ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা: দশম শ্রেণীর ভূগোল অধ্যায় ৫.১০ | class 10 geography chapter 5.10 questions answer| geography suggestion WB board|
দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় পড়তে click korun
দু-এক কথায় উত্তর দাও
প্রশ্ন ১. পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা কোন্ স্তরের অর্থনৈতিক কার্যকলাপের অন্তর্গত?
উত্তর: তৃতীয় স্তর।
প্রশ্ন ২. সোনালি চতুর্ভুজ কোন সংস্থার তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয়?
উত্তর National Highways Authority of India (NHAI)
৩. সোনালি চতুর্ভূজের মোট দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: প্রায় ৫৮৪৬ কিমি (৩৬৩৩ মাইল)।
প্রশ্ন ৪. ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়কপথ কোনটি?
উত্তর: NH7 যেটি বারাণসী থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত, এর দৈর্ঘ্য ২৩৬৯ কিমি (বর্তমানে NH44 শ্রীনগর থেকে কন্যাকুমারী)।
প্রশ্ন ৫. একমাত্র কোন্ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোনো জাতীয় সড়কপথ নেই?
উত্তর: লাক্ষা ও মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জ।
প্রশ্ন ৬. ভারতের সবচেয়ে ছোটো (দৈর্ঘ্য অনুযায়ী) জাতীয় সড়কপথ কোনটি?
উত্তর: NH47A, দৈর্ঘ্য ৬ কিমি। এটি কুন্ডানুর থেকে উইলিংডন দ্বীপ পর্যন্ত প্রসারিত (কেরল)।
প্রশ্ন ৭. ভারতের মোট সড়কপথের কত শতাংশ জাতীয় সড়কপথ?
উত্তর: ১৭%।
প্রশ্ন ৮. ভারতের একটি অস্তদেশীয় বন্দরের নাম লেখো।
উত্তর: কলকাতা বন্দর (হুগলি নদী)।
প্রশ্ন ৯. ভারতের একটি বহিঃবন্দরের নাম লেখো।
উত্তর: হলদিয়া বন্দর হল কলকাতা বন্দরের বহিঃবন্দর। উত্তর মুম্বাই।
প্রশ্ন ১০. ভারতের মধ্যে সর্বোত্তম বন্দর কোনটি?
উত্তর: মুম্বাই।
প্রশ্ন ১১. ভারতের মধ্যে গভীরতম পোতাশ্রয় যুক্ত বন্দর কোনটি?
উত্তর: ওড়িশার পারাদ্বীপ।
প্রশ্ন ১২. ভারতের একটি শুল্কমুক্ত বন্দরের নাম লেখো।
উত্তর: গুজরাটের কান্ডালা বন্দর।
প্রশ্ন ১৩. ভারতে প্রাচীনতম বন্দর কোনটি?
উত্তর: চেন্নাই বন্দর (তামিলনাড়ু)।
প্রশ্ন ১৪. ভারতের প্রধান বন্দরের সংখ্যা ক-টি?
উত্তর: মোট ১৩টি প্রধান বন্দর।
প্রশ্ন ১৫. গোয়াতে অবস্থিত একটি স্বাভাবিক পোতাশ্রয়যুক্ত বন্দরের নাম লেখো।
উত্তর: মার্মাগাঁও বন্দর।
প্রশ্ন ১৬. কোঙ্কন রেলওয়ের সদর দপ্তর কোন্ শহরে অবস্থিত ?
উত্তর: মুম্বাই।
প্রশ্ন ১৭. ভারতের দীর্ঘতম রেলপথ অঞ্চল কোনটি ?
উত্তর: উত্তর-রেলপথ (Northern Railway)।
প্রশ্ন ১৮. ভারতের আধুনিক প্রযুক্তি (Hi Tech) বন্দর কোনটি?
উত্তর: নভসেবা/জওহরলাল নেহরু বন্দর (মহারাষ্ট্র)।
প্রশ্ন ১৯. ভারতের দীর্ঘতম রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: খড়্গপুর (৮৩৩ মি./২৭৩৩ ফুট)।
প্রশ্ন ২০. ভারতের কোন্ কোন্ রাজ্যে রেলপথ নেই?
উত্তর: অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, মণিপুর, সিকিম, মেঘালয়।
প্রশ্ন ২১. কোন্ প্রকার পরিবহণের ক্ষেত্রে যাতায়াতের খরচ সবচেয়ে বেশি?
উত্তর: আকাশপথে পরিবহণ।
প্রশ্ন ২২. কোন প্রকার পরিবহণের ক্ষেত্রে যাতায়াতের খরচ সবচেয়ে কম ?
উত্তর: জলপথ পরিবহণ।
প্রশ্ন ২৩. সোনালি চতুর্ভুজে কোন্ চারটি মেগাসিটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?
উত্তর: দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই।
প্রশ্ন ২৪. ভারতের প্রথম ওয়াইফাইযুক্ত ট্রেন কোটি?
উত্তর: দা গোল্ডেন চ্যারিয়ট। AKUTA দা গোল্ডেন চ্যারিয়ট
প্রশ্ন ২৫. ভারতের জাতীয় সড়কপথের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কার?
উত্তর: ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (NHAI)।
প্রশ্ন ২৬. পশ্চিমরেলের সদরদপ্তর কোথায় রয়েছে?
উত্তর: মুম্বাই।
প্রশ্ন ২৭. ভারতের কোন্ রাজ্য জাতীয় সড়কপথের দৈর্ঘ্যের বিচারে প্রথম স্থান অধিকার করেছে?
উত্তর: মহারাষ্ট্র।
প্রশ্ন ২৮. স্থলপথে যেসব পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তার মধ্যে প্রাচীন ও প্রধান কোনটি ?
উত্তর: সড়কপথ পরিবহণ।
প্রশ্ন ২৯. পূর্ব-পশ্চিম করিডরের পূর্বতম শহর কোনটি ?
উত্তর: অসমের শিলচর।
প্রশ্ন ৩০. রেলওয়ে সংক্রান্ত গবেষণা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: লখনউতে অবস্থিত।
প্রশ্ন ৩১. কোন্ শহরে নদীর নীচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা চালু হচ্ছে?
উত্তর: কলকাতা।
জেনে রাখো : প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা : আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ সড়কের ভূমিকা অনস্বীকার্য; ২০০০-২০০১ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের গ্রামোন্নয়ন দপ্তর গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়ে এই প্রকল্পটি সূচনা করেন। একহাজার বা ততোধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভারতের সব গ্রাম সব ঋতুর উপযোগী রাস্তা দ্বারা যুক্ত করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়। এর মূল উদ্দেশ্য হল –(i) গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং (ii) কৃষিজ পণ্যের বাজারকে বিকশিত করা।
সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন ১. পরিবহণ (Transport) কাকে বলে?
উত্তর : যাত্রী ও জিনিসপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরের ব্যবস্থাকে পরিবহণ বলে।
প্রশ্ন ২. পরিবহণ ব্যবস্থা (Transport System) কাকে বলে?
উত্তর : যে ব্যবস্থার মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানের ব্যবধানকে সময়ের নিরিখে কমানো যায় তাকেই পরিবহণ ব্যবস্থা বলে।
প্রশ্ন ৩. আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থাকে প্রধানত ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
উত্তর : আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থাকে প্রধানত ৫ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—(১) স্থলপথ, (২) জলপথ, (৩) আকাশপথ, (৪) নলপথ বা পাইপলাইন এবং (৫) রজ্জুপথ বা রোপওয়ে।
প্রশ্ন ৪. স্থলপথ পরিবহণ (Land transport) ব্যবস্থা কী কী?
