় তাই ধারণা হতে পারে ১ দিনে কোনো স্থানে জোয়ারভাটার ব্যবধান হবে ৬ ঘণ্টা (২৪ ঘণ্টা + ৪ = ৬ ঘণ্টা)। কিন্তু পৃথিবীর প্রকৃত আবর্তনের সময় এবং চাঁদের পরিক্রমণের সময়ও পৃথিবীর জোয়ারভাটার সময়ের ওপর প্রভাব ফেলে। চাঁদের কক্ষপথ, তাদের আবর্তনের নির চাঁদের চাদের অবস্থান অবস্থান 1310'15" জোয়ার পৃথিবীর আবর্তন চাঁদ ও সূর্যের অবস্থান পৃথিবীর নিজ অক্ষের ওপর একবার আবর্তনের সময় হল ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ০৪ সেকেন্ড। পৃথিবীর চারপাশে চাদের পরিক্রমণের সময় 29/ দিন। অর্থাৎ পৃথিবী একপাক আবর্তনকালে চাঁদ তার কক্ষপথের প্রায় ১৩°১০' কৌণিক দূরত্ব [৩৬০° + ২৭১/৩দিন ১৩°১০' (প্রায়)] অতিক্রম করে। = ফলে পৃথিবীর একদিনে কোনো নির্দিষ্ট স্থান থেকে প্রায় ৫২ মিনিট ৪০ সেকেন্ড [১৩ x ১০ x ৪ মিনিট = ৫২ মিনিট 80 ৪০ সেকেন্ড (প্রায়)] পথ অতিক্রম করে। সুতরাং পৃথিবীর কোনো স্থানে মুখ্য জোয়ার ঘটার ২৪ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড । পরে (২৩ ঘ. ৫৬ মি. ০৪ সে. + ৫২ মি. ৪০ সে. = ২৪ ঘ. ৪৮ মি. ৪৪ সে.) আবার মুখ্য জোয়ার হয়। অতএব কোনো স্থানে মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ারের ব্যবধান (২৪ ঘ. ৪৮ মি. ৪৪ সে. + ২) ১২ ঘণ্টা ২৪ মি. ২২ সে. (প্রায়) এবং জোয়ারভাটার ব্যবধান (১২ ঘ. ২৪ মি. ২২ সে. + ২) হয় ৬ ঘ. ১২ মি. ১১ সে.। এই কারণেই কোনো স্থানে জোয়ার ও ভাটার প্রকৃত ব্যবধান ৬ ঘণ্টার সামান্য বেশি হয়।

প্রশ্ন. ১০ চাঁদের অ্যাপোজি ও পেরিজি অবস্থান কী? অথবা, অ্যাপোজি জোয়ার কাকে বলে? 

উত্তর : পৃথিবীর মতো চাঁদেরও কক্ষপথ উপবৃত্তাকার হওয়া পৃথিবী ও চাঁদের দূরত্ব সর্বদা সমান হয় না। এ অ্যাপোজি অবস্থান: পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব যখন সর্বাধিক হয় (৪.০৭ লক্ষ কিমি) সেই অবস্থাকে অ্যাপোজি অবস্থান বলে। দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে চাঁদের আকর্ষণ বল যেহেতু কমে তাই জোয়ার এই সময় বেশ কম হয়। একেই অ্যাপোজি জোয়ার বলা হয়। সাধারণের থেকে অ্যাপোজি জোয়ারে ২০% জোয়ার কম হয়। পেরিছি। অবস্থান : পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব যখন সবচেয়ে কম (৩.৫ লক্ষ কিমি) হয় সেই অবস্থাকে পেরিজি অবস্থান বলা হয়। দূরত্ব কম হওয়ার কারণে চাঁদের আকর্ষণ বল যেহেতু বাড়ে তাই জোয়ার এসময় সাধারণ অবস্থার থেকে 20% প্রবল হয়। একে পেরিছি জোয়ার বলা হয়। চাদের পোবাজি 3.56 14.70 - 15.20 কোটি চাদের আপোজি 4.07 

প্রশ্ন ১১ | কী কী অবস্থা অনুকূল থাকলে নদীতে বান ডাকে।  

উত্তর : (i) নীচু উপকূলে নদীর মোহানা ফানেল আকৃতি নদীখাত সংকীর্ণ হয়। (ii) নদীর ঢাল যদি কম হয়। (iii) নদীর মোহানায় বালির চর বা চড়া থাকে (iv) নদীতে যদি সারাবছর জলের প্রবাহ প্রচুর থাকে। 

