১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি ,ব্যর্থতা ও ফলাফল - SM Textbook

Fresh Topics

Friday, July 28, 2023

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি ,ব্যর্থতা ও ফলাফল

  ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি ,ব্যর্থতা ও ফলাফল:



১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ঋষির মতে এই বিদ্রোহ ছিল ধর্মান্ধ হিন্দু-মুসলিমদের খ্রিস্ট ধর্ম বিরোধী জেহাদ। হোমসের মতে এটি ছিল সভ্যতা বনাম বর্বরতার সংঘাত। অনেকের মতে এটি ছিল নিছক একটি সামরিক বিদ্রোহ। অনেকে আবার এই বিদ্রোহকে জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম বলে অভিহিত। অনেকের মতে এটি ছিল নিছক একটি সামন্ত বিদ্রোহ।


সিপাহী বিদ্রোহ:  স্যার র্জন লরেন্স, স্যার জন সিলি,  চার্লস রবার্ট প্রমুখ ইংরেজ ঐতিহাসিকদের মতে, এই বিদ্রোহ একটি সামরিক বিদ্রোহ ব্যতীত আর কিছু ছিল না। অক্ষয় কুমার দত্ত ,ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, দাদাভাই নওরোজি, সৈয়দ আহমদ এই বিদ্রোহ কে সিপাহী বিদ্রোহ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

১) দেশীয় কোন রাজনৈতিক সংগঠন এই বিদ্রোহ সমর্থন করেনি।

২) শিক্ষিত সম্প্রদায় বিদ্রোহের নিন্দা করেছেন।

৩) দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিদ্রোহের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না ।এই কারণে এই বিদ্রোহকে সিপাহী বিদ্রোহ বলা হয়।


জাতীয় বিদ্রোহ: এই বিদ্রোহকে নিছক সিপাহী বিদ্রোহ হিসেবে আখ্যায়িত করা ও যুক্তিসঙ্গত নয় । ইংল্যান্ডের টরি পার্টি নেতা ডিসরেলি এই বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। কাল মার্কস এই বিদ্রোহ কে জাতীয় বিদ্রোহ বলেছেন।

১. এই বিদ্রোহ কেবল সিপাহীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না ভারতের বিভিন্ন স্থানীয় জনসাধারণ বিশেষত্ব অযোধ্যা ও বিহারে জনসাধারণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিদ্রোহে যোগদান করে।

২. ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ, নানাসাহেব প্রমুখ রাজন্যবর্গ এই বিদ্রোহে যোগ দেন। বিদ্রোহীরা দিল্লির সম্রাট বাহাদুর শাহক ভারতের সম্রাট বলে ঘোষণা করে সুতরাং এই বিদ্রোহকে সিপাহী বিদ্রোহ বলা অযৌক্তিক।


প্রথম জাতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ: বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর সাভারকার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন । ড: রমেশচন্দ্র মজুমদার এর মতে এই বিদ্রোহ-

১) এই বিদ্রোহ ভারতের সব অঞ্চলের জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেনি ভারতের কয়েকটি ক্ষুদ্র অঞ্চলে এই বিদ্রোহ সীমাবদ্ধ ছিল।

২. ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ, নানাসাহেব প্রমুখ রাজন্যবর্গ বহু জমিদার ও তালুকদার এই বিদ্রোহের যোগ দেন। বিদ্রোহীরা দিল্লির সম্রাট বাহাদুর শাহ কে ভারতের সম্রাট বলে ঘোষণা করে ভারতে বিদেশি মুক্ত এক দেশীয় শাসনব্যবস্থা স্থাপনে উদ্যোগী হয় ।সুতরাং এই বিদ্রোহকে সিপাহী বিদ্রোহ বলা অযৌক্তিক।

প্রথম জাতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ: বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর সাভারকার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন। ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার এর মতে  ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ ছিল-

১) এই বিদ্রোহী ভারতের সব অঞ্চলের জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেনি।

২। শিখ, গোর্খা সৈনিকরা সম্পন্ন হবে ইংরেজদের পক্ষে ছিল।

৩) পাঞ্জাব, সিন্ধু দেশ ও রাজপুতনায় এই বিদ্রোহের সামান্যতম স্ফুরণ দেখা যায়নি।

৪) সম্রাট হিসেবে বাহাদুর শাহের স্বীকৃতিতে শিক রাজপুত্র, ও  মারাঠারা ক্ষুব্ধ হয়।

৫) এই মহাবিদ্রোহে বিদ্রোহীদের কোন লক্ষেরও কোনো অস্থিরতা ছিল না। বাহাদুর শাহ ,নানা সাহেব লক্ষ্মীবাঈ সকলেই নিজ নিজ স্বার্থ দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন।

তাছাড়া ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জন্ম হয়নি ।এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসেবে আখ্যা দিলে এর পূর্ববর্তী ওয়াহাবী বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ ও অন্য বিদ্রোহ গুলি কেউ সেই একই গৌরব দাবি করতে পারে।