উত্তর : স্থলপথ পরিবহণ ব্যবস্থা হল প্রধানত ২ প্রকার। যথা- ১. সড়কপথ এবং ২. রেলপথ। তবে মেট্রোরেলকেও ( সড়কপথের মধ্যেই ধরা হয়।
প্রশ্ন ৫. সড়কপথে পরিবহণের (Roadways) কয়েকটি মাধ্যমের নাম লেখো।
উত্তর : বাস, মোটরগাড়ি, অটোরিকশা, সাইকেল রিকশা, টোটো, মোটর বাইক, ট্রাক, সাইকেল ইত্যাদি হল সড়কপথে পরিবহণের কয়েকটি মাধ্যম।
প্রশ্ন ৬. ভারতে জলপথ পরিবহণ (Waterways) ক-ভাগে বিভক্ত ?
উত্তর : ভারতে জলপথ পরিবহণ প্রধানত দু-ভাগে বিভক্ত। যথা—অভ্যন্তরীণ জলপথ ও আন্তর্জাতিক জলপথ বা সমুদ্রপথ।
প্রশ্ন ৭. অভ্যন্তরীণ জলপথ (Inland Waterway) কাকে বলে ?
উত্তর : দেশের মধ্যস্থিত নদী, খাল ও হ্রদের ভিতর দিয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থান যাতায়াতের ব্যবস্থাকে অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবস্থা বলা হয়।
প্রশ্ন ৮. সমুদ্রপথ বা আন্তর্জাতিক জলপথ (International Waterway) কাকে বলে ?
উত্তর : উন্মুক্ত সাগর, উপসাগর-এর ওপর দিয়ে যে বিভিন্ন দেশের মধ্যে পণ্য দ্রব্যাদির পরিবহণ করা হয়, তাকে সমুদ্রপথ বলে।
প্রশ্ন ৯. জলপথকে ‘উন্নয়নের জীবনরেখা'—বলা হয় কেন?
উত্তর : জলপথ পরিবহণ পদ্ধতি সহজসরল ও কম বায়বহুল, একসাথে প্রচুর পণ্যসামগ্রী বহন করা যায় এবং শিল্প বাণিজ্যের প্রসার ঘটে বলে জলপথ পরিবহণকে ‘উন্নয়নের জীবনরেখা' বলা হয়।
প্রশ্ন ১০. ভারতে মোট বন্দরের সংখ্যা ক-টি?
উত্তর : ভারতে মোট ১৩টি বৃহদায়তন প্রধান বন্দর এবং ১৮৭টি মাঝারি ও ক্ষুদ্র বন্দর রয়েছে।
প্রশ্ন ১১. আকাশপথকে ( Airways) প্রধানত ক-ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
উত্তর : আকাশপথকে প্রধানত দু-ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—জাতীয় বিমানপথ (National Airways) এবং আন্তর্জাতিক বিমানপথ (International Airways)।
প্রশ্ন ১২. ভারতের যে-কোনো দুটি জাতীয় বিমানবন্দরের নাম লেখো।
উত্তর : গুজরাটের কান্ডালা বিমানবন্দর এবং পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরা বিমানবন্দর।
প্রশ্ন ১৩. রজ্জুপথ পরিবহণ (Ropeways) ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ ?
উত্তর : রজ্জুপথ বা Ropeway হল এক ধরনের পরিবহণের মাধ্যম যার সাহায্য দ্রব্যাদি বা মানুষজন খনিসমৃদ্ধ বা পাহাড়ি অঞ্চলে, মোটরচালিত তারের মাধ্যমে যাতায়াত করে।
প্রশ্ন ১৪. ভারতের যে-কোনো দুটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম লেখো।
উত্তর : দিল্লিতে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর(পালাম) এবং কলকাতায় অবস্থিত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (দমদম ) ।
প্রশ্ন ১৫. ভারতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত যে-কোনো দুটি বন্দরের নাম লেখো।
উত্তর : অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম বন্দর এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বন্দর। 1 পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বন্দর
প্রশ্ন ১৬. ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত যে-কোনো দুটি বন্দরের নাম লেখো।
উত্তর : মহারাষ্ট্রের মুম্বাই বন্দর এবং গুজরাটের কাঙালা বন্দর।
প্রশ্ন ১৭. পাইপলাইন পরিবহণ (Pipelines) কাকে বলে ?*
উত্তর : যে পরিবহণ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রধানত দ্রব্যসামগ্রী পরিবহণ করা হয়, যথা—কুড ওয়েল, রিফাইন্ড অয়েল, প্রাকৃতিক গ্যাস, পানীয় জল ইত্যাদি। তাকেই বলে পাইপলাইন পরিবহণ ব্যবস্থা।
প্রশ্ন ১৮. ভারতের দুটি পাইপলাইন পরিবহণ ব্যবস্থার উদাহরণ দাও।
উত্তর : (i) নাহারকাটিয়া-নূনমাটি-বারাউনি পাইপলাইন, (ii) হাজিরা-বিজাপুর-জগদীশপুর পাইপলাইন (প্রা. গ্যাস)।
প্রশ্ন ১৯. মেট্রোরেল কাকে বলে ?
উত্তর : মেট্রো শহরগুলির অভ্যন্তরে ভূগর্ত, সুড়া ও ভূপৃষ্ঠ দিয়ে যাত্রী পরিবহণের জন্য রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা হল মেট্রোরেল।
প্রশ্ন ২০.ভারতের কোন্ কোন্ শহরে পাতালরেল পরিষেবা প্রচলিত আছে?
উত্তর : ভারতের যেসকল শহরে পাতালরেল পরিষেবা প্রচলিত আছে সেগুলি হল—কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর, গুরগাঁও, মুম্বাই, জয়পুর, কোচি, লখনউ।
প্রশ্ন ২১.পাইপলাইনের মাধ্যমে কোন্ কোন্ দ্রব্য পরিবহণ হয় ?
উত্তর : পরিশোধিত তেল বা ক্রুড অয়েল, পরিশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, পানীয় জল ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২২. যোগাযোগ বা যোগাযোগ ব্যবস্থা (Communication System) কাকে বলে ?
উত্তর : বিভিন্ন প্রকার সংবাদ বা তথ্য ও ভাবের আদান প্রদানকে বলা হয় যোগাযোগ এবং একটি সম্পূর্ণ ও সুগঠিত সংবাদ ও তথ্য আদানপ্রদানের ব্যবস্থাকে বলে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
প্রশ্ন ২৩. যোগাযোগ ব্যবস্থাকে প্রধানত ক-ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
উত্তর : যোগাযোগ ব্যবস্থাকে প্রধানত দু-ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গণ-যোগাযোগ ব্যবস্থা।
প্রশ্ন ২৪. যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমগুলি কী কী?
উত্তর : টেলিফোন, মোবাইল, ফোন, ডাক, টেলিগ্রাফ, সংবাদপত্র, কৃত্রিম উপগ্রহ, ইনটারনেট, ফ্যাক্স, টেলেক্স ইত্যাদি হল যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম।
প্রশ্ন ২৫. আকাশপথের দুটি সুবিধা লেখো।
উত্তর : (i) অতিদ্রুত ও কম সময়ে যাতায়াত করা যায়। (ii) জরুরী ও আপৎকালীন সময়ে যোগাযোগ, উদ্ধারকাজ ও পণ্যদ্রব্য পরিবহণ করা যায়।
প্রশ্ন ২৬. পাইপলাইনের দুটি সুবিধা লেখো ।
উত্তর : (i) পাইপলাইনের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে খরচ কম এবং পরিবহণ বায়ও কম। (ii) দুর্যোগের সময়ে পরিবহণে ব্যাঘাত ঘটে না।
প্রশ্ন ২৭. ইনটারনেট কাকে বলে?
