Geography Chapter -6 Questions And Answers Class 7th || সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল অধ্যায় -6 "শিলা ও মাটি" প্রশ্ন উত্তর || সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল সহায়িকা - SM Textbook

Fresh Topics

Thursday, August 29, 2024

Geography Chapter -6 Questions And Answers Class 7th || সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল অধ্যায় -6 "শিলা ও মাটি" প্রশ্ন উত্তর || সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল সহায়িকা

 Geography Chapter -6 Questions And Answers Class 7th || সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল অধ্যায় -6 "শিলা ও মাটি" প্রশ্ন উত্তর || সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল সহায়িকা



⬛ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর:প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

1. পৃথিবীর উপরের কঠিন আবরণটি কী দিয়ে গঠিত? 
উঃ । পৃথিবীর উপরের কঠিন আবরণটি শিলা দ্বারা গঠিত।


2. শিলা কাকে বলে? 
উঃ। বিভিন্ন খনিজ পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌগিক পদার্থ হল শিলা।


3. শিলা কয়প্রকার ও কী কী? 
উঃ। শিলা তিন প্রকার। যথা—আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা ও রূপান্তরিত শিলা।


4. শিলা কীভাবে ভেঙে যায় ?
উঃ। নানা প্রাকৃতিক শক্তি যেমন সূর্যের তাপ, বৃষ্টির আঘাত, বাতাসের ধাক্কা বা নদীর স্রোতের দ্বারা শিলা ভাঙে।


5. মাটি কয়প্রকার ও কী কী ?
উঃ। মাটি তিন প্রকার। যথা- বেলেমাটি, এঁটেল মাটি ও দোআঁশ মাটি 

 6. রেললাইনে পড়ে থাকা পাথর কী ধরনের শিলা ?
উঃ। রেললাইনে পড়ে থাকা পাথর আগ্নেয় শিলা।


7. খাবার নুন, খাবার সোডা, বিট নুন, পেনসিলের শিস, ফিটকিরি এই জিনিসগুলো আসলে কী ? 
উঃ। এগুলি এক একটি খনিজ পদার্থ।

৪. কোন্ শিলা সবচেয়ে বেশি ক্ষয় প্রতিরোধ করতে পারে? 
উঃ। রূপান্তরিত শিলা সবচেয়ে বেশি ক্ষয় প্রতিরোধ করতে পারে।


9. কোন্ কোন্ শিলা দিয়ে বাড়িঘর তৈরি হয়? 
উঃ। ঘরবাড়ি তৈরি করতে বেলেপাথর ও কাদাপাথর লাগে। 

10. কোন্ মাটি ফসল ফলানোর জন্য বেশ ভালো ?
উঃ। দোআঁশ মাটি ফসল ফলানোর জন্য বেশ ভালো। 

11. শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে কীসে পরিণত হয়? 
উঃ। শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পরিণত হয়।

12. কোন্ মাটিতে জল দাঁড়ায় না? 
উঃ। বেলেমাটিতে জল দাঁড়ায় না।

13. প্রতিমা গড়তে কোন্ মাটি লাগে? 
উঃ । প্রতিমা গড়তে এঁটেল মাটি লাগে। 

14. চুনাপাথর কোথায় ব্যবহার করা হয়? 
উঃ । চুনাপাথর সিমেন্ট তৈরি ও ইস্পাত কারখানায় ব্যবহার করা হয়।

15. মার্বেল কোন্ জাতীয় শিলা? 
উঃ। মার্বেল রূপান্তরিত শিলা। 

16. কোন্ শিলা পৃথিবীতে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হয়েছে ?
উঃ। আগ্নেয় শিলা।