ডাক্তার শশীভূষণ চৌধুরী এই বিদ্রোহ সম্পর্কে প্রায় একই ধরনের মতামতের অবতারণা করেছেন।  তারা এই বিদ্রোহকে স্বাধীনতার যুদ্ধ বলেননি তবে কোনো কোনো অঞ্চলে জনগণের সমর্থনে এই বিদ্রোহ জাতীয় বিদ্রোহের স্তরে উন্নীত হয়।


সামন্ত বিদ্রোহ: ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার ড: সুরেন্দ্রনাথ সেন বিশিষ্ট মার্কসবাদী চিন্তাবিদ রজনীপাম দত্ত প্রমুখ এই বিদ্রোহকে সামন্ত শ্রেণীর বিদ্রোহ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাদের মতে এই বিদ্রোহ হল ভারতীয় সনাতনপন্থী দের শেষ বিদ্রোহ। ডক্টর মজুমদারের মতে এই বিদ্রোহ অভিজাততন্ত্র ও মৃতপ্রায় সামন্ত শ্রেণীর মৃত্যুকালীন আর্তনাদ। ডক্টর সেন এর মতে সিপাহী বিদ্রোহের নেতাদের লক্ষ্য ছিল প্রতিবিপ্লব ।তাদের মতে ইংরেজ শাসনের অধীনে দ্রুত পাশ্চাত্য সভ্যতার বিস্তারিত জনসাধারণ ও সামন্তপ্রভুদের মনে ভীতির উদ্রেক হয়। প্রাচীন পন্থী এইসব সামন্তপ্রভুদের হাতেই ছিল বিদ্রোহে নেতৃত্ব সিপাহীরা যুক্ত হলে তারা নিশ্চয় পুরনো ভারতীয় সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে ভারতে এক প্রতি বিপ্লবের সূচনা করতেন।  মনে হয় এই কারণেই পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ভারতীয় সম্প্রদায়ের বিদ্রোহ কে সমর্থন করেনি। বলাবাহুল্য এই মত সর্বাংশে গ্রহণযোগ্য নয়। অধ্যাপক সুশোভন সরকার বলেন যে নানাসাহেব ,লক্ষ্মীবাঈ প্রমুখ সামন্ত জমিদার ও তালুকদারদের হাতে বিদ্রোহের নেতৃত্ব ছিল বলে এই বিদ্রোহকে কখনোই সামন্ত বিদ্রোহ বলা যায় না।১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতে সামন্ততান্ত্রিক চিন্তাধারার যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল এবং তারাই ছলেন সমাজের স্বাভাবিক নেতা ।এই কারণে এই অভ্যুত্থান সামন্ত প্রভাবিত হওয়া স্বাভাবিক ছিল। তিনি বলেন যে সামন্ত ব্যবস্থার স্বরূপ রাজন্যবর্গের একজন বিদ্রোহী যোগ দেননি। অযোধ্যার বাইরে জমিদারদের অধিকাংশই ছিলেন ইংরেজদের পক্ষে। বিদ্রোহে যোগদানকারী দূরে থাকা প্রকৃত সামন্ত নেতৃবৃন্দ বিদ্রোহ বানচাল করতেই ব্যস্ত ছিলেন। সুতরাং একে কখনোই সামন্ত বিদ্রোহ বলা যায় না । পি. সি. যোশী- র মতে সামন্ত নেতৃত্বে পরিচালিত হলেও ১৮৫৭- র  বিদ্রোহ ছিল প্রকৃতপক্ষে জাতীয় সংগ্রাম।


মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ:

মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার পশ্চাতে নানা কারণ ছিল-

১. এই বিদ্রোহ কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ ছিল এবং বিদ্রোহীরা সর্বত্র জনসাধারণের সমর্থন বা সহানুভূতি অর্জনে সক্ষম হয়নি ।দাক্ষিণাত্য ,পাঞ্জাব, রাজপুতানা বাংলা, সিন্ধু প্রভৃতি অঞ্চলে বিদ্রোহের কোন চিহ্ন দেখা যায়নি।

২. ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ, নানাসাহেব, বাহাদুর শাহ এবং অযোধ্যার নবাব ব্যতীত আর কোন দেশীয় রাজা এই বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেনি।

৩. বিদ্রোহীদের কোন  সর্বভারতীয় পরিকল্পনা ছিল না। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে এই বিদ্রোহ শুরু হয়। বিদ্রোহের নেতা হিসেবে বাহাদুর শাহের মনোনয়ন মারাঠা, রাজপুতরা ভালোভাবে মেনে নেয়নি।

৪. বিদ্রোহীদের মধ্যে যোগ্য নেতার অভাব ছিল। নানাসাহেব ,লক্ষ্মীবাঈ তাতিয়া তোপি প্রমুখ নেতারা সাহসী ও  ছিলেন সন্দেহ নেই কিন্তু ইংরেজ সেনাপতি লরেন্স, ক্যাম্বেল প্রসঙ্গে তারা তুলনীয় ছিলেন না।