উত্তর : সমগ্র পৃথিবীর কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি যে-ব্যবস্থার সাথে যুক্ত তা হল ইনটারনেট।
প্রশ্ন ২৮. পুনঃরপ্তানি বন্দর কাকে বলে? [পর্ষদ নমুনা। ১৭/
উত্তর : যেসকল বন্দরে পণ্য আমদানির পর পুনরায় সেই দ্রব্য অন্য স্থানে রপ্তানি হয়, তা হল পুনঃরপ্তানি বন্দর। লন্ডন পৃথিবী বিখ্যাত পুনঃরপ্তানি বন্দর।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর:
সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো
প্রশ্ন ১. সোনালি চতুৰ্ভুজ (Golden Quadrilateral) কী?
উত্তর : সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্পটি দেশের প্রধান প্রধান শিল্পকেন্দ্র, কৃষিকেন্দ্র ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে সংযুক্ত করে নির্মাণ করা হয়েছে।
দেশের চারটি মেট্রোপলিটান শহর–দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাইকে ৪-৬ লেনের দ্রুতগামী সড়কব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে, একেই সোনালি চতুর্ভূজ বলে। এই প্রজেক্টটি ২০০১ খ্রিস্টাব্দে National Highways Authority of India (NHAI) এর তত্ত্বাবধানে শুরু হয় এবং ২০১২ খ্রিস্টাব্দে শেষ হয়। এই প্রকল্পটি ভারতের মধ্যে বৃহত্তম এবং পৃথিবীর মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। এর মোট দৈর্ঘ্য হল ৫৮৪৬ কিমি (৩৬৩৩ মাইল)।
প্রশ্ন ২. জাতীয় সড়কপথের গুরুত্ব লেখো ।
উত্তর : কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থার মাধ্যমে যে সড়কপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ হয় তা হল জাতীয় সড়কপথ বা NH. ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (NHAI)-এর মাধ্যমে এই সড়কপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ হয় এবং এই সড়কপথ বিস্তৃত হচ্ছে ন্যাশনাল হাইওয়েজ ডেভলপমেন্ট প্রোজেক্ট-এর মাধ্যমে। জাতীয় সড়কপথগুলি এক একটি নম্বর দ্বারা চিহ্নিত। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে পুরাতন নম্বরের অবসান ঘটিয়ে নতুন নম্বর দ্বারা রাস্তাগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নতুন নম্বর অনুযায়ী বর্তমানে NH44 ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়কপথ। {
প্রশ্ন ৩. উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম করিডর (North South and East West Corridor) বলতে কী বোঝ ?
উত্তর : উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম করিডর প্রকল্পটি ভারতের একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প, উত্তরে শ্রীনগর থেকে দিল্লি } আগ্রা – নাগপুর — হায়দরাবাদ – বেঙ্গালুরু –সালেম – মাদুরাই হয়ে সর্বদক্ষিণে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ৪০০০ কিমি এবং পূর্বে শিলচর,উদয়পুর, পালানপুর হয়ে পশ্চিমে পোরবন্দর পর্যন্ত ৩৩০০ কিমি পর্যন্ত প্রসারিত। মোট দৈর্ঘ্য ৭৩০০ কিমি (৪৩০০ মাইল)। এটি National Highway Development Project-এর ২য় প্রজেক্ট। এটি National Highways Authority of India—এর তত্ত্বাবধানে গৃহীত হয়।
প্রশ্ন ৫. রজ্জুপথ (Ropeway) কী ?
উত্তর : রজ্জুপথ বা Ropeway হল এক ধরনের পরিবহণের মাধ্যম যার সাহায্যে দ্রব্যাদি বা মানুষজন, খনিসমৃদ্ধ বা পাহাড়ি অঞ্চলে, মোটরচালিত তারের মাধ্যমে যাতায়াত করে। রজ্জুপথ রজ্জুপথের গুরুত্ব : (i) পাহাড়ি বা খনি অঞ্চলে যেখানে, অন্যান্য পরিবহণের মাধ্যম নেই সেখানে এই রজ্জুপথের মাধ্যমেই পরিবহণ করা হয়ে থাকে। (ii) পাহাড়ি অঞ্চলে পর্যটনের ক্ষেত্রে এটি গুরত্বপূর্ণ। (iii) খনি অঞ্চল থেকে খনিজ দ্রব্যাদি তুলে আনার জন্য রজ্জুপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
ভারতের রজ্জুপথ : (১) গুলমার্গ-গন্ডোলা (জম্মু কাশ্মীর), (২) মানালি রোপওয়ে (হিমাচল প্রদেশ) ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৬.পাইপলাইন (Pipeline) কী ?
উত্তর : পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রধানত দ্রব্যসামগ্রী পরিবহণ করা হয়। বিভিন্ন ধরনের তরল পদার্থ ও গ্যাসীয় পদার্থ, যথা–ফ্রুড অয়েল, রিফাইন্ড অয়েল, প্রাকৃতিক গ্যাস, পানীয় জল ইত্যাদি পরিবহণ করা হয়। পাইপলাইন
• ভারতের পাইপলাইন : ভারতের উল্লেখযোগ্য পাইপলাইনগুলি হল :
(i) নাহারকাটিয়া—নুনমাটি—বারাউনি পাইপলাইন (তৈলবাহী)।
(ii) মুম্বাই হাই—মুম্বাই—আংক্লেশ্বর—কয়ালি পাইপলাইন (খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস)
(iii) সালায়া—কয়ালি—মথুরা পাইপলাইন (তৈলবাহী)।
(iv) হাজিরা—বিজাপুর—জগদীশপুর গ্যাস পাইপলাইন।
(v) জামনগর—লোনি (LPG) পাইপলাইন।
(vi) কান্ডালা— ভাটিল্ডা (তৈলবাহী) পাইপলাইন।
প্রশ্ন ৭. মেট্রোরেল ব্যবস্থার গুরুত্ব লেখো।
উত্তর : (i) মেট্রোরেল ব্যবস্থায় মেট্রো শহরের অভ্যন্তরে খুব কম সময়ে যাত্রী পরিবহণ হয়।
(ii) একসঙ্গে অনেক মানুষকে এই পরিষেবা দেওয়া যায়।
(iii) এই পরিবহণ ব্যবস্থা আরামপ্রদ।
(iv) ইলেকট্রিক চালিত ইঞ্জিন বলে শহরে দূষণ হয় না। ভারতে এখনও পর্যন্ত ৯টি শহরে মেট্রোরেল পরিষেবা চালু হয়েছে। কলকাতা মেট্রোরেল প্রাচীনতম এবং দিল্লি মেট্রোরেল দীর্ঘতম।
প্রশ্ন ৮. কলকাতা মেট্রোরেলের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর : কলকাতা মেট্রোরেল ভারতের প্রাচীনতম মেট্রোরেল ব্যবস্থা, যেটি চালু হয় ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে। বর্তমানে এটি চালু রয়েছে দক্ষিণে নিউগড়িয়া থেকে উত্তরে নোয়াপাড়া পর্যন্ত। বর্তমানে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের মাধ্যমে মেট্রোরেল ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হচ্ছে। দক্ষিণে জোকা থেকে বিবাদিবাগ পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ চলছে। কলকাতাতেই প্রথম চালু হতে চলেছে হুগলি নদীর নীচ দিয়ে হাওড়া থেকে মেট্রোরেল পরিষেবা। যাত্রী পরিবহণে কলকাতা মেট্রোরেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে একে 'Lifeline of Kolkata' বলা হয়।
প্রশ্ন ৯. পরিবহণ ব্যবস্থার প্রকারভেদ করো।
উত্তর : আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থার শ্রেণিবিভাগ নীচে ছকের মাধ্যমে দেখানো হল।
পরিবহণ ব্যবস্থা স্থলপথ জলপথ বিমানপথ পাইপলাইন রজ্জুপথ সড়কপথ রেলপথ (মেট্রোরেল) অভ্যন্তরীণ আন্তর্জাতিক অভ্যন্তরীণ আন্তর্জাতিক বিমানপথ বিমানপথ ভূপৃষ্ঠস্থ নল ভূগর্ভস্থ নল নদীপথ এবং খালপথ লাইনার — উপকূলীয় জলপথ ট্রাম্ফ।
প্রশ্ন ১০. পরিবহণের অর্থনৈতিক গুরুত্ব কী?
