ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, LAQ)/Class 6th History Chapter3 questions and answers (MCQ, SAQ, LAQ) - SM Textbook

Fresh Topics

Thursday, June 6, 2024

ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, LAQ)/Class 6th History Chapter3 questions and answers (MCQ, SAQ, LAQ)

 

ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, LAQ)/Class 6th History Chapter3 questions and answers (MCQ, SAQ, LAQ)



একটি বাক্যে উত্তর দাও

প্রতিটি প্রশ্নের মান-1

1. আদিম গোষ্ঠী সমাজে কীসের ভিত্তিতে মানুষ জোট বাঁধত ?

উঃআদিম গোষ্ঠী সমাজে মানুষ রক্তের সম্পর্ক এবং আত্মীয়তার ভিত্তিতে জোট বাঁধত ।


2. মেহেরগড় সভ্যতার পুরোনো পর্যায়কালটি লেখো ।

উঃমেহেরগড় সভ্যতার পুরোনো পর্যায়কাল ছিল খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ - খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ পর্যন্ত |


3. মেহেরগড় কোথায় অবস্থিত ?

উঃবর্তমান পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের বোলান গিরিপথের ধারে ঝোব নদীর তীরে কাচ্ছি সমভূমিতে মেহেরগড় অবস্থিত ।


4. মেহেরগড় সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কী ছিল ?

উঃমেহেরগড় সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল তার সমাধিপ্ৰথা ।


5. মেহেরগড় সভ্যতার কোন্ পর্বে কাস্তের ব্যবহার শুরু হয় ?

উঃমেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বে কাস্তের ব্যবহার শুরু হয় ।


6. কে সর্বপ্রথম সিন্ধু উপত্যকায় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার করেন ?

উঃচার্লস ম্যাসন সর্বপ্রথম সিন্ধু উপত্যকায় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার করেন ।


7. কে প্রথম মহেনজোদাড়োতে খোঁড়াখুড়ি শুরু করেন ?

উঃরাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম মহেনজোদাড়োতে খোঁড়াখুড়ি শুরু করেন ।


8. হরপ্পা কোথায় অবস্থিত ?

উঃবর্তমান পাকিস্তানের মন্টগোমারি জেলায় হরপ্পা অবস্থিত ।


9. হরপ্পা সভ্যতায় জাহাজঘাটার অস্তিত্ব কোথায় পাওয়া গেছে ?

উঃহরপ্পা সভ্যতার লোথালে জাহাজঘাটার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে ।


10. ‘ লোথাল ' কথাটির অর্থ কী ?

উঃ ‘ লোথাল ’ কথাটির অর্থ মৃতের স্থান ।


11. হরপ্পা সভ্যতার নীচু এলাকায় কী ছিল ?

উঃহরপ্পা সভ্যতার নীচু এলাকায় ছিল মূল হরপ্পাবসতি । 


12. হরপ্পা সভ্যতার নগরজীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি কী কী ?

উঃ সভ্যতার নগরজীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি হল উন্নত প্রয়ঃপ্রণালী ও বাণিজ্য - ব্যবস্থা ।


13. লোথাল কোথায় অবস্থিত ?
উঃ গুজরাটের ভোগাবোর নদীর তীরে লোথাল অবস্থিত ।


14. হরপ্পা সভ্যতার কারিগরি উন্নতির নজির কীসের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় ?

উঃ হরপ্পা সভ্যতার কারিগরি উন্নতির নজির খুঁজে পাওয়া যায় তার নানারকম মাটির পাত্রের মধ্যে ।


15. হরপ্পা সভ্যতার কোন্ প্রত্নস্থলে লাঙলের হদিস পাওয়া যায় ?

উঃ হরপ্পা সভ্যতার কালিবঙ্গানে লাঙলের হদিস পাওয়া যায় ।


16. হরপ্পার অধিবাসীরা কোন্ পশুর ব্যবহার জানত না ?

উঃ হরপ্পার অধিবাসীরা ঘোড়ার ব্যবহার জানত না ।


17. হরপ্পা সভ্যতার মানুষ কীসের পুজো করত ?

