রামমোহন রায় ও ব্রাহ্মসমাজ (Rammohan Roy and Brahmo Samaj) | - SM Textbook

Fresh Topics

Wednesday, October 4, 2023

রামমোহন রায় ও ব্রাহ্মসমাজ (Rammohan Roy and Brahmo Samaj) |

 রামমোহন রায় ও ব্রাহ্মসমাজ (Rammohan Roy and Brahmo Samaj) | 




রামমোহন রায় ও রাজ্যসমাজ (Rammohan Roy and Brahme Samaj) রুনা রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৩ খ্রি.) ছিলেন ভারতীয় নবজাগরণের অগ্রদূত। তাঁকে 'ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ', 'আধুনিক ভারতের জনক' প্রভৃতি অভিযায় ভূষিত করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে 'ভারত পথিক' বলে সম্মান জানিয়েছেন। পণ্ডিত জওহরলাল নেহর মতে তিনি হলেন ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক'। অনেকে বলেছেন 'আধুনিক ভারতের ইরাসমাস'। আজ আমাদের সাহিত্য, ধর্ম, শিক্ষা, জ্ঞान, সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি—যাকেই আমরা আধুনিক বলি না কেন, রামমোহন হলেন তার অগ্রদূত।

 বহুমুখী প্রতিভা : ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে (মতান্তরে ১৭৭৪ খ্রি.) হুগলি জেলার রাধানগরে এক রক্ষনশীল ও ধনী ব্রাণ পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। অসাধারণ ধী-শক্তি ও প্রতিভাবলে খুব এ বয়সে তিনি আরবি, ফারসি ও সংস্কৃত ভাষা এবং হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-জৈন-খ্রিস্টান প্রভৃতি বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্রে অসাধারণ পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। পরবর্তীকালে হিব্রু, গ্রিক, ফরাসি ও ইংরেজি ভাষার জ্ঞান, বিভিন্ন হিন্দু-মুসলিম সন্ন্যাসীর সান্নিধ্য এবং ফ্রান্সিস বেকন থেকে শুরু করে লক, হিউম, ভলতেয়ার, নিউটন, পেইন প্রমুখ মনীষীর চিন্তাধারার সঙ্গে তাঁর আন্তরিক পরিচয় তাঁকে একজন মুক্তমনা যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদীতে পরিণত করে। আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং ফরাসি বিপ্লবের আদর্শের দ্বারাও তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হন। তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সমন্বয়ে নবভারত গঠনের আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি ছিলেন প্রাচ্য ও প্রতীচ্য ভাবধারার সমন্বয়ের প্রতীক। অর্থসংস্কার: প্রচলিত আচার-অনুষ্ঠানসর্বস্ব পৌত্তলিক হিন্দুধর্ম, নানা কুসংস্কার, লোকাচার এবং পুরোহিততন্ত্রের স্বৈরাচারী ও মূঢ় আচরণে তিনি মর্মাহত হন। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠের ফলে তিনি একেশ্বরবাদী নিরাকার রঘুবাদের সমর্থক হয়ে ওঠেন। তিনি বেদ-উপনিষদ প্রভৃতি প্রশ্নের ব্যাখ্যা করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, পৌত্তলিকতা, পুরোহিততন্ত্র, লোকাচার বা অনুষ্ঠানসর্বস্বতা হিন্দুধর্মের মূল কথা নয়। হিন্দুশাস্ত্র মতে নিরাকার ব্রহের উপাসনাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং একেশ্বরবাদই হল সকল ধর্মের মূল কথা। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে বহুদেববাদের বিরুদ্ধে এবং একেশ্বরবাদের সমর্থনে ফারসি ভাষায় তিনি একটি পুস্তিকা রচনা করেন। তার নাম 'তুহফৎ উল-মুজাহিদিন' বা 'একেশ্বরবাদীদের প্রতি। কেবলমাত্র তাই নয়—তিনি বাংলা ভাষায় বেদান্তের ভাষ্য রচনা করেন এবং 'ঈ', 'কণ্ঠ', 'কেন', 'মণ্ডুক', 'মাণ্ডুক্য' প্রভৃতি পাঁচটি প্রধান উপনিষদের বাংলা অনুবাদ করে তিনি তাঁর মতবাদ প্রচারে ব্রতী হন। তাঁর ধর্মমত সম্পর্কে আলোচনার জন্য ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতায় তাঁর বন্ধু ও অনুগামীদের নিয়ে 'আত্মীয় সভা" প্রতিষ্ঠা করেন। এই সভার সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রসন্নকুমার ঠাকুর, নন্দকিশোর বসু, রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ প্রমুখ ব্যক্তি। এখানে নানা ধর্মীয় ও সামাজিক সমস্যাবলি আলোচিত হত। পরবর্তীকালে একেশ্বরবাদ প্রচারের জন্য ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে (মতান্তরে ১৮২১ খ্রি.) তিনি 'ব্রাহ্মসভা' প্রতিষ্ঠা করেন। যা পরবর্তীকালে 'ব্রাত্মসমাজ' (১৮৩০ খ্রি.) নাম ধারণ করে। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পৌত্তলিকতা পরিহার করে নিরাকার পরম রয়ের উপাসনা। বেদান্ত ছিল তাঁর ধর্মসাধনার মূল ভিত্তি। এইভাবে তিনি কেবলমাত্র যথার্থ ঔপনিষদিক হিন্দুধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠাই করেননি, খ্রিস্টান মিশনারিদের আক্রমণের হাত থেকেও হিন্দুধর্মকে রক্ষা করেছেন। রায়সমাজ ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—সকল ধর্মের মানুষের জন্যই এর দ্বার উন্মুক্ত ছিল। রাজা রামমোহন রায় ® সমাজসংস্কার: রামমোহনের সংস্কারমুক্ত যুক্তিবাদী মন হিন্দুসমাজে প্রচলিত বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কন্যাপণ, কৌলিন্য প্রথা, জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা, গঙ্গাসাগরে সন্তান উঃ মাঃ ইতিঃ (একাদশ)-