উত্তর : পরিবহণের অর্থনৈতিক গুরুত্ব (Economic Importance) :
(১) কৃষি ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও কৃষিতে আধুনিকীকরণ।
(২) শিল্প সম্প্রসারণ। প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ।
(৩) অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণ।
(৪) জাতীয় আয় বৃদ্ধি ।
(৫) উৎপাদন ব্যবস্থায়, শ্রম বিভাজনে বা আঞ্চলিক বিশেষীকরণ।
(৬) দেশীয় দ্রব্যের বাজার সৃষ্টি।
(৭) কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, বেকারত্ব ও দারিদ্র হ্রাস।
(৮) দেশীয় শিল্পের উন্নয়ন ও শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ।
(৯) শ্রমের সচলতা বৃদ্ধি।
(১০) স্থানগত উপযোগিতা বৃদ্ধি।
প্রশ্ন ১১. পরিবহণের কয়েকটি রাজনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে লেখো।
উত্তর : পরিবহণের রাজনৈতিক গুরুত্ব (Political Importance):
(১) সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দ্রুত সৈন্য, খাদ্য, বস্ত্র, অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ এবং অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পরিবহণ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হওয়া প্রয়োজন। =
২) সুষ্ঠু পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতীয় সংহতি সুদৃঢ় হয় এবং সংস্কৃতির বিনিময় ঘটে।
৩) দুর্যোগ-পীড়িত অঞ্চলে দ্রুত সামগ্রী পাঠাতে চালাতে উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব সর্বাধিক । 3 উদ্ধারকার্য
৪) গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার ক্ষেত্রে বা সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ | ও প্রাদেশিকতা এবং প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অনস্বীকার্য।
প্রশ্ন ১২. পরিবহণের সামাজিক গুরুত্ব কী কী?
উত্তর : পরিবহণের সামাজিক গুরুত্ব (Social Importance); (১) শহর ও নগর সৃষ্টিতে, (২) শিক্ষাসংস্কৃতির বিনিময়ে, (৩) জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে, (৪) আঞ্চলিক অনগ্রসরতা দূরীকরণে, { (৫) জনসংখ্যার সঠিক বণ্টনে পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
প্রশ্ন ১৩.ভারতীয় রেলপথের প্রধান প্রধান বিভাগসমূহ ও তাদের সদর দপ্তরের নাম লেখো।
উত্তর: ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারতের রেলপথ ৯টি অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ এই ন-টি অঞ্চলকে পুনর্বিন্যস্ত করে আরও ৭টি নতুন অঞ্চল গঠিত হয়। অর্থাৎ বর্তমানে ভারতে প্রধান ১৬টি রেলপথ অঞ্চল রয়েছে।
প্রশ্ন ১৪.ভারতে মোট ক-টি জাতীয় জলপথ (National Waterways) রয়েছে ও তাদের নাম কী?
উত্তর : ভারতে মোট ৬টি জাতীয় জলপথ রয়েছে। যথা—
(১) National Waterway 1 or NW1 = > এটি গঙ্গা-ভাগীরথী-হুগলি নদীর মিলিত জলপথ যা হলদিয়া থেকে ফারাক্কা, পাটনা হয়ে এলাহাবাদ পর্যন্ত প্রসারিত। এর দৈর্ঘ্য হল ১৬২০ কিমি এটি ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় জলপথ। এর তীরবর্তী উল্লেখযোগ্য শহরগুলি হল কলকাতা, ভাগলপুর, বারাণসী এবং এলাহাবাদ।
(2) National Waterway 2 or NW2 = > এটি ব্রষ্মপুত্র নদীর গতিপথ বরাবর অসমের সাদিয়া থেকে ধুবড়ি পর্যন্ত প্রসারিত। এর দৈর্ঘ্য হল ৮৯১ কিমি এবং এটি ভারতের তৃতীয় দীর্ঘতম জাতীয় জলপথ। এটি উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিবহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(৩) National Waterway 3 or NW 3 = > এটি পশ্চিম উপকূল খাল (West Coast Canal) নামে পরিচিত। এটি কেরল কিমি. রাজ্যের কোল্লাম থেকে কোট্টাপুরাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এটির দৈর্ঘ্য ২০৫ কিমি এবং এটি ভারতের প্রথম নৌচলাচল-যোগ্য জলপথ পরিবহণমাধ্যম। কিমি এবং
(৪) National Waterway 4 or NW 4 = > এটি গোদাবরী ও কৃষ্ণা নদী ও অন্যান্য খালপথ দ্বারা যুক্ত। এর দৈর্ঘ্য ১০৯৫ এটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলপথ। এটি অন্ধ্রপ্রদেশের কাঁকিনাড়া থেকে তামিলনাডুর পুদুচেরি পর্যন্ত প্রসারিত।
(৫) National Waterways 5 or NW 5 = > এর অপর নাম হল ইষ্ট কোট খাল (East Coast Canal)। এটি ওড়িশার তালচের থেকে পশ্চিমবঙ্গের ধামরা পর্যন্ত প্রসারিত। এর দৈর্ঘ্য ৬২৩ কিমি।
(৬) National Waterway 6 or NW 6 = > এটি হল একটি প্রস্তাবিত জাতীয় জলপথ, যা অসম রাজ্যের বরাক নদীপথ দ্বারা লখিপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রসারিত। এর দৈর্ঘ্য ১২১ কিমি।
প্রশ্ন ১৫. ভারতের প্রধান প্রধান বন্দর (Ports) এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে লেখো।
উত্তর : ভারতের বন্দরগুলিকে উপকূল-এর ভিত্তিতে দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা হল— → পূর্ব উপকূল : বন্দরের নাম বিশেষ পরিচিতি
১. বিশাখাপত্তনম (অন্ধ্রপ্রদেশ) (ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম) পূর্ব উপকূলের একমাত্র স্বাভাবিক বন্দর (ভারতের মধ্যে সর্বোত্তম)
২. কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) পুনঃরপ্তানি বন্দর (Entreport)
৩. হলদিয়া (পশ্চিমবঙ্গ) | নদীবন্দর
৪. নিউ তুতিকোরিন (তামিলনাড়ু শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাণিজ্য হয়, | কৃত্রিম পোতাশ্রয় যুক্ত বন্দর
৫. চেন্নাই বন্দর (তামিলনাড়ু) (ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম) সমুদ্রবন্দর, কৃত্রিম, পোতাশ্রয়
৬. পারাদ্বীপ (ওড়িশা) ভারতের মধ্যে গভীরতম পোতাশ্রয়, লোহা রপ্তানিকারক বন্দর স্বাভাবিক পোতাশ্রয় যুক্ত বন্দর।
পশ্চিম উপকূল : বন্দরের নাম
১. মুম্বাই (মহারাষ্ট্র) (ভারতের বৃহত্তম বন্দর)
২. কান্ডালা (গুজরাট)
৩. মার্মাগাঁও (গোয়া)
৪. নভসেবা/ জওহরলাল নেহরু বন্দর (মহারাষ্ট্র)
৫. কোচি (কেরল)
৬. নিউ ম্যাঙ্গালোর (কর্ণাটক) বিশেষ পরিচিত ভারতের প্রবেশপথ, | শুল্কমুক্ত বন্দর, স্বাভাবিক পোতাশ্রয় লোহা রপ্তানি কারক বন্দর | আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যাগত বন্দর (ভারতের বৃহত্তম বন্দর) আরব সাগরের রানি | কফি রপ্তানিকারক বন্দর, স্বাভাবিক পোতাশ্রয়
জেনে রাখো • পশ্চাদভূমি (Hinterland) : কোনো বন্দরের, যে পার্শ্ববর্তী ও পশ্চাদ্ অঞ্চল থেকে সেখানকার অতিরিক্ত পণ্য | বন্দর দিয়ে রপ্তানি করা হয় এবং সেই অঞ্চলের প্রয়োজনীয় | দ্রব্য বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়, সেই পশ্চাদ্বর্তী অঞ্চলকেই | বন্দরের পশ্চাদ্ভূমি বলে। পশ্চাদ্ভূমির সমৃদ্ধির ওপরই বন্দরের সমৃদ্ধি নির্ভর করে।
প্রশ্ন ১৬. জলপথ পরিবহণের গুরুত্ব কী?