উঃ হরপ্পা সভ্যতার মানুষ জীবজন্তু ও গাছপালার পুজো করত ।


18. কবে নাগাদ হরপ্পার সঙ্গে মেসোপটেমিয়ার বাণিজ্যে ভাটা পড়ে ?

উঃ খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০ অব্দের পর থেকে হরপ্পার সঙ্গে মেসোপটেমিয়ার বাণিজ্যে ভাটা পড়ে ।


19. ঋগ্‌বেদের ভাষায় কোন্ ভাষার প্রভাব দেখা যায় ?

উঃ  ঋগ্‌গ্বেদের ভাষায় দ্রাবিড় ভাষার প্রভাব দেখা যায় ।


সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রতিটি প্রশ্নের মান-২

1. কালে কালে মানুষের  নানা দিক কীভাবে বদলে গেল ?

উঃ একসময় মানুষ খাবারের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াত । পরে তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শিখল । ধীরে ধীরে তারা কৃষিকাজ এবং পশুপালনও শিখল । এভাবেই মানুষের জীবনযাত্রা নানাভাবে বদলে গেল ।


2. জোট বেঁধে বাস করতে থাকা মানুষদের মধ্যে মতের অমিল দেখা দেওয়ায় তার ফল কী হল ?

উঃ জোট বেঁধে বাস করতে থাকা মানুষদের মধ্যে একসময় মতের অমিল দেখা দিল । তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তাদের বিবাদ মিটিয়ে নিল এবং ঠিক করল যে , সবাই মিলে তারা নিয়মের শাসন মেনে চলবে । এভাবেই নিয়মের শাসন চালু হল ।


3. সভ্যতার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

উঃ একটি সভ্যতায় গ্রাম ও নগর থাকতে হবে । নির্দিষ্ট শাসনব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে শিল্প ও স্থাপত্য থাকতে হবে । এ ছাড়াও থাকতে হবে মানুষের নিজস্ব বর্ণমালা বা লিপি ।


4. আদিম যুগে মানুষ কীভাবে জোট বাঁধত ?

উঃ আদিম যুগে মানুষ রক্তের সম্পর্কে ও আত্মীয়তার ভিত্তিতে জোট বাঁধত । আবার কোনো কোনো সময় পারস্পরিক সুযোগসুবিধা পেতেও তারা জোট বাঁধত।

 

5. মেহেরগড়ে কী ধরনের শিল্প নিদর্শন পাওয়া গেছে ?

উঃ মেহেরগড় সভ্যতার নানা পর্বে বিভিন্ন ধরনের শিল্প নিদর্শন পাওয়া গেছে । যেমন — নানা ধরনের মৃৎপাত্র , তৈজসপত্র , পুতি , আংটি , ছুরি , ছুঁচ , বড়শিজাতীয় জিনিস , পশুর লোম , উলের কাপড় প্রভৃতি ।


6. মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বে কী কী কৃষিজ ফসলের নিদর্শন পাওয়া গেছে ?

উঃ মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এই পর্বে কৃষিজ ফসলের মধ্যে গম , যব ও কার্পাসের নিদর্শন পাওয়া গেছে । পণ্ডিতদের অনুমান পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কার্পাস চাষের নমুনা মেহেরগড়েই পাওয়া গেছে ।

7. মেহেরগড় সভ্যতায় মৃতদেহকে কীভাবে সমাধি দেওয়া হত ?

উঃ মেহেরগড় সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল তার সমাধিক্ষেত্র । এসময় মৃতদেহকে সমাধি দেওয়া হত । সমাধিতে মৃতদেহ সোজাসুজি বা কাত করে শুইয়ে দেওয়া হত এবং তার সঙ্গে দেওয়া হত নানা জিনিসপত্র , যেমন— শাঁখ বা পাথরের গয়না ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র । এমনকি মৃতের সঙ্গে গৃহপালিত পশু ও মূল্যবান পাথরের অলংকারও সমাধি দেওয়া হত ।


৪. মেহেরগড়বাসীরা কী কী জীবিকা গ্রহণ করেছিল ?