 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :তিটা প্রশ্নের মান -2/3

1. আগ্নেয় শিলা কীভাবে তৈরি হয়েছে? কয়েকটি আগ্নেয় শিলার নাম লেখো। 
উঃ। জন্মের সময় পৃথিবী ছিল একটি আগুনের গোলা। পরে ধীরে ধীরে ঠান্ডা ও শক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে আগ্নেয় শিলা। গ্রানাইট ও ব্যাসল্ট হল আগ্নেয় শিলা।
2. আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো। 
উঃ। আগ্নেয় শিলা খুবই কঠিন এবং সহজে ভাঙে না। আগ্নেয় শিলা ভূ-গর্ভ ও ভূ-পৃষ্ঠের চাপে অনেক সময় বদলে। গিয়ে রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়।

3. পাললিক শিলা কীভাবে তৈরি হয়েছে? 
উঃ। বহু বছর ধরে আগ্নেয় শিলা বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপায়ে ক্ষয় হয়ে ছোটো ছোটো নুড়ি, কাঁকর ও বালিতে পরিণত হয়। পরে এগুলি আবার নদী বায়ুর দ্বারা বাহিত হয়ে সমুদ্রের নীচে পলি রূপে  স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। বহু বছর পরে এগুলি শক্ত হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয়।

4. কয়েকটি পাললিক শিলার নাম লেখো। এই শিলার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?
উঃ। কয়েকটি পাললিক শিলা হল বেলেপাথর, কাদাপাথর ও চুনাপাথর। পাললিক শিলায় স্তরভাগ বেশি লক্ষ করা যায়। পাললিক শিলা নরম ও হালকা হয়। এই শিলা কোমল ও নরম তাই সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যায়। স্তরে স্তরে এই শিলা সঞ্চিত হয়।

5. রূপান্তরিত শিলা কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে?
উঃ। আগ্নেয় ও পাললিক শিলা প্রবল তাপ, চাপ ও রাসায়নিক প্রক্রিয়া প্রভৃতি বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ও ভূগর্ভের তাপে এবং ভূপৃষ্ঠের চাপে অনেক সময় বদলে যায় এবং রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়।

6. রূপান্তরিত শিলার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উঃ। রূপান্তরিত শিলা খুবই কঠিন হয়। এই শিলা সহজে ভাঙে না। এই শিলার একটি উদাহরণ হল মার্বেল। বিশ্ববিখ্যাত সৌধ তাজমহল রূপান্তরিত শিলা মার্বেল দিয়ে তৈরি হয়েছে।

7. মাটিতে কী কী উপাদান থাকে ?
উঃ। খনিজ পদার্থ হল মাটির প্রধান উপাদান। মাটিতে শতকরা 25 শতাংশ বাতাস, 25 শতাংশ জল ও খনিজ পদার্থ থাকে 45 শতাংশ। বাকি 5 শতাংশের মধ্যে থাকে উদ্ভিদ ও প্রাণীর পচে যাওয়া দেহাংশ, অণু জীব এবং উদ্ভিদের পাতা ও শিকড়।


8. শিলা থেকে মাটি কীভাবে তৈরি হয় ?
উঃ। নানা প্রাকৃতিক শক্তি যেমন সূর্যের তাপ, বৃষ্টি, বাতাসের ধাক্কা বা নদীর স্রোতের দ্বারা শিলা ভাঙে। এই ভাঙা শিলার টুকরোগুলো সেখানে পড়ে থাকে বা দূরে চলে যায়। ক্রমাগত ক্ষয় হয়ে এই পাথরগুলো অবশেষে মাটিতে পরিণত হয়। তবে এগুলি কোনোটই একদিনে হয় না, মাটি তৈরি হতে বহু বছর সময় লেগে যায়।


9. পলিমাটি কত প্রকার হয়? এই মাটি কোথায় দেখা যায় ?
উঃ। পলিমাটি তিন ধরনের হয়। বেলে মাটি, এঁটেল মাটি ও দোআঁশ মাটি। পলিমাটি নদীর ধারে দেখা যায়। পলিমাটি হলেই যে উর্বর হবে তা নয়, নানা ধরনের মাটির নানা রকমের গুণ থাকে।