উত্তর : জলপথ পরিবহণের গুরুত্ব (Importance of Waterways) :
(১) ব্যয় কম : জলপথ পরিবহণের ব্যয় অন্যান্য মাধ্যমের থেকে তুলনামূলকভাবে কম । এর নির্মাণ ও সংরক্ষণ বা দেখাশোনা করার জন্য কোনো খরচ হয় না ।
(২) পণ্য পরিবহণের ক্ষমতা বেশি : এই পরিবহণ ব্যবস্থায় (অন্যান্য পরিবহণ মাধ্যমের তুলনায়) অনেক বেশি পরিমাণ পণ্যদ্রবাদি পরিবহণ করা যায়।
(৩) ভারী দ্রবাদি পরিবহণে সক্ষম অন্যান্য পরিবহণ মাধ্যমের তুলনায় এই জলপথ পরিবহণের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ভারী দ্রব্যাদি পরিবহণ করা যায়।
(৪) উপকূলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সাহায্য করে : উপকূল অঞ্চলের তথা নদীসংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ও প্রতিরক্ষার জন্য জলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(৫) বৈদেশিক বাণিজ্যে সহায়তা করে : বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও জলপথ পরিবহণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
(৬) নিরাপদ পরিবহণ ব্যবস্থা : অন্যান্য পরিবহণের মাধ্যমের তুলনায় এটি তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ।
এ ছাড়াও এই পরিবহণ ব্যবস্থায় যানজটের সম্ভাবনা খুবই কম, বিপুল বাণিজ্য হয়, পর্যটনের ভালো মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত স হয় এবং বন্দর অঞ্চলে শিল্পের বিকাশ ঘটানো যায়।
জেনে রাখো: পুনঃরপ্তানি বন্দর (Entrepot Ports ) : | কোনো কোনো বন্দরে আসা সমস্ত পণ্য, বন্দরের পশ্চাদভূমি | অঞ্চলে প্রেরিত না হয়ে কিছু পণ্য আবার অন্যদেশে পুনরায় | রপ্তনি করা হয়। এই সকল বন্দরকে পুনঃরপ্তানি বন্দর বলা হয়। কলকাতা হল একটি পুনঃরপ্তানি বন্দর।
প্রশ্ন ১৭.ভারতের কয়েকটি বিমানবন্দরের (Airports) নাম লেখো।
উত্তর: ভারতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১) কলকাতা–নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (দমদম)। (২) দিল্লি–ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (পালাম)। (৩) মুম্বাই—ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। (৪) চেন্নাই—আন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। (৫) অমৃতসর-রাজ সানসী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। (৬) গুয়াহাটি—লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদোলোই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। (৭) আমেদাবাদ- সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। (৮) বেঙ্গালুরু- কেমপেগোওড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। (৯) তিরুবনন্তপুরম- ত্রিবান্দ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। (১০) গোয়া—গোয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
• ভারতের জাতীয় বিমানবন্দর : (১) কান্ডালা বিমানবন্দর (গুজরাট) (২) জম্মু বিমানবন্দর (জম্মু ও কাশ্মীর) (৩) পুণে বিমানবন্দর (মহারাষ্ট্র) (৪) যোধপুর বিমানবন্দর (রাজস্থান) (৫) মাদুরাই বিমানবন্দর (তামিলনাড়ু) (৬) শিলিগুড়ি, বাগডোগরা বিমানবন্দর (পশ্চিমবঙ্গ) (৭) দেরাদুন বিমানবন্দর (উত্তরাখণ্ড) (৮) ঔরাঙ্গাবাদ বিমানবন্দর (মহারাষ্ট্র) (৯) সিমলা বিমানবন্দর (হিমাচল প্রদেশ) (১০) আগরতলা বিমানবন্দর (ত্রিপুরা) ইত্যাদি।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১. পরিবহণের গুরুত্ব লেখো ( Importance of Transport) ।
উত্তর : যাত্রী ও জিনিসপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরের পন্থাকে পরিবহণ বলে। অর্থাৎ, যে ব্যবস্থার মাধ্যমে। দূরবর্তী স্থানের ব্যবধানকে সময়ের নিরিখে কমানো হয়, তাকেই পরিবহণ বলে।
• পরিবহণের গুরুত্ব (Importance of Transport) : যে- কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সমৃদ্ধি বহুলাংশে পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। আধুনিক বিশ্বে পরিবহণের গুরুত্ব নিম্নে আলোচনা করা হল-
(১) অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্য : দেশের অভ্যন্তরীণ | বাণিজ্যে অর্থাৎ দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পণ্যদ্রব্যের | আমদানি, রপ্তানি তথা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও পরিবহণ | ব্যবস্থা অপরিহার্য ভূমিকা গ্রহণ করে।
(২) কৃষির উন্নতি : কৃষি পণ্যের আদানপ্রদান, কৃষিজ কাঁচামাল কারখানায় পৌঁছোনো, কৃষিজ পণ্য বাজারে বিক্রি এবং কৃষিহীন অঞ্চলে কৃষির প্রসারে পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
(৩) শিল্পস্থাপন ও সম্প্রসারণ : কোনো স্থানে শিল্পস্থাপনের জন্য কাঁচামালের আনয়ন এবং শিল্পজাত দ্রব্যসামগ্রী বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবহণ ব্যবস্থার প্রয়োজন।
(৪) প্রাকৃতিক সম্পদের আহরণ ও বণ্টন : দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদের আহরণ ও তার সুষ্ঠু বণ্টনের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থার প্রয়োজন।
(৫) চাহিদা ও জোগানের কাজে : দেশের নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় তথা যে-কোনো দ্রব্যসামগ্রীর চাহিদার সঠিকভাবে জোগান মেটানোর জন্য পরিবহণ ব্যবস্থাই সাহায্য করে।
(৬) প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি : উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রির জন্য বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে একচেটিয়া কারবারের অবসান ঘটে ও সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক বাজার গড়ে ওঠে।
(৭) বাণিজ্য প্রসার : দেশের বা বিদেশের উৎপাদিত উদ্বৃত্ত দ্রব্য বা ঘাটতি দ্রব্য আমদানির ও রপ্তানির মাধ্যমে আদানপ্রদান করা হয় ফলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায়। এইভাবে বাণিজ্য প্রসার করতে পরিবহণ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(৮) আঞ্চলিক অনগ্রসরতা দূরীকরণ : দেশের মধ্য অবস্থিত কোনো দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল, দুর্ভেদ্য অরণ্য অঞ্চল, বন্ধুর ও রুক্ষ মালভূমি অঞ্চল, বা মরুভূমি অঞ্চলের প্রতিকূল পরিবেশে সুষম অর্থনীতির উন্নতি ঘটানোর জন্য পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
(৯) বিশেষায়ণ : উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার ফলে বিশ্বের বিশেষ অঞ্চলে নির্দিষ্ট কোনো দ্রব্য উৎপাদনে বিশেষায়ণ হয়েছে।
(১০) কর্মসংস্থান সৃষ্টি : পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