উঃ মেহেরগড় থেকে পাওয়া বিভিন্ন প্রত্ননিদর্শন থেকে এখানকার অধিবাসীদের জীবিকা সম্বন্ধে একটি ধারণা পাওয়া যায় । কৃষি ছিল মেহেরগড় বাসীদের প্রধান জীবিকা । তার পাশাপাশি ছিল পশুপালন , গয়না তৈরি , মাটির পাত্র তৈরি প্রভৃতি জীবিকাও ।


9. হরপ্পা সভ্যতাকে কেন তামা - ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা বলা হয় ?

উঃ বিভিন্ন প্রত্নবস্তুর ওপর ভিত্তি করে জানা যায় যে , হরপ্পা সভ্যতার মানুষ তামা ও ব্রোঞ্জ উভয় ধাতুরই ব্যবহার জানত । যেহেতু তারা তামা ও ব্রোঞ্জ ব্যবহার করত , সেই কারণে এই সভ্যতাকে তামা - ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা বলা হয় ।

10. হরপ্পা সভ্যতার স্নানাগারের পরিচয় দাও ।

উঃ হরপ্পা সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র মহেনজোদাড়োয় একটি স্নানাগারের নিদর্শন পাওয়া গেছে । এই স্নানাগারটি ছিল দৈর্ঘ্যে ১৮০ ফুট ও প্রস্থে ১০৮ ফুট । এই স্নানাগারের চারিদিকে রয়েছে ৮ ফুট উঁচু ইটের দেয়াল । এর মাঝখানে ছিল একটি জলাশয় । আবার এই স্নানাগারে অপরিশুদ্ধ জল বার করে দেওয়ার ব্যবস্থাও ছিল ।

11. লাল - কালো মাটির পাত্র কী ?

উঃ হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা মাটির পাত্রের গায়ে চকচকে লাল পালিশ করে , তার ওপর উজ্জ্বল কালো রঙের নকশা আঁকতেন । ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে এই পাত্রগুলি লাল কালো মাটির পাত্র নামে পরিচিত ।

12. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের বৃক্ষপূজার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।

উঃ হরপ্পা সভ্যতার বিভিন্ন সিলমোহর ও মাটির পাত্রে অশ্বত্থ গাছ ও পাতার ছবি দেখা যায় । তা থেকে অনুমান করা যায় । যে , হরপ্পায় জীবজন্তু ও মাতৃপুজোর পাশাপাশি বৃক্ষপূজাও করা হত । এইসময় সম্ভবত অশ্বত্থ গাছকে দেবতা হিসেবে পুজো করা হত ।


13. মেহেরগড় সভ্যতার ঘরবাড়ি কেমন ছিল ?

উঃ মেহেরগড়ের বাড়িগুলি ছিল ইট এবং মাটি দিয়ে তৈরি । বাড়িগুলির একের বেশি ঘর থাকত । কয়েকটি ইমারত সাধারণ বাড়ির থেকে অনেক বড়ো ছিল । প্রত্নতাত্ত্বিকরা এগুলিকে শস্য মজুত রাখার বাড়ি বলে মনে করেছেন ।


14. হরপ্পা সভ্যতার লিপির বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

উঃ হরপ্পা সভ্যতায় প্রাপ্ত সিলমোহরে উৎকীর্ণ লিপি পাওয়া গেলেও , সেগুলি এখনও পড়া যায়নি । এই লিপিগুলি সাংকেতিক । এগুলিতে ৩৭৫ থেকে ৪০০ টি চিহ্ন পাওয়া গেছে । এইসব লিপি সম্ভবত ডান দিক থেকে বাম দিকে লেখা হত ।


15. সিন্ধু সভ্যতাকে হরপ্পা সভ্যতা বলা হয় কেন ?

উঃ সিন্ধু সভ্যতাকে হরপ্পা সভ্যতা বলা হয় , কারণ—
[ 1 ] এই সভ্যতার প্রধান দুটি কেন্দ্র হরপ্পা ও মহেনজোদাড়ো সিন্ধু উপত্যকায় অবস্থিত হলেও , সিন্ধু উপত্যকার বাইরেও এই সভ্যতার অনেক কেন্দ্রের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ।
[ 2 ] হরপ্পাতেই এই সভ্যতার প্রথম কেন্দ্রটি আবিষ্কৃত হয়েছিল ।
[ 3 ] হরপ্পাই হল এই সভ্যতার সবচেয়ে বড়ো কেন্দ্র ।


16. হরপ্পা সভ্যতাকে প্রায় - ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতা বলা হয় কেন ?

