⬛ সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১
1. বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর — (20-25/30-35 / 40-45) কিমি উন্নতায় অবস্থান করে।
উঃ 20-25
2. একটি গ্রিনহাউস গ্যাস হল — (অক্সিজেন/কার্বন ডাইঅক্সাইড/হাইড্রোজেন)।
উঃ কার্বন ডাইঅক্সাইড
3. বায়ুমণ্ডলে থাকা আমাদের রক্ষাকবচটি হল— (ওজোনস্তর / নাইট্রোজেন স্তর/হিলিয়াম স্তর) ।
উঃ ওজোনস্তর
4. জৈব পদার্থের পচনের ফলে উৎপন্ন গ্যাসটি হল — (CFC /মিথেন/ কার্বন মনোক্সাইড)।
উঃ মিথেন
5. কলকাতা, মুম্বাই এর মতো বড়ো শহরে প্রতিদিন যে গাড়ি চলে তা থেকে প্রায় — (10 লক্ষ / 20 লক্ষ/ 30 লক্ষ) কিলোগ্রাম ধোঁয়া বাতাসে মেশে।
উঃ 10 লক্ষ
6. একটি প্রচলিত শক্তির উৎস হল — (বায়ু / সৌরকিরণ/ খনিজ তেল)।
উঃ পেট্রোলিয়াম
7. স্টোন ক্যানসার অধিকাংশ দেখা যায়— (গ্র্যানাইট/সিসা / মারবেল) পাথরে।
উঃ মারবেল
৪. আমরা নিশ্বাসের মাধ্যমে বাতাসে— (অক্সিজেন/কার্বন ডাইঅক্সাইড/মিথেন) গ্যাস ত্যাগ করি।
উঃ কার্বন ডাইঅক্সাইড
⬛ সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১
1. ইটভাটা এবং কারখানা থেকে বায়ুমণ্ডলে প্রচুর মিথেন গ্যাস নির্গত হয় ।
উঃ মিথ্যা
2. CFC গ্যাস ওজোনস্তরের ক্ষতি করে ।
উঃ সত্য
3. বায়ুদূষণ প্রতিরোধের জন্য বেশি করে গাছ লাগানো প্রয়োজন ।
উঃ সত্য
4. 2011 সালে জাপানে পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রে বিস্ফোরণের ফলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বায়ুতে মিশে যায় ।
উঃ সত্য
5. সৌরশক্তি একটি প্রচলিত শক্তি ।
উঃ মিথ্যা
6. ধূমপানে ধূমপায়ী ছাড়া অপর কারোর ক্ষতি হয় না ।
উঃ মিথ্যা
7. ট্রেন গণপরিবহণের একটি মাধ্যম নয় ।
উঃ মিথ্যা
৪. অপ্রচলিত শক্তিতে বায়ুদূষণ কম হয় ।
উঃ সত্য
⬛ এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১
1. জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রে কত সালে বিস্ফোরণ ঘটেছিল?
উঃ 2011 সালে
2. CFC-এর পুরোকথা কী?
উঃ ক্লোরোফ্লুরোকার্বন
3. তাজমহল, কেন ক্ষয় হচ্ছে?
উঃ অ্যাসিড বৃষ্টির জন্য
4. Earth hour প্রথম কবে পালন করা হয়?
উঃ 2007 সালের 31 মাৰ্চ
5. পাথরের ক্যানসার বা স্টোন ক্যানসার কেন হয়?
উঃ অ্যাসিড বৃষ্টির জন্য
6.সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ গ্রিনহাউস গ্যাস কোনটি?
উঃ জলীয়বাষ্প
7. ফ্রিজ, এসি, সুগন্ধী ইত্যাদি থেকে কোন্ গ্যাস উৎপন্ন হয়?
উঃ CFC
8. ধোঁয়াশায় ধোঁয়ার সাথে আর কী সম্মিলিত হয়েছে?
উঃ কুয়াশা
9. শীতের দেশে কাচের ঘরে যে শাকসবজির চাষ হয় তাকে কী বলে?
উঃ গ্রিনহাউস
10. একটি গণপরিবহনের উদাহরণ দাও ।
উঃ বাস
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর; প্রতিটি প্রশ্নের মান -২/৩
1. বায়ুদূষণ বলতে কী বোঝ ?
উঃ বিভিন্ন ধরনের দূষক পদার্থ দ্বারা বায়ুর গুণমানের অবনমনই হল বায়ুদূষণ। তবে WHO (World Health Organisation) প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী, বায়ুর মধ্যে যখন বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থের প্রবেশের ফলে তার স্বাভাবিক গুণমানের পরিবর্তন ঘটে এবং পরিবেশ, জীবজগৎ তথা মানুষের ওপর বিভিন্ন বিরূপ প্রভাব পড়ে, তখন তাকে বায়ুদূষণ বলে।
2. প্রধান বায়ুদূষকগুলির নাম লেখো।
উঃ প্রধান বায়ুদূষকগুলি হল—বিভিন্ন প্রকার বিষাক্ত গ্যাস যেমন—কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2), কার্বন মনোক্সাইড (CO), নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOX), সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2) ইত্যাদি; বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ (সিসা, পারদ ইত্যাদি); কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া, ধূলিকণা, ফুলের পরাগরেণু এবং অন্যান্য জৈব ও অজৈব পদার্থসমূহ।
3. বাড়ির পরিবেশে কীভাবে বায়ুদূষণ ঘটে ?
