ব্রিটিশদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নীতি (Social and Cultural Policy of the British)
চিরাচরিত ভারতীয় সমাজ ও শিক্ষার ওপর ব্রিটিশ শাসন এক সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করে। ভারতীয় সমাজের নানা অনাচার ও কুপ্রথার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে। শিক্ষাক্ষেত্রেও আসে এক নতুন পরিবর্তন।
সমাজসংস্কার
তৎকালীন কুসংস্কার : অষ্টাদশ শতকের শেষ ও উনিশ শতকের সূচনায় ভারতীয় সমাজ নানা কুসংস্কারের নিগড়ে আবদ্ধ ছিল। বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কন্যাপণ, কৌলিন্য প্রথা, জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা, গঙ্গাসাগরে সন্তান নিক্ষেপ প্রভৃতি সামাজিক কুপ্রথা ধর্মের মোড়কে ভারতীয় সমাজকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। ভারতবাসী সেদিন ধর্মের নামে অধর্মের উপাসনায় মগ্ন ছিল। হিন্দু পণ্ডিত ও শাস্ত্রকাররা এইসব অযৌক্তিক প্রথাকে টিকিয়ে রাখার জন্য শাস্ত্রকে ব্যবহার করতেন। ইংরেজ সরকারও তাদের শাসনের সূচনাপর্বে ভারতবাসীর ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে হস্তক্ষেপের বিরোধী ছিলেন। কালক্রমে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে সরকার হিন্দুসমাজে প্রচলিত অমানবিক প্রথাগুলির বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন।
শিশুহত্যা রদ : ভারতীয় হিন্দুসমাজে দীর্ঘকাল ধরে শিশুহত্যার মতো অমানবিক প্রথা প্রচলিত ছিল। অনেক সন্তানহীনা নারী ঈশ্বরের কাছে সন্তান কামনা করে বলত যে, তার একাধিক সন্তান জন্মগ্রহণ করলে একটি সন্তানকে সে গঙ্গাসাগরে উৎসর্গ করবে। এ ছাড়া, রাজপুতানা, মধ্য ও পশ্চিম ভারতের দারিদ্র্য পীড়িত রাজপুত, জাঠ ও মেওয়াট জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে শিশুকন্যাকে হত্যার মতো কুপ্রথা প্রচলিত ছিল। এই অনুর্বর অঞ্চলে যুদ্ধজনিত কারণে। বিবাহযোগ্য পুরুষের সংখ্যা ছিল খুবই কম। এ ছাড়া, পণপ্রথা প্রচলিত থাকায় দরিদ্র পিতা- মাতার পক্ষে কন্যার বিবাহ দেওয়াও ছিল খুবই দুরূহ। এই কারণে শিশু-কন্যাকে হত্যা করা হত। ১৭৯৫ এবং ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে সরকার আইন পাস করে এই দু-ধরনের শিশুহত্যা নিষিদ্ধ করেন। ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দের আইন দ্বারা নরবিজিত অঞ্চলগুলিতে এই আইন প্রসারিত হয়।
সতীদাহ রদ: ভারতীয় সমাজে দীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত 'সতীদাহ প্রথা নিবারণের জন্যও সরকার সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে। ১৮১২, ১৮১৫ এবং ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে কতকগুলি বিধিনিষেধ প্রণয়ন করে সরকার এই প্রথা নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট হন। রামমোহন রায় এই প্রথা বন্ধের জন্য দেশে আন্দোলন গড়ে তুললে রক্ষণশীল হিন্দুনেতা রাজা রাধাকান্ত দেব এক প্রতি আন্দোলন গড়ে তোলেন। শেষ পর্যন্ত ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা ডিসেম্বর বড়োলাট লর্ড বেন্টিঙ্ক এক আইন দ্বারা এই অমানবিক প্রথা রদ করেন। এই আইনে সতীদাহ প্রথা বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষিত হয়।
বিধবাবিবাহ আইন: পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হিন্দুসমাজে প্রচলিত বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহের বিরুদ্ধে এবং বিধবাবিবাহের পক্ষে এক আন্দোলন গড়ে তোলেন। বিভিন্ন শাস্ত্রগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি প্রমাণ করেন যে, বিধবাবিবাহ শাস্ত্রসম্মত। রক্ষণশীল নেতাদের প্রতিরোধ সত্ত্বেও বড়োলাট লর্ড ডালহৌসির আমলে ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জুলাই বিধবাবিবাহ আইনসম্মত বলে ঘোষণা করা হয়।
নরবলি ও দাসত্ব প্রথা রদঃ জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য উড়িষ্যার খোন্দ উপজাতিদের মধ্যে নরবলি প্রথা চালু ছিল। বড়োলাট হার্ডিঞ্জ এই কুপ্রথার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তাঁর এই উদ্যোগ বিশেষ সফল হয়নি। ১৮৪৭ ও ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ উদ্যোগে এই অমানবিক প্রথা রহিত করা সম্ভব হয়। পৃথিবীর অন্যান্য অংশের মতো প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে দাসপ্রথা প্রচলিত ছিল। ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে লর্ড অকল্যান্ড ভারতে এই প্রথা বিলোপ করেন।