উঃ ইতিহাসে প্রায় - ঐতিহাসিক যুগ বলে সেই সময়কে বোঝায় , যে সময় ইতিহাসের লিখিত উপাদান পাওয়া গেলেও তা আজও পড়া যায়নি । হরপ্পা সভ্যতাও প্রায় ঐতিহাসিক যুগের একটি সভ্যতা কেননা এখনও হরপ্পার লিপি পড়া সম্ভব হয়নি ।


সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রতিটি প্রশ্নের মান-3

1. " মেহেরগড় সভ্যতার আবিষ্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।

উঃ ভারতের একটি প্রাচীনতম সভ্যতা হল মেহেরগড় । ঐতিহাসিকদের অনুমান মেহেরগড় সভ্যতা হরপ্পা সভ্যতার ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিল ।
আবিষ্কার : ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ রিচার্ড মেডোকে সঙ্গে নিয়ে বালুচিস্তান ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে খননকার্য চালান । তাঁদের চেষ্টায় বোলান গিরিপথের ধারে কাচ্ছি সমভূমিতে মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কৃত হয় ।


2. মেহেরগড় সভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন পর্যায় বলতে কী বোঝ ?

উঃ মেহেরগড় সভ্যতার যে পর্যায়টি সবচেয়ে প্রাচীন রূপে চিহ্নিত , তার সময়কাল হল খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ । এই পর্যায়ের মানুষ কৃষিকাজ জানত এবং তারা গম ও যব উৎপাদন করত । তারা পশুপালনও করত । ছাগল , ভেড়া , কুঁজযুক্ত ষাঁড় ছিল তাদের গৃহপালিত পশু । এসময়ের মানুষ জাঁতা , শস্য পেষাই যন্ত্র , পাথরের ছুরি ও পশুর হাড়ের নানা যন্ত্রপাতি বানাতে পারত ।


3. মেহেরগড়বাসীর শিল্পকীর্তির পরিচয় দাও ।

উঃ মেহেরগড়ের অধিবাসীরা নানা শিল্পে বিশেষ পারদর্শী ছিল । এই শিল্পগুলির মধ্যে মৃৎশিল্প , ধাতুশিল্প , অলংকার শিল্প ও বয়নশিল্প ছিল প্রধান । মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্ব থেকে মাটির নানা ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করা হতে থাকে । এই সভ্যতার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে তামা গলিয়ে পুতি , আংটি , ছুরি , ছুঁচ ও বড়শিজাতীয় জিনিস তৈরি করা হয় । মেহেরগড়বাসীরা পাথর ও শাঁখের অলংকার তৈরি করত । এখানকার সমাধিগুলি থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায় । এ ছাড়া মেহেরগড় সভ্যতায় পশুর লোম ও উলের কাপড়ও বোনা হত ।


4. হরপ্পা সভ্যতার আবিষ্কার বিষয়ে কী জান লেখো ।

উঃ ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে প্রত্নতাত্ত্বিক দয়ারাম সাহানি হরপ্পায় খোঁড়াখুড়ি করে হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন খুঁজে পান । পরের বছর রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহেনজোদাড়োতেও খোঁড়াখুড়ি করে এই সভ্যতার নিদর্শন পান । ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অধিকর্তা জন মার্শাল হরপ্পা ও মহেনজোদাড়ো বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ পেশ করেন ।
এভাবেই খ্রিস্টের জন্মের তিন / আড়াই হাজার বছর আগের সভ্যতা আবিষ্কৃত হয় ।


5. হরপ্পা সভ্যতার শস্যাগারের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।