উঃ বাড়ির পরিবেশে বিভিন্নভাবে বায়ুদূষণ ঘটে। যেমন— [1] রান্না করার সময় কাঠ, ঘুঁটে, কয়লা বা গ্যাসের দহন থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া, কার্বন কণা বায়ুতে যুক্ত হয়। [2] ধূপ জ্বালানো, মশা তাড়ানোর ধূপ, ঘর পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত জীবাণুনাশক, দুর্গন্ধ দূর করার জন্য সুগন্ধী রাসায়নিকের ব্যবহার করা। [3] ঘরের দেয়াল বা জানালা- দরজায় ব্যবহার করা রং-এর গন্ধ থেকেও বায়ুদূষণ ঘটে। [4] বিড়ি, সিগারেটের ধোঁয়াও বায়ুদূষণ ঘটায়।
4. ওজোন গহ্বর কী?
উঃ প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট ফলে বায়ুদূষণের গ্যাসের ঘনত্ব ক্রমাগত হ্রাস স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওজোন পাচ্ছে। ফলে কোনো কোনো স্থানে এই ঘনত্ব 200 ডবসন এককের নীচে নেমে আসে ও ওজোনস্তর পাতলা হয়ে গিয়ে গহ্বরের সৃষ্টি হয়। একে ওজোন গহ্বর বলে।
5.বাড়ির পরিবেশে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে তুমি কী কী করতে পারো?
উঃ [1] কাশি বা হাঁচির সময় মুখে রুমাল চাপা দিতে হবে। [2] ঘরে রান্না করার সময় রান্নাঘরের দরজা বা জানালা খুলে রাখতে হবে। [3] ঘরের ভিতরে আবর্জনা ফেলার পাত্র সবসময় ঢেকে রাখতে হবে। [4] ঘরের ভিতর রং করার সময় ঘরের দরজা ও জানালা খোলা রাখতে হবে। [5] মশা তাড়ানোর ধূপের বদলে মশারি ব্যবহার করতে হবে। [6] ঘরের মধ্যে যাতে কেউ ধূমপান না করে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
6. অ্যাসিড বৃষ্টি কী ?
উঃ যানবাহন এবং কলকারখানার ধোঁয়া থেকে সালফার ডাইঅক্সাইড (SO) এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড (NO) ) প্রভৃতি গ্যাস নির্গত হয়। এগুলি বৃষ্টির জলের সঙ্গে বিক্রিয়ার ফলে অ্যাসিড তৈরি করে এবং বৃষ্টির সঙ্গে ভূপৃষ্ঠে ঝরে পড়ে। একেই অ্যাসিড বৃষ্টি বলে। অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন জলাশয়ের মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যায়, মৃত্তিকা অনুর্বর হয়ে ওঠে ও ফসলের ক্ষতি হয়, পাথরের মূর্তি বা সৌধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাড়ির রং নষ্ট হয় ও ইস্পাতের তৈরি ব্রিজের ক্ষতি হয়।
7. বিশ্ব উন্নায়ন কী ?
উঃ পৃথিবীব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির অত্যধিক নির্গমনের ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের জমার পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ বৃহৎ তরঙ্গরূপে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ও গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির দ্বারা শোষিত হয়। এইভাবে ভূপৃষ্ঠের তাপ সঞ্চয় করে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলীয় উয়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে পৃথিবীর গড় উয়তার বৃদ্ধি ঘটায়। এই ঘটনাকেই বিশ্ব উন্নায়ন বলা হয়। এর ফলে, মেরু এবং উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে, সমুদ্রজলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি দেখা দিচ্ছে, পৃথিবীব্যাপী জলবায়ুগত পরিবর্তন ঘটছে।
8. Earth hour বলতে কী বোঝ?
উঃ অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্গত সিডনি শহরের অধিবাসীরা 2007 সালের 31 মার্চ রাত সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৭টা অর্থাৎ 1 ঘণ্টার জন্য শহরের আলো নিভিয়ে রেখেছিল। প্রতি বছরই মার্চ মাসের যে-কোনো একটি শনিবার এমনটা করা হয়ে থাকে। এই এক ঘণ্টা সময়কেই Earth hour বলা হয়। বর্তমানে পৃথিবীর 85টি দেশের 1000টি শহরের অধিবাসীরা মার্চ মাসের যে-কোনো একটি শনিবার 1 ঘণ্টার জন্য আলো বন্ধ করে আর্থ আওয়ার পালন করেন।
9. প্রধান প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির নাম লেখো ।
উঃ প্রধান প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি হল কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOX), ওজোন, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC) প্রভৃতি। তবে জলীয়বাষ্প, ধূলিকণা প্রভৃতি উপাদানগুলি গ্যাসীয় উপাদান না হলেও এরা পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গ্রিনহাউস গ্যাসের ন্যায় আচরণ করে।
No comments:
Post a Comment