জেনে রাখো : হীরক চতুর্ভুজ প্রকল্প (Diamond Quadrilateral Project) : ২০১৪-১৫ বর্ষের রেলবাজেটে ভারতের চারটি মেট্রো শহরের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করার জন্য দ্রুত গতির ট্রেন চালানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
(১১) দেশ প্রতিরক্ষা : দেশ প্রতিরক্ষার কাজে সৈন্য চলাচলের জন্য রেলপথ, সড়কপথ, বিমানপথ ও জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়া প্রয়োজন ।
(১২) শহর ও নগর সৃষ্টি : পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত হলে শিল্প, ব্যাবসাবাণিজ্যের উন্নতি হয় ফলে ছোটো ছোটো শহর ও নগর সৃষ্টি হয়।
(১৩) শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসার : পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে বিভিন্ন স্থানে একত্রিত হয়, ফলে জ্ঞান, বিদ্যা, বুদ্ধি, দক্ষতা, প্রযুক্তিবিদ্যা ইত্যাদির আদান প্রদান ঘটে।
(১৪) জনবসতির বিস্তার ও বণ্টন : পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের জনবসতি গড়ে ওঠে।
(১৫) পরিব্রাজন বা মাইগ্রেশান : পরিবহণের সর্বাধিক প্রত্যক্ষ উপযোগিতা হল নিত্যযাত্রী ও শ্রমজীবী মানুষের দেশ বা অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বা বিদেশে স্থানান্তরকরণ। এ ছাড়াও পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, স্থানগত উপযোগিতা সৃষ্টি করতে, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে, দেশে শান্তি স্থাপন করা ইত্যাদি নানান ক্ষেত্রেও পরিবহণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব অনস্বীকার্য।
প্রশ্ন ২. স্থলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় রেলপথের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর : স্থলপথের সর্বশ্রেষ্ঠ পরিবহণ মাধ্যম হল রেলপথ। দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য ও অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে রেলপথের স্থান সর্বাগ্রে স্থলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় রেলপথের গুরুত্ব নিম্নে আলোচনা করা হল।
• রেলপথের গুরুত্ব ( Importance of Railways) :
(১) সময় ও গতিবেগ : স্থলপথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে রেল হল সর্বাপেক্ষা দ্রুতগামী। এটি স্বল্প সময় সাপেক্ষ পরিবহণ মাধ্যম। নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী চলে বলে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে।
(২) পরিবহণ ব্যয় : সড়ক ও বিমানপথ অপেক্ষা রেলপথে পরিবহণ ব্যয় স্বল্প।
(৩) পণ্যের প্রকৃতি : রেলপথে ভারী পণ্য প্রেরণ করা সুবিধাজনক। পণ্য বোঝাই ও গুদামজাত করণের ব্যবস্থা রেল কর্তৃপক্ষের আছে। পচনশীল দ্রব্য, ভারী শিল্প কাঁচামাল, কৃষিজাত পণ্য, শৌখিন দ্রব্য রেলের মাধ্যমে প্রেরিত হয়।
(৪) কর্মসংস্থান : রেলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় বহুলোক নিযুক্ত হয়। রেলপরিবহণ ব্যবস্থা বিশাল কর্মসংস্থান ঘটায়।
(৫) ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা : রেল পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রেরিত দ্রব্য নষ্ট হয়ে গেলে, রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এর ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়।
(৬) রেলগুদামে পণ্য মজুতের সুবিধা : পণ্য বোঝাই ও খালাসের আগে রেলের গুদামে পণ্য মজুত রাখার সুবিধা আছে।
(৭) ঋণের সুবিধা : রেলে পণ্য বোঝাইয়ের রসিদ গচ্ছিত রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া যায়।
(৮) প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সুবিধা : দেশের অভ্যন্তরে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে, বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে রেলপথ পরিবহণের গুরুত্ব অগ্রগণ্য, দ্রুত সৈন্য, খাদ্যদ্রব্য, অস্ত্রশস্ত্র প্রেরণে এই মাধ্যমের ভূমিকা যথেষ্ট।
(৯) স্বাচ্ছন্দ্য : রেলে পরিবহণ অনেক বেশি আরামদায়ক ও নিরাপদ।
(১০) জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন : রেলপরিবহণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণের ফলে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উত্থান ঘটে ফলে, মানুষের জীবনযাত্রার মানের যথেষ্ট উন্নতি ঘটে।
(১১) শিল্প-বাণিজ্যের উন্নতি : শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বয়ে আনা এবং শিল্পজাত দ্রব্য বাজারজাতকরণে রেলের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
(১২) প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা : বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে রেলপথের সাহায্যে দুর্যোগ পীড়িতদের কাছে খাদ্য, বস্ত্র, ঔষধপত্র পৌঁছোনো, তাদের রক্ষা ও স্থানান্তর করার কাজও করা যায়।
(১৩) সভ্যতা ও সংস্কৃতির বাহক : শিক্ষাদীক্ষা, সভ্যতা সংস্কৃতির আদানপ্রদানে রেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন ৩. ভারতের সড়কপথের প্রকারভেদগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর : সড়কপথের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Roadways) : ভারতে সড়কপথকে প্রধানত ৬ টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—(১) সোনালি চতুর্ভুজ (২) জাতীয় সড়কপথ, (৩) রাজ্য সড়কপথ, (৪) জেলা সড়কপথ, (৫) গ্রাম্য সড়কপথ, (৬) সীমান্তবর্তী সড়কপথ।
(১) সোনালি চতুৰ্ভুজ (Golden Quadrilateral) : ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২ জানুয়ারি National Highways Authoritys of India (NHAI) এই সড়কপথ নির্মাণে বিশাল কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
এর প্রথম পর্যায়ে, সোনালি চতুর্ভুজ কর্মসূচি অনুযায়ী ভারতের চারটি বড়ো মেট্রোপলিটান শহর—কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই সড়কপথ দ্বারা যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই পথের মোট দৈর্ঘ্য ৫,৮৪৬ কিলোমিটার। দিল্লি থেকে মুম্বাইয়ের দূরত্ব ১৪১৯ কিমি, মুম্বাই থেকে চেন্নাইয়ের দূরত্ব ১২৯০ কিমি, চেন্নাই থেকে কলকাতার দূরত্ব ১৬৮৪ কিমি, কলকাতা থেকে দিল্লির দূরত্ব প্রায় ১৪৫৩ কিমি।