উঃ হরপ্পা সভ্যতায় মহেনজোদাড়ো ও হরপ্পা উভয় স্থানেই শস্যাগার পাওয়া গেছে । হরপ্পার শস্যাগারটি রাভিনদীর প্রাচীন খাতের কাছে অবস্থিত ছিল ।
গঠন : শস্যাগারটির ভেতরে দুই সারি মঞ্চ রয়েছে । এর দক্ষিণ দিকে রয়েছে একটি বড়ো মঞ্চ , যাতে কতকগুলি গোলাকার গর্তের দাগ পাওয়া গেছে ।
বৈশিষ্ট্য : শস্যাগারে সংরক্ষিত শস্য সতেজ রাখার জন্য ঘুলঘুলির মাধ্যমে হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল এবং শস্যাগারে শস্য ঝাড়াইবাছাইয়েরও ব্যবস্থা ছিল ।


6. হরপ্পা সভ্যতার বাড়িঘর থেকে সেসময়ের সমাজ সম্পর্কে কী কী তথ্য পাওয়া যায় ?

উঃ হরপ্পা সভ্যতায় যেমন দুই কামরাবিশিষ্ট বাড়ি পাওয়া গেছে , তেমনই পাওয়া গেছে তিরিশ কামরাবিশিষ্ট প্রাসাদের মতো বড়ো বাড়ির নিদর্শন । বড়ো বাড়িগুলি ছিল এক , দুই বা তিনতলাবিশিষ্ট । মনে হয় সমাজের উঁচুতলার ধনী ও অভিজাতরাই এই সমস্ত বাড়িতে বাস করত । ছোটো বসতবাড়িতে বাস করত গরিব মানুষরা । এর থেকে হরপ্পার নগরজীবনে ধনী - গরিব ভেদাভেদ ছিল বলে অনুমান করা হয় । এ ছাড়া বেশ কয়েকটা বসতবাড়িতে প্রচুর ঘর থাকা সত্ত্বেও একটি রান্নাঘরের অস্তিত্ব দেখে অনুমান করা যায় যে , হরপ্পা সভ্যতায় যৌথ পরিবার ছিল ।


7.হরপ্পা সভ্যতার যোগাযোগ ব্যবস্থা কেমন ছিল ?

উঃ হরপ্পা সভ্যতা সম্পর্কে স্যার মর্টিমার হুইলার মনে করেন যে , হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা পরিবহণের মাধ্যম হিসেবে উট , গাধা ও ঘোড়ার ব্যবহার করত । খেলনাগাড়ির নিদর্শন থেকে বোঝা যায় যে , এখানে দু - চাকাওয়ালা ঠেলাগাড়ি এবং গোরু , ষাঁড় ও গাধায় টানা গাড়ি চলত । এই সভ্যতায় প্রাপ্ত নিদর্শনগুলির মধ্যে সিলমোহরে নৌকা , মাঝি , মাস্তুল ও জাহাজের প্রতিকৃতি পাওয়া যায় । এর ফলে স্থল ও জলপথে হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্যিক রূপটিও আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে ।


৪. হরপ্পা সভ্যতায় বাণিজ্য কেমন ছিল ?

উঃ হরপ্পা সভ্যতায় দেশের মধ্যে এবং বাইরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাণিজ্য চলত ।
দেশের মধ্যে বাণিজ্য : হরপ্পা সভ্যতায় লোথাল , রোপার , কোটডিজি প্রভৃতি এলাকার মধ্যে বাণিজ্য চলত । দেশের বাইরে বাণিজ্য : হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সঙ্গে পশ্চিম এশিয়া , বালুচিস্তান , মেসোপটেমিয়া , মিশর , পারস্য ও আফগানিস্তানের বাণিজ্যিক যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল ।
আমদানি - রপ্তানি দ্রব্য : হরপ্পা সভ্যতায় সোনা , রুপো , তামা , দামি পাথর , হাতির দাঁতের অলংকার প্রভৃতি আমদানি করা হত এবং রপ্তানি করা হত যব , ময়দা , তেল ও পশমজাত দ্রব্য প্রভৃতি ।
বাণিজ্য পথ : হরপ্পা সভ্যতায় সমুদ্রপথে বাণিজ্য চলত । স্থলপথে বাণিজ্য চলত মহীশূর , গুজরাট , কাশ্মীর ও নীলগিরি পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধরে ।


দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রতিটি প্রশ্নের মান-5


1. মেহেরগড় সভ্যতার অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে লেখো ।

উঃ ভূমিকা : ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম সভ্যতা হল মেহেরগড় সভ্যতা । ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ এই সভ্যতা আবিষ্কার করেন । এই ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করেন রিচার্ড মেডো ।
[ 1 ] অবস্থান : বর্তমান পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের বোলান গিরিপথের ধারে কাচ্ছি সমভূমিতে এই সভ্যতার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে ।
[ 2 ] বৈশিষ্ট্য : [ i ] এই সভ্যতা নতুন পাথরের যুগের সভ্যতা ।
[ ii ] এই সভ্যতা প্রাক্‌ - ইতিহাস যুগের সভ্যতা । কেন - না মেহেরগড়ে কোনো লিখিত উপাদানের নিদর্শন পাওয়া যায় না ।
[ iii ] এই সভ্যতার সূচনাকাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ অব্দ ।
[ iv ] এই সভ্যতা হরপ্পা সভ্যতার ভিত্তিভূমি নির্মাণ করেছিল ।
[ v ] এই সভ্যতা তামা পাথরের যুগের সভ্যতা ।
[ vi ] এটি মূলত একটি কৃষিনির্ভর সভ্যতা ।
[ vii ] এই সভ্যতার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল এখানকার সমাধিপ্রথা ।


2. মেহেরগড় সভ্যতার নানা পর্বের কী ধরনের নিদর্শন পাওয়া গেছে ?

উঃ ভূমিকা : মেহেরগড় সভ্যতা ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম সভ্যতা ।
[ 1 ] প্রাচীনতম পর্ব : এই সভ্যতার প্রাচীনতম পর্বের কাল ধরা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ অব্দ - খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ । এই পর্বের গম ও যবজাতীয় শস্য এবং ছাগল , ভেড়া , কুঁজওয়ালা ষাঁড় প্রভৃতি গৃহপালিত পশু ও পাথরের জাঁতা ও শষ্য পেষার যন্ত্র প্রভৃতির নিদর্শন পাওয়া গেছে ।
[ 2 ] দ্বিতীয় পর্ব : মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বের কালসীমা হল খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ - খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ পর্যন্ত । এই পর্বের গম , যব এবং কার্পাস চাষের নিদর্শন পাওয়া গেছে । এ ছাড়া কাস্তে ও নানা মৃৎপাত্র , পাথর ও শাঁখা দিয়ে তৈরি অলংকার প্রভৃতিও পাওয়া গেছে ।
[ 3 ] তৃতীয় পর্ব : মেহেরগড় সভ্যতার তৃতীয় পর্ব ধরা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০০ অব্দ - খ্রিস্টপূর্ব ৩৮০০ অব্দ পর্যন্ত সময়কে । এসময় নানা ধরনের গম ও যব চাষ করা হত । এই পর্বে কুমোরের চাকার সাহায্যে মৃৎপাত্র তৈরি করার এবং তামা ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে । এই পর্বে বিশেষভাবে হরপ্পা সভ্যতার ভিত্তিভূমি নির্মিত হয়েছিল ।


3. হরপ্পা সভ্যতার নগর - পরিকল্পনা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।