৫. বিদ্রোহীদের আধুনিক অস্ত্রের অভাব ছিল। অন্যদিকে ইংরেজদের গোলাবারুদ ও আধুনিক সমরাস্ত্রের কোন অভাব ছিল না।

৬. রেলওয়ে ও টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার ফলে ইংরেজরা যে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনে সক্ষম হয় ভারতীয় সিপাহীদের তা ছিল না।

৭. ইংরেজি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজ এই বিদ্রোহ থেকে দূরে ছিল।

৮. বিদ্রোহীদের লুণ্ঠন ও অত্যাচারের ফলে জনজীবন প্রবল ভীতির সঞ্চার হয়। বণিক শ্রেণি এই বিদ্রোহের বিপক্ষে ছিল কারণ বিদ্রোহীরা তাদের উপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছিল।

৯. মোগল সম্রাটের কিছু কর্মচারীও সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতা বিদ্রোহীদের পরাজয় কে অনিবার্য করে তোলে।


মহাবিদ্রোহের ফলাফল: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ ভারত ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। স্যার লেপেল গ্রিফিন এর মতে এই বিদ্রোহ ভারতীয় আকাশ থেকে বহু মেঘ দূরে সরিয়ে দেয়। তার মতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ অপেক্ষা কোন মঙ্গলজনক ঘটনা ইতিপূর্বে ভারত ইতিহাসে সংঘটিত হয়নি ।বস্তুত এই বিদ্রোহের ফলে ভারতীয় রাজনীতি ও শাসন ব্যবস্থায় এক সুদুরপ্রসারী পরিবর্তন ঘটে।


কোম্পানির শাসনের অবসান: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের ফলে ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক মহলে এই ধারণায় সুদৃঢ় হয় যে এই বাণিজ্যিক সংগঠনের হাতে ভারতের মতো একটি বিশাল দেশের শাসনভার অর্পণ করা অযৌক্তিক। এই কারণেই ১৮৫৭খ্রিস্টাব্দে ২ রা আগষ্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত শাসন আইন পাস করে। এই আইনের মাধ্যমে ভারতে কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে এবং ভারতের শাসনভার সরাসরি ব্রিটিশ সরকার বা ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়ার হাতে অর্পণ করা হয়। রানীর প্রতিনিধি হিসেবে গভর্নর জেনারেল ভারতীয় শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করতে থাকেন এবং তিনি ভাইসরয় উপাধিতে ভূষিত হন।


শাসনতান্ত্রিক পুনর্গঠন: কেবল ভারতে কোম্পানি শাসনের অবসান হয়নি ভারতীয় শাসন ব্যবস্থায় বেশকিছু মৌলিক পরিবর্তন ঘটে।১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের যে আইন দ্বারা ভারতের ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কর্তৃত্ব স্থাপিত হয় তার নাম ছিল ভারতে উন্নত ধরনের শাসন প্রবর্তনের আইন। এই আইন বলে ভারত শাসন সম্পর্কিত সকল ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ভারত সচিব অধিকারের উপর অর্পিত হয়। ইংল্যান্ডের মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে থেকেই ভারত সচিব নিযুক্ত হতেন এবং তার কাজের জন্য তিনি পার্লামেন্টের কাছে দায়ী থাকবেন। ভারত সচিব কে সাহায্যের জন্য আরও 15 জন সদস্য নিয়ে একটি সভা গঠিত হয় যার নাম ইন্ডিয়া কাউন্সিল।


মহারানীর ঘোষণাপত্র নতুন- আদর্শ: ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১লা নভেম্বর এক  ঘোষণা পত্র মারফত মহারানী ভিক্টোরিয়া ভারতীয় শাসন ব্যবস্থায় নতুন নীতি ও আদর্শের কথা ঘোষণা করে জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেন। এই ঘোষণাপত্রে বলা হয় ভারতবাসীর ধর্মীয় ও সামাজিক কোনো ব্যাপারেই সরকার কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না ।জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যোগ্যতাসম্পন্ন সকল ভারতবাসী সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত হতে পারবে ।এছাড়া এই ঘোষণাপত্র অনুসারে স্বত্ববিলোপ নীতি পরিত্যক্ত হয় এবং দেশীয় রাজন্যবর্গ প্রদত্ত গ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়।


নব যুগের সূচনা: সামরিক বিভাগ প্রশাসন ও জন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকার ভারতীয়দের প্রতি বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করে এবং সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে নানাভাবে ভারতবাসীর ধর্মীয় আঞ্চলিক বিভেদকে উস্কানি দিতে থাকে। ইংরেজি শিক্ষিত ভারতবাসী মহাবিদ্রোহ থেকে দূরে থাকলেও ক্রমে তারা ব্রিটিশ শাসনের স্বরূপ উপলব্ধি করতে সক্ষম হয় এবং স্বাধীকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয় ।এইভাবে ভারত ইতিহাসের সূচনা হয় এক নবযুগের। যার বৈশিষ্ট্য হলো স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের বিকাশ।


No comments:

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();