10. বেলে মাটির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো। 
উঃ। বেলে মাটির দানা মোটা। এই মাটিতে জল দাঁড়ায় না। জল ঢাললে মাটি তাড়াতাড়ি টেনে নেয়। বেলে মাটিতে পুষ্টি কম থাকায় ফসল খুব ভালো হয় না। 

11. এঁটেল মাটির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
 উঃ। এঁটেল মাটির দানা সূক্ষ্ম। এই মাটিতে বেশি পরিমাণে জল দাঁড়ায়। কারণ এঁটেল মাটির দানার মধ্যে ফাঁক কম থাকে। এই মাটিতে ফসল ভালো ফলে না। ধান, গম হলেও ফলন কম হয়।

12. দোআঁশ মাটির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো 
উঃ। দোআঁশ মাটির দানা মাঝারি। এই মাটিতে জল ও অন্য উপাদান সঠিক মাত্রায় থাকে। তাই চাষবাসের জন্য দোআঁশ মাটিই সবচেয়ে ভালো। সবরকমের ফসলই দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়ে থাকে।

13. রেগোলিথ কাকে বলে ? 
উঃ। বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ক্রমাগত ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাচূর্ণ যখন ভূমির ওপর এক শিথিল স্তরের সৃষ্টি করে তখন তাকে রেগোলিথ বলা হয়। 

14. জীবাশ্ম কাকে বলে ?
উঃ। জীবদেহ সমুদ্রগর্ভে পলির সাথে সাথে সঞ্চিত হয়ে পলির নীচে চাপা পড়ে যায়, কালক্রমে শিলা গঠনের সময় ওই জীবদেহ জমাট বেঁধে পাথরে পরিণত হয়। তখন শিলাস্তরে ওই জীবদেহের ছাপ থেকে যায়, একে জীবাশ্ম বলে। হিমালয় পর্বতে এরূপ জীবাশ্ম দেখা যায়।


15. শিলাচক্র কী?
উঃ। ভূগর্ভের অভ্যন্তরের ম্যাগমা ও লাভা বাইরে সজ্জিত হয়ে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি হয়। এই শিলা বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির কারণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সমুদ্রগর্ভে সঞ্চিত হয়। সেখানে পলির রাশি চাপে পড়ে পাললিক শিলায় পরিণত হয়। এই পাললিক শিলা ও আগ্নেয় শিলা পুনরায় শিলার চাপে, তাপে ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়। এইভাবে ক্রমান্বয়ে শিলা একরূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হয়। একে শিলাচক্র বলে।
⬛ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর:তিটা প্রশ্নের মান -5

1. মাটি তৈরিতে যারা প্রধান ভূমিকা নেয় তাদের অবদান আলোচনা করো। 
উঃ। শিলা: ভবিষ্যতে মাটি কেমন হবে তা শিলার প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে।
জলবায়ু : মাটি তৈরিতে এক বিশেষ ভূমিকা নেয় জলবায়ু। উয় ও বৃষ্টিবহুল জলবায়ুতে মাটি তাড়াতাড়ি তৈরি হয়। আবার শীতল ও শুষ্ক অঞ্চলে মাটি তৈরি হতে সময় লাগে। তাই উয় ও আর্দ্র অঞ্চলে মাটির গভীরতা বেশি হয়।
ভূপ্রকৃতি : ভূমির প্রকৃতি মাটি তৈরিকে প্রভাবিত করে। ভূমির খাড়া ঢালে মাটি সেভাবে তৈরি হয় না। আবার ভূমির ঢাল যেখানে কম, সেখানে ধীরে ধীরে মাটির স্তর তৈরি হতে পারে। 
জীবজগৎ : জীবিত ও মৃত উদ্ভিদ বা প্রাণীর অংশ মাটিতে খুব কমই থাকে। কিন্তু কেঁচো, পিঁপড়ে, ছুঁচো, সাপ প্রভৃতি প্রাণীরা মাটিকে আলগা করার ফলে জল ও বাতাস মাটিতে প্রবেশ করে। মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণী মাটিতে পুষ্টি জোগায়। 
সময় : মাটি একদিনে তৈরি হয় না। হাজার হাজার বছর এমনকি লক্ষ লক্ষ বছরও লেগে যায় মাটি তৈরি হতে।