উঃ ভূমিকা : হরপ্পা উন্নত নগর - পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যগুলি পাওয়া যায় এর বাড়িঘর , রাস্তাঘাট , উন্নত জলনিকাশি ব্যবস্থা , স্নানাগার এবং শস্যাগারের নিদর্শন থেকে ।
[ 1 ] বাড়িঘর : হরপ্পা সভ্যতায় বাড়িগুলি তৈরি করা হত পোড়ানো ইট কিংবা রোদে শুকানো ইট দিয়ে । বড়ো রাস্তা বা গলিপথের ধারে বাড়িগুলি তৈরি করা হয়েছিল । বাড়িগুলি তৈরি করা হত একতলা বা দোতলা রূপে এবং প্রতিটি বাড়িতে রান্নাঘর , শোবার ঘর , স্নানঘর , আঙিনা , কুয়ো প্রভৃতি থাকত ।
[ 2 ] রাস্তাঘাট : হরপ্পা সভ্যতার রাস্তাঘাট সাধারণত উত্তর দক্ষিণ বরাবর ছিল । বড়ো রাস্তা থেকে অনেক সরু গলি পূর্ব - পশ্চিমে বিস্তৃত ছিল । রাস্তার ধারে ছিল খোলা নর্দমা এবং রাস্তাগুলিতে আলোরও ব্যবস্থা ছিল ।
[ 3 ] জলনিকাশি ব্যবস্থা বা পয়ঃপ্রণালী : হরপ্পা সভ্যতায় প্রতিটি বাড়ির নর্দমার সঙ্গে প্রধান নর্দমা যুক্ত ছিল । এ ছাড়া কুয়োর সাহায্যে মেটানো হত পানীয় জলের সমস্যা ।
[ 4 ] স্নানাগার : হরপ্পা কেন্দ্র মহেনজোদাড়োতে স্নানাগারের নিদর্শন পাওয়া গেছে । এর আয়তন ১৮০ ফুট × ১০৮ ফুট । এর মাঝামাঝি অংশে একটি বড়ো জলাশয় ছিল । জলাশয় থেকে অতিরিক্ত জল বার করার এবং জল ঢোকানোর ব্যবস্থা ছিল ।
[ 5 ] শস্যাগার : হরপ্পা সভ্যতার বিভিন্ন নগরে শস্যাগারের নিদর্শন পাওয়া গেছে । হরপ্পার শস্যাগারটির ভেতরে ছিল দুই সারিতে ভাগ করা মোট বারোটা বড়ো তাক । সেখানে হাওয়া চলাচলের জন্য ঘুলঘলিও ছিল । তাই সেখানে খাদ্যশস্য শুকনো ও তাজা রাখা সম্ভব হত ।


4. হরপ্পাবাসীদের অর্থনৈতিক জীবন কেমন ছিল ?
উঃ ভূমিকা : হরপ্পাবাসীদের অর্থনৈতিক জীবন ছিল বহুমুখী । তারা কৃষি , পশুপালন , ব্যাবসা ও নানা শিল্পের কাজ করত ।
[ 1 ] কৃষিকাজ : হরপ্পার অধিবাসীরা মূলত কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল । তারা গম , যব , তুলো , তিল , নানা ধরনের ডাল , জোয়ার বাজরা , সরষে , খেজুর , বাদাম প্রভৃতি ফসলের চাষ করত । সাধারণভাবে খাদ্যশস্যের জন্য শহরের অধিবাসীদের গ্রামের ওপর নির্ভর করতে হত ।
[ 2 ] পশুপালন : হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা পশুপালনে অভ্যস্ত ছিল । তারা ষাঁড় , ভেড়া , ছাগল প্রভৃতি পালন করত । কিন্তু হরপ্পাবাসীরা ঘোড়ার ব্যবহার জানত না ।
[ 3 ] ব্যাবসাবাণিজ্য : হরপ্পার অধিবাসীরা মেসোপটেমিয়া ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্য করত । সম্ভবত বিদেশ থেকে সোনা , রুপো , তামা , দামি পাথর , হাতির দাঁতের তৈরি চিরুনি , পাখির মূর্তি প্রভৃতি আমদানি করা হত ও রপ্তানি করা হত বার্লি , ময়দা , তেল , পশমজাত দ্রব্য প্রভৃতি । বাণিজ্য চলত স্থলপথে ও জলপথে ।
[ 4 ] জীবিকা : হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা বস্তুবয়ন শিল্প ; সোনা , রুপো , তামা ও ব্রোঞ্জ শিল্প ; মৃৎশিল্প ; ইটশিল্প ও কাষ্ঠশিল্পের কাজকে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করেছিল ।


5. হরপ্পাবাসীর ধর্মীয় জীবনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।