ফলাফল:- সরকারি উদ্যোগে এই সংস্কার-প্রচেষ্টা ভারতীয় সমাজকে বিশেষ উদ্বুদ্ধ করতে পারেনি। এর দ্বারা প্রভাবিত বা উপকৃত হয়েছিল খুবই কম সংখ্যক মানুষ। ভারতের বিশাল জনমণ্ডলী পুরোনো ধ্যানধারণাকেই আঁকড়ে ছিল।
ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার:-
বাণিজ্যিক স্বার্থে এদেশে এসে একটি ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতলোক ইংরেজদের সংস্পর্শে আসার ফলে ভারত ইতিহাসে এক নবযুগের সূত্রপাত হয়। পাশ্চাত্য সভ্যতা জরাজীর্ণ সভ্যতা ও সমাজজীবনের ওপর এক চরম আঘাত হানে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘর্ষে যে নবভারত গড়ে ওঠে তার মূলে ছিল পাশ্চাত্য শিক্ষা।
দেশের প্রচলিত শিক্ষা: ইংরেজ শাসনের সূচনাপর্বে হিন্দু-মুসলিম ভারতবাসী পাঠশালা, টোল, মঞ্চ ও মাদ্রাসায় আরবি, ফারসি ও সংস্কৃতর মাধ্যমে শিক্ষালাভ করত। পাঠশালা ও মক্তবের শিক্ষা সাধারণ কিছু প্রাথমিক জ্ঞান ও ধর্মীয় উপাখ্যান পাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল, গণিত, প্রকৃতিবিজ্ঞান প্রভৃতি সম্পর্কে সেদিন মানুষের কোনো ধারণাই ছিল না।
সরকারি মনোভাব : ইংরেজ শাসনের সূচনাপর্বে কোম্পানি ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের বিরোধী ছিল। কোম্পানি মনে করত যে, ইংরেজি শিক্ষা পেলে ভারতবাসীর মানে স্বাধীনতা স্পৃহা বৃদ্ধি পাবে এবং হয়তো ভারত কোম্পানির হস্তচ্যুত হয়ে যাবে। এই কারণে কোম্পানি ভারতীয়নের সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষাতেই উৎসাহ দিত। এই উদ্দেশ্যে বড়োলটি হেস্টিংসের চেষ্টায় কলকাতা মাদ্রাসা (১৭৮১ খ্রি.), উইলিয়াম জোন্স-এর চেষ্টায় কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটি (১৭৮৪ খ্রি.) এবং জোনাথন ডানকানের চেষ্টায় বারাণসীতে সংস্কৃত কলেজ (১৭৯১ খ্রি.) স্থাপিত হয়।
খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা : এদেশে ইংরেজ রাজত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গে সন্ধ্যে ইংরেজনো আইন-আদালত প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। ইংরেজ বণিকরাও নানা স্থানে তাদের বাণিজ্যাগার স্থাপন করে। তাদের অধীনে কর্মরত ভারতীয়দের ইংরেজি জ্ঞানের প্রয়োজন ছিল। মধ্যবিত্ত বাঙালি চাকরি লাভের আশায় ইংরেজি শিক্ষার প্রতি আকর্ষণ বোধ করে। এই সুযোগে কয়েকজন বিদেশি কলকাতায় ইংরেজি শিক্ষার বিদ্যালয় খোলেন। এঁদের মধ্যে সারবর্ন, মার্টিন বাউল, আরটুন পিট্রাস ও ডেভিড ড্রামন্ড পরিচালিত বিদ্যালয়- বুলি উল্লেখযোগ্য। ভারতে ইংরেজি শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। খ্রিস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে তাঁরা ভারতের নানা অঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে থাকেন। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে মার্শম্যান, ওয়ার্ড ও উইলিয়ম কেরি শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন, চার্চ মিশনারি সোসাইটি ও লন্ডন মিশনারি, সোসাইটির উদ্যোগে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল এমনকি চুঁচুড়া, বর্ধমান, বহরমপুর, কালনা, মালদহ ও দক্ষিণ ভারতে বহু বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধানত খ্রিস্টধর্ম-সংক্রান্ত শিক্ষা। দেওয়া হলেও এইসব বিদ্যালয়ে ইতিহাস, ভূগোল, ব্যাকরণ প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হত। ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে ব্যাপটিস্ট মিশন শ্রীরামপুরে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করে।