2. পাললিক শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায় কেন?
উঃ। পাললিক শিলার মধ্যে জীবাশ্ম দেখা যায় কারণ — সমুদ্র বা হ্রদের তলায় যখন স্তরে স্তরে পলি জমা হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয়, তখন তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও মৃত প্রাণীর দেহও চাপা পড়ে এবং পলি জমাট বাঁধার সময় এগুলি ধীরে ধীরে প্রস্তরীভূত হয়ে যায়। পাথরে পরিণত হলেও শিলাস্তরের মধ্যে ওসব উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাকৃতির ছাপ পড়ে যায়।  এজন্য পাললিক শিলার মধ্যে উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহের ছাপযুক্ত জীবাশ্ম দেখা যায়। যেহেতু পাললিক শিলার গঠন প্রক্রিয়া দীর্ঘকাল ধরে চলে তাই সুদূর অতীতে বিভিন্ন সময়ে আবির্ভূত বহু প্রাণীদেহের ছাপ এই পাললিক শিলাস্তরের জীবাশ্মের মাধ্যমে পাওয়া যায়, যা প্রাচীনকালের উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ তথা জলবায়ু সম্পর্কে আমাদের জানতে সাহায্য করে।


5. মৃত্তিকার শ্রেণিবিভাগ করো।
উঃ। মৃত্তিকা বা মাটির দানার মাপ বড়ো না সূক্ষ্ম অর্থাৎ তার আকার ও গঠনের ওপর ভিত্তি করে মাটিকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, এগুলি হল – (i) বেলে মাটি (ii) এঁটেল মাটি ও (iii) দোআঁশ মাটি।

(i) বেলেমাটি : এই মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকে বেলেমাটির দানা মোটা হয়। এই দানাগুলির মধ্যে ফাঁক বেশি থাকায় এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা অত্যন্ত কম হয়। ফলে জল ঢাললে মাটি তাড়াতাড়ি টেনে নেয়। এই মাটির ওপরের স্তর শুষ্ক ও অনুর্বর হওয়ার কৃষিজ ফসল ও উদ্ভিদ তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য এই মাটি থেকে সংগ্রহ করতে পারে না। তাই বেলেমাটিতে কৃষিজ ফসল ভালো হয় না।
ii) এঁটেল মাটি : এই মাটিতে কাদার ভাগ বেশি। এই মাটির স্তরে কাদামাটির ও পলির দানা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও ঘনসন্নিবিষ্ট থাকে। এঁটেল মাটির দানার মধ্যে ফাঁক এতই কম যে, জল ঢাললে দাঁড়িয়ে থাকে, ফলে এঁটেল মাটি জলপূর্ণ হলে আঠালো ও কর্দমাক্ত হয় আর জলশূন্য অবস্থায় কঠিন হয়, এই মাটিতে চাষ করা কষ্টকর তবে কোনো কোনো ফসল এই মাটিতে ভালো ফলে।

(iii) দোঁয়াশ মাটি : এই মাটিতে বালি ও কাদার ভাগ সমান সমান। ছোটো ও বড়ো কাদায় বালির কণা এই মাটিতে ঘন সন্নিবিষ্ট থাকে, এর ফলে দোঁয়াশ মাটিতে জল, বাতাস ও অন্য উপাদান সঠিক মাত্রায় থাকে। সুতরাং এই মাটি উর্বর ও ফসল ফলানোর জন্য বেশ ভালো।

No comments:

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();