নিক্ষেপ প্রভৃতি বস্তুনিক সামাজিক কৃতদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। এগুলি নিবারনের জন্য তিনি সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। (১) ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দ থেকেই তিনি সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন এবং জনমত গঠনে ব্রতী হন। এই উদ্দেশ্যে তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিভিন্ন পুস্তিকা এবং সম্বাদ কৌমুদী' পত্রিকায় বিভিন্ন প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। হিন্দুশাস্ত্র ও বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে তিনি প্রমাণ করেন যে, সতীদাহ ধর্মবিরুদ্ধ ও স্ত্রী। এই নবাবদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বাংলার বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষরি এক আবেদনপত্র বড়োলাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে জমা দেন। রামমোহনের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতায় গভর্নর জেনারেল বেন্টিঙ্ক এক আইনের মাধ্যমে 'সতীদাহ প্রথা' নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেন (৪ঠা ডিসেম্বর, ১৮২১ খ্রি.)। কেবলমাত্র প্রচলিত এই কুপ্রথার হাত থেকে নারীর জীবনরক্ষাই নয়, মর্যাদা সহকারে তাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টাও তিনি করেন। (২) তিনি নারীপুরুষ সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা, বিধবাবিবাহ প্রচলন, স্ত্রীশিক্ষা বিস্তার এবং বাল্যবিবাহ ও পুরুষের বহুবিবাহ রদ করা প্রভৃতি ব্যাপারেও উদ্যোগী হন। (৩) হিন্দু নারীর দায়াধিকার সম্পর্কে তিনিই প্রথম মতামত ব্যক্ত করেন। শিক্ষাসংস্কার : তিনি পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের একজন উৎসাহী সমর্থক ছিলেন। তিনি মনে করতেন যে, আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার ওপর ভিত্তি করেই নবভারত গড়ে উঠবে। (১) হিন্দু কলেজ (১৮১৭ খ্রি.) প্রতিষ্ঠার সঙ্গে তিনি কতটা যুক্ত ছিলেন তা বিতর্কের বিষয়, কিন্তু তিনি নিজ বায়ে কলকাতায় একটি ইংরেজি বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন। (২) ডেভিড হেয়ারের শিক্ষাবিস্তারের কাজে তিনি অন্যতম প্রধান সহায়ক ছিলেন। (৩) হেয়ারের বিদ্যালয় ও রামমোহন প্রতিষ্ঠিত 'বেদান্ত কলেজে' পাশ্চাত্য সমাজবিজ্ঞান ও পদার্থবিদ্যা শিক্ষা দেওয়া হত। (৪) ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে লর্ড আমহার্স্টকে লিখিত এক পত্রে তিনি ভারতবর্ষে গণিত, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, রসায়ন, অস্থিবিদ্যা ও পাশ্চাত্য দর্শন শিক্ষা দেওয়ার দাবি জানান। তাঁর লিখিত পত্রটি ভারতীয় নবজাগরণের ইতিহাসে এক মূল্যবান দলিল। (৫) ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে স্কটিশ মিশনারি আলেকজান্ডার ডাফ কলকাতায় 'জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন' প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হলে রামমোহন ছিলেন তাঁর প্রধান সহায়ক। © অন্যান্য সংস্কার: রাজা রামমোহন রায়কে নিঃসন্দেহে ভারতীয় রাজনৈতিক আন্দোলন' ও 'ভারতীয় সাংবাদিকতার অগ্রদূত' এবং 'বাংলা গদ্যের জনক' বলা যায়। (১) হিন্দুধর্ম সংস্কার এবং একেশ্বরবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি বেশ কিছু পুস্তিকা এবং বিভিন্ন উপনিষদের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেন। এর ফলে বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশ ঘটে। তাঁর 'বেদান্ত গ্রন্থ' ও 'গৌড়ীয় ব্যাকরণ অতি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। (২) তিনি বাংলা ভাষায় সম্বাদ কৌমুদী (১৮২১ খ্রি.) এবং ফারসিতে মিরাৎ-উল-আখবর' (১৮২২ খ্রি.) নামে সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করতে উদ্যোগী হলে তিনি সুপ্রিমকোর্ট এবং ইংল্যান্ডে সপার্ষন রাজার কাছে স্মারকলিপি পাঠান এবং এক আন্দোলন গড়ে তোলেন। (৩) তিনি কৃষকদের দুর্দশা মোচনে যত্নবান হন এবং জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। (৪) কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যাধিকার, দেশীয় পণ্যের ওপর অধিক শুল্ক আরোপ, বিচারবিভাগীয় দুর্নীতি, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত এবং ভারতবাসীর প্রতি ইংরেজ রাজকর্মচারীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ জানান। (৫) তিনি