ডেভিড হেয়ার এবং রামমোহন রায়: ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে রামমোহন রায় নিজ উদ্যোগে কলকাতায় 'অ্যাংলো-হিন্দু স্কুল' নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর উৎসাহ ও ডেভিড হেয়ারের চেষ্টায় হিন্দু কলেজ' (পরবর্তীকালে প্রেসিডেন্সি কলেজ, ১৮৫৫ খ্রি.) স্থাপিত হয়। ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দেই হেয়ার কলকাতায় আরও একটি ইংরেজি বিদ্যালয় (হেয়ার স্কুল) স্থাপন করেন। এ ছাড়া, তাঁর উদ্যোগেই ইংরেজি ভাষার পাঠ্যপুস্তক রচনা ও বিভিন্ন স্থানে ইংরেজি বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যে যথাক্রমে 'কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটি' (১৮১৭ খ্রি.) এবং কলকাতা স্কুল সোসাইটি' (১৮১৮ খ্রি.) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে স্কটল্যান্ডের ধর্মপ্রচারক আলেকজান্ডার ডাফ কলকাতায় 'জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন' (পরবর্তীকালের স্কটিশ চার্চ কলেজ) স্থাপনে উদ্যোগী হলে রামমোহন তাঁর প্রধান সহায়ক ছিলেন।
১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইন : ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে সনদ আইন পাস হয় এবং কোম্পানি পরবর্তী বিশ বছরের জন্য ভারতে শাসনাধিকার পায়। এই আইনের একটি ধারায় বলা হয় যে, ভারতীয় জনশিক্ষার জন্য কোম্পানি “প্রতি বছর অন্তত এক লক্ষ টাকা ব্যয় করবে"। এই উদ্দেশ্যে ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে 'কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন' বা 'জনশিক্ষা কমিটি গঠিত হয়। কমিটির সদস্যরা কলকাতায় একটি 'সংস্কৃত কলেজ' (১৮২৩ খ্রি.) প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে রামমোহন রায় তদানীন্তন গভর্নর জেনারেল লর্ড আমহার্স্টকে একটি পত্র. লেখেন (১৮২৩ খ্রি.)। এই পত্রে তিনি সংস্কৃত শিক্ষার অসারতা প্রমাণ করে ভারতে আধুনিক বিজ্ঞান ও ইংরেজি শিক্ষা প্রবর্তনের দাবি জানান। রামমোহন রায়ের এই পত্রটি ভারতীয় নবজাগরণের ইতিহাসে একটি মূল্যবান দলিল।
১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ঘোষণা: বেন্টিঙ্কের শাসনকালে (১৮২৮-৩৫ খ্রি.) শিক্ষা- নীতিতে বিশেষ পরিবর্তন ঘটে। এ সময় টমাস ব্যাবিংটন মেকলে নামে একজন খ্যাতনামা পণ্ডিত তাঁর সচিব হয়ে ভারতে আসেন এবং তিনি কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশনের' সভাপতি নিযুক্ত হন। তাঁর উদ্যোগে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মার্চ লর্ড বেন্টিঙ্ক ইংরেজি শিক্ষাকে সরকারি নীতিরূপে ঘোষণা করেন। ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দেই কলকাতা মেডিকেল কলেজ, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং বোম্বাই (মুম্বাই)-এ এলফিনস্টোন ইন্সটিটিউশন স্থাপিত হয়।
উডের নির্দেশনামা : ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১৯শে জুলাই বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড 'শিক্ষা সংক্রান্ত এক নির্দেশনামা' (Wood's Despatch) প্রকাশ করেন। এই নির্দেশনামার ওপর ভিত্তি করেই মূলত আধুনিক ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এই নির্দেশনামা অনুসারে লর্ড ডালহৌসি প্রত্যেক প্রদেশে জনশিক্ষা দপ্তর স্থাপন করেন। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় এবং ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বোম্বাই, মাদ্রাজ, লাহোর এবং এলাহাবাদে আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
ফলাফল : ইংরেজি শিক্ষার সংস্পর্শে এসে ভারতবাসী পাশ্চাত্য সভ্যতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানবতাবাদ প্রভৃতি আদর্শের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং নিজ সমাজ, ধর্ম, দেশ ও জাতির দুর্বলতাগুলি সহজেই অনুধাবন করতে পারে। ইংরেজি ভাষা শিক্ষিত ভারতবাসীকে ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ করে। বাংলা ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়। যুক্তিবাদী সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন, সাহিত্যে দেখা দেয় জাতীয়তার প্লাবন এবং তারপর আসে রাজনৈতিক আন্দোলনের জোয়ার। তবে একথা ঠিক, পাশ্চাত্য শিক্ষা দেশের মুষ্টিমেয় মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল – সর্বসাধারণের মধ্যে বিস্তৃত হয়ে কখনোই তা গণশিক্ষায় পরিণত হয়নি।
No comments:
Post a Comment