উঃ ভূমিকা : হরপ্পা সভ্যতার ধর্মীয় জীবন ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ । এই সভ্যতায় প্রাপ্ত নিদর্শন থেকে হরপ্পাবাসীর ধর্মীয় জীবনের একটা পরিপূর্ণ চিত্র পাওয়া যায় ।
[ 1 ] মূর্তিপুজো : হরপ্পার নানা কেন্দ্র থেকে পোড়ামাটির নারীমূর্তি পাওয়া গেছে । এ ছাড়া মহেনজোদাড়োতে প্রাপ্ত একটি সিলমোহরের গায়ে যোগীর মূর্তি খোদাই করা আছে , যাকে শিবের আদিম রূপ পশুপতি বলে অনুমান করা হয় । এ থেকে মনে হয় যে , হরপ্পা সভ্যতায় মাতৃপুজো ও শিবপুজোর প্রচলন ছিল ।
[ 2 ] জীবজন্তু ও গাছপালার পুজো : হরপ্পা সভ্যতায় একশিংওয়ালা কাল্পনিক পশুমূর্তির পুজো হত সবচেয়ে বেশি । হরপ্পা সভ্যতার সিলমোহরে ষাঁড়ের মূর্তি দেখে মনে হয় যে , এই সমাজে বৃষ বা ষাঁড়ের পুজোর প্রচলন ছিল । তা ছাড়া একটি পাত্রে ও সিলমোহরে অশ্বত্থ গাছ ও পাতার প্রতীক পাওয়া যায় , যা থেকে মনে হয় এই সমাজে বৃক্ষপুজোর প্রচলন ছিল ।
[ 3 ] জলের ব্যবহার : হরপ্পাবাসীদের ধর্মীয় জীবনে জলের বিশেষ গুরুত্ব ছিল । হয়তো মহেনজোদাড়োর জলাশয়টি ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা হত ।
[ 4 ] সমাধিপ্রথা : হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা মৃতদেহ সমাধি দিতেন । সমাধিতে মৃতদেহকে উত্তর দিক করে শুইয়ে রাখা হত এবং মৃতের সঙ্গে দেওয়া হত মাটির পাত্র ও অলংকার ।


6. হরপ্পা সভ্যতার অবনতির কারণ কী ছিল ?

উঃ ভূমিকা : খ্রিস্টপূর্ব ১৭৫০ অব্দের পরে হরপ্পা সভ্যতার অস্তিত্ব ক্রমশ লোপ পেতে থাকে । বেশ কিছু ঘটনার কারণে হরপ্পা সভ্যতার অবনতি হয়েছিল । এগুলি হল—
[ 1 ] বন্যা : মহেনজোদাড়ো নগরের পাঁচিলটিতে একই জায়গায় অনেকবার মেরামতির ছাপ দেখা যায় । এ ছাড়া পাঁচিলে কাদার চিহ্নও পাওয়া গেছে । ওই জমে থাকা কাদা সম্ভবত বন্যার ফলে এসেছিল । তাই সিন্ধুনদের বন্যায় এই অঞ্চলের ক্ষতি হয়েছিল বলে মনে করা হয় ।
[ 2 ] আবহাওয়ার পরিবর্তন : খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ অব্দ থেকে এশিয়া মহাদেশের অনেক জায়গাতেই বৃষ্টিপাত কমতে থাকে । যার ফলে শুষ্ক জলবায়ু দেখা দেয় । সে কারণে কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় । হরপ্পা সভ্যতার কৃষিকাজও এই সমস্যা থেকে রেহাই পায়নি বলে অনুমান করা হয় । অন্যদিকে এই সভ্যতায় ইট পোড়ানোর জন্য চুল্লির জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার করা হত , যার জোগান আসত গাছ থেকে । তাই ব্যাপকভাবে গাছ কাটার ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায় ।
[ 3 ] বহির্বাণিজ্যে ভাটা : আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০ অব্দের পরে মেসোপটেমিয়ার সঙ্গে হরপ্পার বাণিজ্যে ভাটা পড়ে । ফলে হরপ্পার অর্থনীতি ক্রমশ সমস্যার মুখে পড়ে । ওপরের কারণগুলি ছাড়া হরপ্পার দুর্বল নগর শাসন ব্যবস্থা এই সভ্যতার অবনতির একটা অন্যতম কারণ ছিল।



No comments:

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();