সরকারি উচ্চপদগুলির ও সমরবিভাগের ভার, প্রশাসন ও বিচারবিভাগের পৃথকীকরণ, জুরি প্রথার প্রবর্তন এবং বিচারের ক্ষেত্রে ভারতীয় ও ইউরোপীয় নির্বিশেষে একই আইন প্রয়োগের দাবি জানান। বিপিনচন্দ্র পাল রামমোহনকে ভারতের রাজনৈতিক পুনরুজ্জীবনের hi' ('Father of political regeneration of India') বলে অভিহিত করেছেন। ও আন্তর্জাতিকতা: আন্তর্জাতিকতার আদর্শে বিশ্বাসী ও মানবতাবাদী রামমোহন বিশ্বের সকল দেশ ও জাতির মুক্তির আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। (১) ফরাসি বিপ্লব ও আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রাম তাঁকে গভীরভাবে উদ্‌বুদ্ধ করেছিল। (২) ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের 'জুলাই বিজ্ঞান-এর সাফল্যে তিনি অভিভূত হন। (৩) স্পেন, পোর্তুগাল, দক্ষিণ আমেরিকা ও আইরিশ মুক্তিসংগ্রামের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন ছিল। (৪) অপরদিকে ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে নেপলস্-এর বিপ্লব ব্যর্থ হলে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত হন। • মূল্যায়ন () সীমাবদ্ধতা: রামমোহনের কৃতিত্বের মূল্যায়ন নিয়ে পণ্ডিত ও সুধীমহলে নানা পরস্পর-বিরোধী মতামত প্রচলিত আছে। তাঁর জীবদ্দশাতেই অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদ্‌গার করেছেন। ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার ধর্ম, সমাজ, শিক্ষা ও আধুনিকতার অগ্রদূত হিসেবে রামমোহনের সকল কৃতিত্বকে অস্বীকার করেছেন। মার্কিন ঐতিহাসিক ডেভিড কৃষ্ণ রামমোহনকে কখনোই 'আধুনিক ভারতের জনক' বলতে রাজি নন। তাঁর মতে, উনিশ শতকের নবজাগরণ কোনো ব্যক্তিবিশেষের অবদান নয়। তাঁর জীবন ও কর্মে নানা স্ববিরোধিতা দেখা যায়। তাঁর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বলা হয় যে, (১) হিন্দুধর্মের কুসংস্কার, পৌত্তলিকতা, সতীদাহ প্রথা প্রকৃতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করলেও, তিনি কিন্তু জাতিভেদ প্রথা বা বহুবিবাহের বিরুদ্ধে সেভাবে রুখে দাঁড়াননি। তিনি কখনোই ব্রাহ্মণের উপবীত ত্যাগ করেননি, বিলাত-যাত্রাকালে সঙ্গে রাগ পাচক নিতে ভোলেননি এবং তাঁর 'রাহুসমাজে' ব্রাহ্মণ ব্যতীত অপর কেউ আচার্য হতে পারতেন না। (২) ইংরেজি শিক্ষাবিস্তারের পক্ষে বলতে গিয়ে সংস্কৃত ভাষা ও দেশীয় শিক্ষার প্রতি তিনি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। (৩) ইংরেজি শিক্ষাবিস্তারের পাশাপাশি যে দেশীয় শিক্ষা ও মাতৃভাষা প্রসারেরও প্রয়োজন তা তিনি উপলব্ধি করেননি। (৪) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত-জনিত কারণে কৃষকদের দুরবস্থার প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও, জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি কিন্তু কিছুই বলেননি। (৫) তাঁর অতিরিক্ত ইংরেজ ও ইংরেজি শিক্ষাপ্রীতির জন্য অনেকে তাঁকে জাতীয়তা-বিরোধী বলে মনে করেন। (গ) কৃতিত্ব এইসব বিরূপ সমালোচনা সত্ত্বেও তাঁকে নিঃসন্দেহে নবভারতের অগ্রদূত' হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। কিশোরীচাদ মিত্র, প্যারীচাঁদ মিত্র, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধি—সকলেই তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে 'ভারত পথিক' বলে অভিহিত করেছেন। অধ্যাপক দিলীপ কুমার বিশ্বাস তাঁকে বলেছেন 'বিশ্বপথিক। অধ্যাপক ম্যাক্সমুলারের মতে, রামমোহনই প্রথম প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের জীবন-তরঙ্গের মধ্যে সমন্বয়সাধন করেন। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, তিনি ছিলেন সমাজসংস্কারক – বিপ্লবী নন। এ কারণেই তিনি প্রচলিত ধর্ম ও সকল সামাজিক রীতিনীতিকে বিসর্জন দিতে পারেননি। ড. সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, "He assumed the | role of a cautious reformer rather than a militant revolutionary"। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে, “রামমোহন রায় ভারত ইতিহাসে আধুনিক যুগের সূচনা করেন।”



No comments:

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();