প্রশ্ন ১২ | হুগলি ও সুন্দরবনের নদীগুলিতে বান ডাকে কেন।  

উত্তর : হুগলি ও সুন্দরবনের নদীগুলিতে বানডাকার কারণগুলি হল- (i) এইসব নদীর মোহানা ফানেল আকৃতির হয় এবং এইসক নদীর খাত সংকীর্ণ হয়। (ii) নদীর মোহানায় বালির চর বা চড়া থাকে। (iii) এইসব নদীতে সারাবছর জল থাকে এবং জলের প্রবাহ অধিক থাকে এবং (iv) এই অঞ্চলের নদী মৃদুঢাল সম্পন্ন হয়ে সমুদ্রে মেশে। এই সকল কারণবশত এই অঞ্চলের নদীগুলিতে বর্ষাকালে আবা অতিরিক্ত জল থাকে যা গিয়ে সমুদ্রে পতিত হয়। এর ফলেই আসে।

প্রশ্ন| ১৩ | জোয়ারভাটার সুফল ও কুফলগুলি লেখো।★ অথবা, জোয়ারভাটার ফলাফলগুলি লেখো। [মা.প. [১২]

 উত্তর : জোয়ারভাটার সুফল : (i) জোয়ারের সময় নদীর জল বাড়ে বলে জাহাজ চলাচলে সুবিধা হয়। কলকাতা, লন্ডন বন্দরের অধিকাংশ জাহাজ জোয়ারের সময় প্রবেশ করে। (ii) ভাটার টানে নদীর পলি সাগরে চলে যায় বলে নদীর গভীরতা ও নাব্যতা বজায় থাকে। (iii) জোয়ারের সময় সমুদ্রের মাছ নদীতে প্রবেশ করে বলে জেলেদের সুবিধা হয়। (iv) শীতপ্রধান অঞ্চলে সমুদ্রের লবণাক্ত জল প্রবেশের কারণে অনেক সময় বন্দর বরফমুক্ত থাকে, জাহাজ চলাচলে

সুবিধা হয়। (v) জোয়ারভাটাকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। গুজরাটের কচ্ছ, পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলে জোয়ারভাটা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলছে। জোয়ারভাটার কুফল : (i) জোয়ারে সমুদ্রের লবণাক্ত জল প্রবেশের কারণে নদীর জল সেচ ও পানীয় কাজে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। (ii) প্রবল জোয়ারে নদীর পাড় ভেঙে বন্যা হয়। বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে জমি লবণাক্ত হয়ে চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ে। উপকূলের পাড় ভাঙে। ঘরবাড়ি নষ্ট হয়। (iii) প্রবল জোয়ারে নৌকা ও জাহাজের ক্ষতি হয়।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর :

১. ভরা কোটাল ও মরা কোটাল কীভাবে হ্যা, তা চিত্র এঁকে বোঝাও।

উত্তর :ভরা কোটাল : আবর্তনকালে পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবী, চান ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে (সিজিগি স্থান)। এই সময়ে জেলার অতি প্রবল না এবং সাধারণ জোয়ার অপেক্ষা ২০% জল বেশি ফুলে ওঠে। একেই ভরা কোটাল মিল শব্দ কড়া এর অর্থ সমুদ্র) বলে। 

পুর্ণিমর ভরা কোটাল:। পূর্ণিমা তিথিতে সিজিগি অবস্থানে পৃথিবী থাকে চাদ ও সূর্যের মাঝখানে (প্রতিযোগ)। এই অবস্থায় চাঁদের আকাশে জোয়ার প্রবল আকার নেয় এবং বিপরীত আশে কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাব ও সূর্যের আকর্ষণেও জোয়ার প্রবল হয়। একেই পূর্ণিমার ভরা কোটাল বা তেজ কোটাল বলে।

 অমাবস্যা তিথিতে সিজিগ্নি অবস্থানে চাঁদ থাকে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে (সংযোগ)। এই অবস্থায় কথিবীর দেশআশে তাদের আকর্ষণ বল কাজ করে সেখানেই সূর্যের আকর্ষণ বলও কাজ করে। ফলে জল প্রবলভাবে ফুলে ওঠে এবংজোয়ার অভি প্রবল আকার নেয়। একে অমাবস্যার ভরা কোটাল বা ভেজ কোটাল বলে। পূর্ণিমার ভরা কোটাল অপেক্ষা অानস্যর ভরা কোটাল অনেক রেজি হয়। অমাবস্যার ভরা কোটাল Ope কৃ শুরু পক্ষের অষ্টমী তিথিতে পৃথিবী অবস্থান করে চাঁদ ও সূর্যের সাথে সমকোণে (৯০৭)। এই অবস্থায় পৃথিবীর যে অংশ চাদের সামনে আসে সেখানে হয় মুখ্য জোয়ার কিন্তু সূর্যের আকর্ষণ বা ৯০° কোণে কাজ করে বলে ভালো আকর্ষণে মুখ্য জোয়ার অতটা তেজি হয় না। তাকেই মরা কোটান বা মরা জোয়ার বলে। এই ভোরে সাধারণ জোয়ার 


No comments:

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();