(২) জাতীয় সড়কপথ (National Highway): যে-সড়কপথগুলির নির্মাণ কাজ ও সংরক্ষণ CPWD (Central Public Works ৮৮° (২) জাতীয় সড়কপথ Department) করে, সেই পথগুলিকেই জাতীয় সড়কপথ বা রাজপথ বলে। জাতীয় সড়কপথ যদিও মোট সড়কপথের মাত্র ২ শতাংশ অধিকার করে আছে, তবুও এটি মোট পরিবহণের প্রায় ৪৫% পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ করে। NHAI বন্দর-সংযোজক পরিকল্পনা (Port Connectivity Programme) এর মাধ্যমে চার চ্যানেল-বিশিষ্ট রাজপথ নির্মাণ ও ভারতের বিভিন্ন বন্দরগুলি সংযুক্ত করার কাজ গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী হলদিয়া, পারাদ্বীপ, বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই, এন্নোর, তিতুকোরিন রাজপথ দ্বারা সংযুক্ত করার কাজ চলছে।
(৩) রাজ্য সড়কপথ (State Highways) : যে সড়কপথগুলি রাজ্য সরকার নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে সেই সড়কপথগুলিকে রাজ্য সড়কপথ বলে। এই সড়কপথগুলি সাধারণত রাজ্যের রাজধানী, জেলার সদর কার্যালয় বা গুরুত্বপূর্ণ শহর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে যুক্ত করে। এই সড়কপথগুলি জাতীয় সড়কপথের সঙ্গেও যুক্ত। দৈর্ঘ্য ১৩৭.৯ হাজার কিমি। ভারতের মোট রাজ্য সড়কপথের দৈর্ঘ্য ১৩৭.৯ হাজার কিমি (প্রায়)।
(৪) এ ছাড়াও রয়েছে জেলা সড়কপথ (District Roadways) : এই সড়কপথ কেবলমাত্র জেলার সদর শহরের সঙ্গে জেলার অন্যান্য স্থানগুলিকে যুক্ত করে। এই পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ লক্ষ কিমি।
(৫) গ্রাম্য সড়কপথ (Village Roads) : গ্রাম্য পথগুলি নিকটবর্তী শহর ও নগরগুলির সাথে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহু গ্রাম্য পথ পাকা হয়েছে কিন্তু এগুলি অধিকাংশ কাঁচা, মাটির।
প্রশ্ন ৪. ভারতের জলপথ পরিবহণ সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর : জলপথ পরিবহণ : নদী-নালা, খাল-বিল, হ্রদ ও সমুদ্রে যে-পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, তাকে জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থা বলে। জলপথে যেসকল যানবাহন চলাচল করে, তাদের মধ্যে নৌকা, স্টিমার, লঞ্চ ও জাহাজ উল্লেখযোগ্য। জলপথকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা— (১) অভ্যন্তরীণ জলপথ ও (২) সমুদ্রপথ।
(১) ভারতের অভ্যন্তরীণ জলপথ (Inland Waterway ) : দেশের অভ্যন্তরভাগে জলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪,১৫০ কিমি। উত্তর ভারতে গঙ্গা, উত্তর-পূর্ব ভারতে ব্রহ্মপুত্র এবং দক্ষিণ ভারতে গোদাবরী, মহানদী, কৃষ্ণা, কাবেরী, নর্মদা, তাপ্তি, পেন্নার এদের অধিকাংশ উপনদীগুলি পণ্য পরিবহণের উপযোগী।
অভ্যন্তরীণ জলপথ আন্তর্জাতিক জলপথ উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে গঙ্গার জলধারা বাণিজ্যপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, প্রধানত কৃষিজাত পণ্য চলাচলের জন্যই এই সুনাব্য নদীপথ ব্যবহার করা হয়।
উত্তর-পূর্ব ভারতে, বিশেষত অসম অঞ্চলের চা, কাঠ, বেত এবং অন্যান্য পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্রহ্মপুত্রের অবদান যথেষ্ট। এই নদীপথে ডিব্ৰুগড় পর্যন্ত মাল পরিবহণের সুযোগ আছে।
এ ছাড়া নদী-বদ্বীপ অঞ্চলে জালিকার ন্যায় বিস্তৃত শাখানদীগুলি বরাবর পণ্য চলাচলের ইতিহাস অতিপ্রাচীন। তবে নদীতে পলি সঞ্চয়ের প্রকোপে এই নদীপথগুলির নাব্যতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সুলভ পরিবহণ উপযোগী এই জলপথগুলির সংস্কার ও সংরক্ষণ জরুরি।
(২) ভারতের আন্তর্জাতিক জলপথ ও সমুদ্রপথ (International Waterway) : ভারতের উপকূল বরাবর পণ্যদ্রব্য চলাচলের জন্য একাধিক বন্দর গড়ে তোলা হয়েছে। কলকাতা, হলদিয়া, পারাদ্বীপ, বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই, কোচি, মুম্বাই, কান্ডালা প্রভৃতি বড়ো বড়ো বন্দরগুলি ছাড়াও ওখা, পোরবন্দর, সুরাট, মার্মাগাঁও, ম্যাঙ্গালোর, কোজিকোড, কুইলন, ত্রিবান্দ্রম, তুতিকোরিণ, করিকল, পুদুচেরি প্রভৃতি পোতাশ্রয়ের মাধ্যমে কৃষি, খনি, শিল্পজাত পণ্য পরিবাহিত হয়। বৈদেশিক বাণিজ্য তথা পণ্যদ্রব্য বিদেশ থেকে আমদানি বা = বিদেশে রপ্তানির জন্য এই আন্তর্জাতিক জলপথ ব্যবহৃত হয়। = ভারতের আন্তর্জাতিক জলপথের জলযানগুলি সরকারি, শিপিং = কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড ও বেসরকারি এসার, ভারতী শিপিং-এর মালিকানাধীন।
ভারতের প্রধান প্রধান কয়েকটি সমুদ্র বন্দর : জলপথ পরিবহণ ভারত বিশ্বে সপ্তদশ স্থান অধিকার করে। ভারতে ১৩টিরও বেশি অপ্রধান বন্দর রয়েছে। ভারতের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বন্দর হল – (১) অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, (২) পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর, (৩) তামিলনাড়ুর তুতিকোরিণ ও চেন্নাই বন্দর, (৪) ওড়িশার পারাদ্বীপ, (৫) মহারাষ্ট্রের মুম্বাই এবং জওহরলাল নেহরু বন্দর, (৬) গুজরাটে কান্ডালা, (৭) গোয়ার মার্মাগাঁও, (৮) কেরলের কোচি বন্দর ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৫. জলপথ পরিবহণের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর : জলপথের গুরুত্ব (Importance of Waterways) :
(১) পরিবহণ ব্যয় : জলপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের ভাড়া সড়কপথ বা রেলপথের চেয়ে কম। তাই পরিবহণ ব্যয়ও কম।
(২) নির্মাণ খরচ : জলপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ থাকলেও জলপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের তেমন কোনো খরচ নেই।
(৩) পণ্য পরিবহণ : জলপথে ভারী, শৌখিন, ভঙ্গুর বা বৃহদায়তন পণ্যসামগ্রী পরিবহণ করা হয়।
(৪) কর্মসংস্থান : কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই জলপথ পরিবহণের গুরুত্ব যথেষ্ট।
(৫) যানজট : সমুদ্রপথে যানজটের কোনো সমস্যা নেই তবে ভাসমান হিমশৈল বা সমুদ্র তলদেশের আকৃতি (গায়ট) বা নানান ভূপ্রকৃতি অনেক সময় জাহাজ চলাচলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
(৬) বাণিজ্য : বিপুল পরিমাণ পণ্যসামগ্রী স্বল্প ব্যয়ে বহু দূরদেশে প্রেরণ করা যায়।
(৭) জ্বালানি ব্যয় : জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত যানগুলির জ্বালানি ব্যয় খুবই কম।
(৮) পরিবহণ ক্ষমতা : জলপথে ব্যবহৃত যানগুলির পরিবহণ ক্ষমতা সড়কপথে ব্যবহৃত যানের পরিবহণ ক্ষমতা অপেক্ষা অধিক।
(৯) পরিবেশদূষণ : জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থায় দূষণ ঘটার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই যদি-না নিষ্কাশিত হয়ে তেলবাহী জাহাজ থেকে তেল সমুদ্রজলে মেশে।
প্রশ্ন ৬. ভারতে আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থা (Airways) ও এর গুরুত্ব সম্পর্কে লেখো।
উত্তর : ভারতে সর্বপ্রথম বিমান চলাচল শুরু হয় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থা বিশেষ উন্নত ছিল না। পরবর্তীকালে এর প্রসারলাভ ঘটে। আকাশপথ পরিবহণের গুরুত্ব বিচার করে ভারত সরকার আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করেন। ভারতে মোট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংখ্যা ১১টি এবং অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের সংখ্যা ১১২টি। ভারতের গুরুত্বপুর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলি হল— আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থা (১) কলকাতার নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দর। (২) দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি বিমানবন্দর। (৩) মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দর। (৪) চেন্নাইয়ের আন্না বিমানবন্দর। (৫) বেঙ্গালুরুর হ্যাল বিমানবন্দর। (৬) অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদ বিমানবন্দর।
• আকাশপথে পরিবহণের গুরুত্ব (Importance of Airways) :
(১) গতিবেগ : এটি অতিদ্রুত গতিসম্পন্ন। বিমানপথে অতি দ্রুত যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ করা হয়।
(২) ব্যয় : বিমানবন্দর নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ তথা যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ব্যয় বেশি হলেও আকাশপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যয় নেই।
(৩) উপযোগিতা : দুর্গম স্থানে যাতায়াতের জন্যে বিমানপথ বিশেষ উপযোগী বিমানের সাহায্যে পাহাড়, পর্বত, নদী-নালা, সাগর, মরুভূমি সহজেই পার হওয়া যায়। শৌখিন, ভঙ্গুর, পচনশীল দ্রব্য, চিঠি ও ঔষধপত্র দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছোনো যায়।
(৪) জরুরি পরিস্থিতি : দুর্গম স্থানে যেখানে কোনোভাবেই যাতায়াত করা যায় না, সেখানে হালকা বিমান বা হেলিকপ্টার উদ্ধারকার্য ও ত্রাণকার্য চালাতে অতিদ্রুত পৌঁছে যায়।
(৫) অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা : বিমানপথ দ্রুত গতিসম্পন্ন হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যথেষ্ট প্রসারলাভ করেছে ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
(৬) আরামপ্রদ ভ্রমণ : বিমানপথে ভ্রমণ খুব আরামদায়ক। আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যায় তৈরি বিমান বা হেলিকপ্টার যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
(৭) কর্মসংস্থান : আকাশপথে পরিবহণ ব্যবস্থায় প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয়।
(৮) কৃষিক্ষেত্রে ও শিল্পে ব্যবহার : উন্নত কৃষিব্যবস্থায় বিস্তীর্ণ কৃষিজোতে সার, কীটনাশক, বীজ ছড়াতে, এ ছাড়া শিল্পে উৎপাদিত দ্রব্য বাজারজাতকরণ ও শিল্পে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আনয়নে বিমানের ব্যবহার বাড়ছে।
(৯) আন্তর্জাতিক যোগাযোগ : জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনার জন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রদূত আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছোতে পারেন।
প্রশ্ন ৭.আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা (Communication System) সম্পর্কে যা জান লেখো।
উত্তর : এককথায় যোগাযোগ বলতে বোঝায় মানুষের কথাবার্তার পারস্পরিক আদানপ্রদান। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিসেবামূলক কাজ, ইংরেজি শব্দ 'Communication'-এর উৎপত্তি হয় লাতিন শব্দ 'Communicare' যার অর্থ অংশীদার হওয়া বা করা এবং এই ধরনের একটি সংগঠিত আদানপ্রদান-এর ব্যবস্থাকে বলে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম হল তিনটি : ইনটারনেট, ই-মেল ও সেল ফোন।
• কম্পিউটারের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা : কম্পিউটার হল এক বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিন যন্ত্র যার সাহায্যে বর্তমান যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতিসাধন হয়েছে। ইলেকট্রনিক মেল বা ই-মেল (Email) এবং ইনটারনেট ইত্যাদি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের যে-কোনো প্রান্তে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে যোগাযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে।
• ইনটারনেট ও ই-মেল : সারাবিশ্বে কম্পিউটারকে মোডেমের মাধ্যমে টেলিফোন লাইনের সঙ্গে একসূত্রে যুক্ত করার নামই ইনটারনেট বা অন্তর্জাল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে Computer Network সৃষ্টি হয়, তারই সমন্বয়কে ইনটারনেট ওয়ার্ক বলে। ইনটারনেটে প্রবেশ করতে গেলে প্রয়োজন হয় মোডেমযুক্ত কম্পিউটার, উইন্ডোজ সফ্টওয়্যার এবং ব্যক্তিগত টেলিফোন লাইন। ইনটারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে কম্পিউটারের সাহায্যে ই-মেলের মাধ্যমে যে-কোনো ব্যক্তি যে-কোনো স্থানে বার্তা, চিঠিপত্র, তথ্য ইত্যাদি প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারে। ইনটারনেট ব্যবস্থায় ই-মেল ছাড়াও ওয়েবসাইটের ব্যবস্থা আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ধরে রাখা হয়- যা আমাদের প্রয়োজনে আমরা ব্যবহার করতে বা দেখতে পারি। % যোগাযোগ ব্যবস্থা এই ব্যবস্থার দ্বারা শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক জগৎ বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছে।
এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষ আজও ঘরে বসেই রেল, বিমান প্রভৃতির আসন সংরক্ষণ করতে পারে। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ই-মেল ব্যবস্থা চালু হয়।
• মোবাইল বা সেলুলার ফোন : এটি একটি তারবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থা। মোবাইল বা সেলুলার ফোন আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন আরও যেন এগিয়ে গেল। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মোবাইলের সাহায্যে পৃথিবীর যে-কোনো প্রান্তে মানুষের সাথে যোগাযোগ করা যায়। প্রযুক্তি বিদ্যার উন্নতির ফলে সেলুলার ফোনে নিত্যনতুন পরিষেবা যুক্ত হয়েছে। ফোন—SMS (Short Messaging service), MMS (Multimedia Messaging Service); ইনটারনেট যোগাযোগ, তথ্য, ছবির আদানপ্রদান, radio, camera-র সুবিধা, আবার SPS -এর সুবিধা থাকায় তথ্যের আদানপ্রদান ছাড়াও ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের ভৌগোলিক অবস্থান, উচ্চতা জানা যায়। নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এ ছাড়া বর্তমানে নানাপ্রকার APP-এর সুবিধা আছে।
No comments:
Post a Comment